
দাবি আদায়ের আন্দোলন সরকারের পিছু ছাড়ছে না কিছুতেই। একের পর এক আন্দোলন মোকাবিলায় ব্যতিব্যস্ত থাকতে হচ্ছে সরকারকে। এক পক্ষ নিবৃত হতেই আরেক পক্ষ আসছে দাবি নিয়ে। বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, চাকরি জাতীয়করণসহ নানা দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চলতে দেখা যাচ্ছে।
এসব দাবির আন্দোলনে প্রায় প্রতিদিনই জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণসহ আশপাশের রাস্তা উত্তপ্ত হতে দেখা যাচ্ছে। সরকারের তরফ থেকে নানা আশ্বাস দেওয়ার পরও দাবি আদায়কারীরা পিছু হটছেন না। কোনো কোনো পক্ষের দাবি মেনে নেওয়া হলেও তারা নিত্যনতুন দাবি নিয়ে আবার মাঠে নামছে।
নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে গত সাড়ে ১০ মাসে চার শতাধিক আন্দোলন মোকাবিলা করতে হয়েছে। কিছু আন্দোলন ঠেকাতে সরকারকে বেশ বেগও পেতে হয়েছে। আন্দোলনসহ নানা ইস্যুতে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত সহযোগিতা না পেয়ে প্রধান উপদেষ্টা একপর্যায়ে পদত্যাগ করার জন্য মনস্থির করেছিলেন। পরে অবশ্য জুলাই অভ্যুত্থানের পক্ষের দলগুলোর আশ্বাসে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তিনি।
এদিকে সর্বশেষ পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা মিললেও বিভিন্ন পেশাজীবী শ্রেণির দাবির বহর আরো বড় হচ্ছে।
সচিবালয়ে কর্মচারীদের আন্দোলন
অন্তর্বর্তী সরকার গত ২৫ মে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারি করে। ২২ মে উপদেষ্টা পরিষদের এ অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের পর থেকে সচিবালয়ে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন কর্মচারীরা। অধ্যাদেশে বলা হয়েছে : ‘সরকারি কর্মচারীরা যদি এমন কোনো কাজে লিপ্ত হন, যা অনানুগত্যের শামিল বা অন্য যে কোনো সরকারি কর্মচারীর মধ্যে অনানুগত্য সৃষ্টি করে বা শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধার সৃষ্টি করে; অন্যান্য কর্মচারীর সঙ্গে সমবেতভাবে বা এককভাবে ছুটি ছাড়া বা কোনো যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া নিজ কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকেন বা বিরত থাকেন বা কর্তব্য সম্পাদনে ব্যর্থ হন; অন্য যে কোনো কর্মচারীকে তার কর্ম থেকে অনুপস্থিত থাকতে বা বিরত থাকতে বা তার কর্তব্য পালন না করার জন্য উসকানি দেন বা প্ররোচিত করেন এবং যে কোনো সরকারি কর্মচারীকে তার কর্মে উপস্থিত হতে বা কর্তব্য সম্পাদনে বাধাগ্রস্ত করেন, তাহলে তিনি অসদাচরণের দায়ে দণ্ডিত হবেন।’
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শৃঙ্খলা এবং সেবা নিশ্চিত করতে এ অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছেÑএকাধিক উপদেষ্টা এ বিষয়টি নিশ্চিত করলেও সচিবালয় কর্মচারীদের দাবি, এ অধ্যাদেশ নিবর্তনমূলক। আন্দোলনের একপর্যায়ে কর্মচারীদের একটি অংশ সচিবালয়ের সবগুলো প্রবেশপথ বন্ধ করে দিয়ে উপদেষ্টা ও সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিম্মি করে। দাবি না মানলে কর্মচারীরা সচিবালয়ের বিদ্যুৎ ও পানির লাইনের সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার হুমকি দেন।
অধ্যাদেশের বিষয়ে কর্মচারীদের দাবি পর্যালোচনা করে সুপারিশ পেশ করার জন্য আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির কার্যক্রম চলমান অবস্থায়ও আন্দোলন অব্যাহত রাখেন কর্মচারীদের একটি অংশ।
এনবিআরে আন্দোলন
দেড় মাস ধরে আন্দোলন করে আসছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্মকর্তারা। এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নামে দুটি পৃথক বিভাগ গঠনে অধ্যাদেশ জারির পর তা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’ নামের প্ল্যাটফর্ম।
অধ্যাদেশ বাতিল, এনবিআর সংস্কারে পরামর্শক কমিটির সুপারিশ ওয়েসবাইটে প্রকাশ এবং সব অংশীজনের মতামতের ভিত্তিতে এনবিআরের প্রকৃত সংস্কারের দাবিতে কলমবিরতি, অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা। কর্মসূচির কারণে রাজস্ব কার্যক্রমে বড় ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হয়। একইসঙ্গে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের অপসারণের দাবি তোলে পরিষদ।
গত ২৫ মে বিবৃতির মাধ্যমে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে। সংশোধনের আগে অধ্যাদেশ কার্যকর হবে না। ওই বিবৃতির পর আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন তারা।
