
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জাতীয় নির্বাচনের চাপে পড়ে এখন ডাকসু নির্বাচনের তড়িঘড়ি করছে। ডাকসুকে সংশোধন করতে হলে শুধু রাজনৈতিক পরিস্থিতি দেখলে হবে না, একাডেমিক পরিস্থিতি নিয়ে ভাবতে হবে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারবে কি-না।
মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ‘মঙ্গলবারের গপ্পোসপ্পো’র আয়োজনে ‘ডাকসু নির্বাচন : অধিকার নাকি আনুমানিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন উমামা ফাতেমা।
‘মঙ্গলবারের গপ্পোসপ্পো’র সংগঠক সজীব হোসেনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদুজ্জামান শিপন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক আরমানুল হক, ছাত্র ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি মেঘমল্লার বসু।
এ সময় উমামা ফাতেমা বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জাতীয় নির্বাচনের চাপে পড়ে এখন ডাকসু নির্বাচনের তড়িঘড়ি করছে। যখন শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ছিল না তখন ডাকসুর কথা মনে করে নাই। কিন্তু এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে পরীক্ষা। যার ফলে অনেকেই এই ডাকসু থেকে দূরে থাকবে।
তিনি বলেন, সাধারণ ছাত্ররা যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে ভোগে। যারা ছাত্র নেতারা আছেন তারা অধিকাংশই ডিপার্টমেন্ট থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ধরনের সম্ভাবনা আছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি নাহিদুজ্জামান শিপন বলেন, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী তাদের জন্য ডাকসু অধিকার। গত ডাকসু নির্বাচনে আমি একটা হলের ভিপি পদে নির্বাচন করেছিলাম। নির্বাচনের দিন আমাকে বলা হয় আপনি এখান থেকে চলে যান।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন, করোনার মধ্যে কর্মচারীদের নির্বাচন হয়। শিক্ষক সমিতির নির্বাচন হয়। অথচ ডাকসু হতে গেলে কত বাধা। আমাদের পক্ষে কথা বলার কেউ নেই। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আমরা ক্যাম্পাসে আমূল পরিবর্তন চাই। আর এটা তখনই নিশ্চিত হবে যখন ডাকসু প্রতিনিধি থাকবে।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, বিগত ১৫ বছর এই ক্যাম্পাসে কোনো রাজনৈতিক মত ছিল না। এই অবস্থাকে দূরীকরণের জন্য ডাকসু গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের অধিকার বাস্তবায়নের জন্য আগের প্রশাসন বাদ দিয়ে নতুন প্রশাসন নিয়োগ করা হয়েছে। প্রশাসন যখন শিক্ষার্থীদের পক্ষ হয়ে কাজ করে না তখন শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা এই বিষয়ে প্রশাসনকে প্রশ্ন করে। প্রশাসন যে একচেটিয়া সিদ্ধান্ত নিতে না পারে সেদিকে কাজ করে ডাকসু নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধিরা।