
আদালতের রায়ে খালাসপ্রাপ্ত হওয়ার পরও ছয় বছর ধরে ভুলভাবে কারাবন্দি ছিলেন মো. মাসুদ রানা ওরফে ‘পুতুল’। ঢাকার একটি দায়রা আদালত ২০১৩ সালে তাকে খালাস দিলেও ২০২০ সালে আবারও একই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এতদিন ধরে বিনা কারণে বন্দি থাকার পর ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’র (ন্যাশনাল লিগ্যাল এইড) হস্তক্ষেপে মাত্র একদিনেই মুক্তি পেলেন তিনি।
জানা গেছে, ২০২০ সালে তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পরে ২০২৫ সালের ২১ মার্চ তাকে স্থানান্তর করা হয় কেরানীগঞ্জস্থ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।
২০২৫ সালের ২৩ জুন বিকেলে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক সৈয়দ আজাদ সুবহানী বিষয়টি জানতে পারেন। পরদিন ২৪ জুন সকালে তিনি কেরানীগঞ্জ কারাগার পরিদর্শনে যান। তার সঙ্গে ছিলেন ঢাকা জেলার ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ নাসরিন জাহান, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মো. সায়েম খান, সংস্থার সহকারী পরিচালক ফারিন ফারজানা ও তৌফিকুল ইসলাম, সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তারসহ কারা কর্তৃপক্ষের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
পরিদর্শনকালে যাচাই-বাছাই শেষে পুতুলের দীর্ঘদিনের বন্দিত্ব যে ভুলবশত হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়ার পর দ্রুত আইনি প্রক্রিয়ায় তার মুক্তির ব্যবস্থা করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থার পরিচালক সৈয়দ আজাদ সুবহানী বলেন, “প্রত্যেক নাগরিকের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করাই রাষ্ট্রের অঙ্গীকার। এই ধরনের ঘটনা দুঃখজনক হলেও আমরা সদা প্রস্তুত এমন অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।”