গত ১৯ জুন এনবিআর অধ্যাদেশ অনুযায়ী সংস্কার কার্যক্রমে ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। গত শনিবার ডিএমপির পক্ষ থেকে আগারগাঁওয়ে অবস্থিত এনবিআর ভবন থেকে বিডা ভবন পর্যন্ত সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। এরই মধ্যে কয়েকজন কর্মকর্তার বদলিকে কেন্দ্র করে এক ধরনের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এনবিআর ঐক্য পরিষদ নতুন করে অবস্থান কর্মসূচি ও কলমবিরতি পালনের ঘোষণা দেয়। রোববার কাফনের কাপড় পরে এনবিআর ভবনে অবস্থান করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আগামী ২৭ জুনের মধ্যে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ ও কর্মকর্তাদের বদলির আদেশ প্রত্যাহার করা না হলে ২৮ জুন থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রাীসেবা ব্যতীত এনবিআরের সব ধরনের কার্যক্রমে লাগাতার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করেছে পরিষদ।
এছাড়া দাবি আদায়ে প্রতিদিনই অবস্থান কর্মসূচি ও কলমবিরতি পালন করার কথা জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এনবিআর কর্মকর্তাদের এই আন্দোলনের কারণে সরকারের রাজস্ব আদায় ও সেবা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে।
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের আন্দোলনে অচল শাহবাগ
পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শেখ হাসিনার শাসনামলে চাকরিচ্যুত, নানাভাবে হয়রানির শিকার ও ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। সোমবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন তারা। এ সময় আশপাশের সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
অবরোধকারীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিল সহকারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে শাহবাগ মোড়ে এসে অবস্থান নেন। পুলিশ আগে থেকেই সেখানে ব্যারিকেড দিয়ে রাখে। কিন্তু পুলিশি ব্যারিকেড উপেক্ষা করে অবরোধকারীরা চৌরাস্তার মাঝখানে বসে পড়েন। সেখানে তারা নানা ধরনের স্লোগান দেন। তাৎক্ষণিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই চৌরাস্তা দিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে শাহবাগ মোড়কে ঘিরে চারপাশের সড়কগুলোতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় ওই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা।
সরকারের কাছে দাবি পেশ করে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা জানান, পিলখানাসহ সারা দেশের বিডিআর ইউনিটগুলোতে বিশেষ আদালত এবং মহাপরিচালক ও অধিনায়কের সামারি কোর্টের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত (৭৬ ব্যাচসহ) সব বিডিআর সদস্যকে চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধাসহ পূর্ণ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে গঠিত তদন্ত কমিশনকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। মিথ্যা সাক্ষীর ভিত্তিতে দণ্ডিত হয়ে বর্তমানে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে কারাবন্দি নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ২০০৯ সালে পিলখানায় সৃষ্ট ঘটনার আলোকে যেসব ন্যায়পরায়ণ ও দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাদের অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে, তাদের সবাইকে পুনর্বাসন করতে হবে এবং ‘বাংলাদেশ রাইফেলস’ তথা ‘বিডিআর’ নামটি পুনঃস্থাপন করতে হবে।
মেয়রের চেয়ারে বসার দাবিতে ইশরাকের ৪০ দিনের আন্দোলন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে শপথ পেতে গত ১৪ মে থেকে ইশরাক হোসেনের কর্মী-সমর্থকরা আন্দোলন শুরু করেন। নগর ভবনের প্রধান ফটকসহ বিভিন্ন কক্ষ ও ফটকে অন্তত ৭০টি তালা ঝুলিয়ে লাগাতার আন্দোলন চালানো হচ্ছে। এ আন্দোলনের সঙ্গে ডিএসসিসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি অংশকে জড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নগর ভবনের সামনে অবস্থান, রাস্তা অবরোধসহ জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী নানা কর্মসূচি তারা পালন করে আসছে। টানা আন্দোলনে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ঘেরাও করা হয়। তারা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাভুক্ত (কেপিআই) প্রতিষ্ঠান সচিবালয়ও একদিন ঘেরাও করে।
