
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সৌদিপ্রবাসী এক তরুণকে আটকে রেখে মোবাইলে মুক্তিপণ দাবি করার অভিযোগে এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
মুক্তিদপণ দাবি করে বিকাশ নম্বর দেওয়া মোবাইল নম্বরের সঙ্গে ওই ছাত্রদল নেতার মোবাইল নম্বর মিলে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১০টার দিকে পুলিশ তাকে আটক করে।
অভিযুক্ত নাঈম হোসেন (তাজ নাঈম) বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার শাহ আলমের ছেলে। তিনি মঠবাড়িয়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক।
ভুক্তভোগী প্রবাসী তরুণ রিয়াজুল ইসলাম রণি উপজেলার পাঁচশতকুড়া গ্রামের খালেক হাওলাদারের ছেলে। তিনি চার বছর ধরে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।
থানা ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পাঁচশতকুড়া গ্রামের খালেক হালাদারের ছেলে রিয়াজুল ইসলাম চার বছর আগে সৌদি আরব যান।
সম্প্রতি তার মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। গত ২৪ জুন সৌদি প্রবাসী এক আত্মীয় আল আমীনের মোবাইল নাম্বারে কল দিয়ে একটি চক্র রিয়াজুলকে আটক করে রেখেছে জানিয়ে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তাকে একটি বিকাশ নাম্বারও দেয় চক্রটি।
প্রবাসী আল আমীন অপহৃত রিয়াজুলের পরিবারকে মোবাইলে কল দিয়ে বিষয়টি জানান। তিনি অপহরণকারী চক্রের দেওয়া বিকাশ নাম্বারটিও তার পরিবারকে দেন।
পরে পরিবারের সদস্যরা ওই বিকাশ নাম্বারে ২০ হাজার টাকা পাঠান। বাকি ৩০ হাজার টাকার জন্য কয়েক দিন সময় চান।
এ ঘটনায় অপহৃত প্রবাসী রিয়াজুল ইসলামের দুলাভাই ইসমাইল আকন তার প্রবাসী শ্যালকের অপহরণের বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অপহরণকারী চক্রের দেওয়া বিকাশ নাম্বারটি তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে শনাক্ত করে নিশ্চিত হন।
সেই অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে মঠবাড়িয়া পৌরশহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে দলীয় কর্মসূচি শেষে ফেরার পথে ছাত্রদল নেতা নাঈম হোসেনকে পুলিশ আটক করে।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি আব্দুলাহ আল মামুন বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নাঈমকে আটক করা হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী পরিবার হতে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। ওই প্রবাসীর পরিবার জানিয়েছে, সৌদি আরবে আটক ওই প্রবাসীকে ছেড়ে দিয়েছে চক্রটি।