কয়েক দিন বিরতি দিয়ে ঈদুল আজহার ছুটির পর গত ১৫ জুন থেকেই আবার শুরু করেছে আন্দোলন। শুক্র-শনি ছুটির দিন বাদে তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। গতকালও নগর ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে দেখা গেছে। তবে, কর্মীবাহিনী আন্দোলন সক্রিয় হলে গত দুদিন ইশরাককে কম দেখা গেছে। দীর্ঘ ৪০ দিন টানা বন্ধ থাকার পর গতকাল নগর ভবনের প্রধান ফটকসহ ৫০টির মতো তালা খুলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে যেতে আন্দোলন করছেন ‘তথ্য আপারা’
‘তথ্য আপা’ নামে বিগত সরকারের সময়ে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি প্রকল্প চালু হয়। এ প্রকল্পে নিয়োজিত ‘আপারা’ এখন সরকারের রাজস্ব খাতে যেতে গত ২৭ দিন ধরে আন্দোলন করছেন। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তথ্য আপারা সরকারকে ব্ল্যাকমেইল করছেন। তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে প্রকল্পের অধীনে। প্রকল্প শেষ হলে তাদের চাকরিও শেষ হবে। অথচ তারাও এখন সব নিয়ম ও রীতিনীতি ভঙ্গ করে আন্দোলন করছে সরকারের রাজস্ব খাতে চাকরিতে প্রবেশের জন্য।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে তথ্য আপাদের নেত্রী সংগীতা সরকার বলেন, ‘আমরা উপদেষ্টার সঙ্গে মিটিং করতে গিয়েছিলাম। একমাত্র ডিপার্টমেন্টই আমরা; যেখানে সব কর্মকর্তা-কর্মচারী নারী এবং কাজ করছে নারীদের নিয়ে। এতগুলো নারীকে যখন সরকার কোনো কারণ ছাড়াই স্যাক করবে তখন কিন্তু গ্রাম-গঞ্জের যে নারীরা আমাদের আইডল মনে করে, তারা কাজে আসতে চাইবে না, ডিমোটিভেট হয়ে যাবে।
তাদের দুই দফা দাবি হলো- পদ সৃষ্টি করে কর্মরত সব জনবলকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা এবং কর্তন করা বেতন ও অন্যান্য ভাতা ফেরত দেওয়া।
এনটিআরসি-এর ভাইভা দেওয়া সবাইকে পাস করানোর দাবি
সব প্রার্থীকে সনদ দেওয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনে মৌখিক পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণরা। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় আন্দোলনকারীরা জানান, তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলিয়ে দেওয়ার কথা ছিল পুলিশের, কিন্তু দেয় নাই। আজও কথা বলানোর কথা ছিল, কিন্তু এখনো তারা সেটা করেননি। তিনি আরো বলেন, যতদিন পর্যন্ত শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের সঙ্গে কথা না বলবেন, ততদিন পর্যন্ত আমরা এখানে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
এমপিওর দাবিতে কাফন মিছিল শিক্ষকদের
স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে কাফনের কাপড় পরে সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষকরা। গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়। পরে মিছিলটি কদম ফোয়ারা এবং পুরান পল্টন মোড় ঘুরে আবার প্রেস ক্লাবের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
গত ২১ জুন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে ‘সম্মিলিত নন-এমপিও ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়।
মিছিল শেষে ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে টানা ১৭ দিনের আন্দোলন চলাকালে ১১ মার্চ আমাদের সাত সদস্যের শিক্ষক প্রতিনিধি দলকে সচিবালয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়। আলোচনার শুরুতে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেছিলেন, নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবি যৌক্তিক ও ন্যায্য। তবে বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নয়। তাই এখনই সব প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হচ্ছে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘গত মে মাসের মধ্যে এমপিওর সব কার্যক্রম শেষ করে পরিপত্র জারির আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শিক্ষা উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি এখন পর্যন্ত সরকার বাস্তবায়ন করেনি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে আবার রাস্তায় নেমেছি।’
দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে বলেও জানান এই শিক্ষক নেতা। প্রায় ৬০০ শিক্ষক মিছিল ও সমাবেশে অংশ নিয়েছেন।