
আগামী ২৬ জুন থেকে সারা দেশে একযোগে চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মোবাইলসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরারের সভাপতিত্বে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় প্রশ্নপত্র ফাঁস বা ফাঁস-সংক্রান্ত গুজব এবং পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার্থীদের কাছে নকল সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। পরীক্ষায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকেও দায়িত্ব পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
এ সময় সাইবার-সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের লক্ষ্যে পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণকে সাইবার পুলিশ সেন্টার, সিআইডি, বাংলাদেশের হটলাইনে (নম্বর-০১৩২০০১০১৪৮) যোগাযোগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া পরীক্ষা চলাকালে বিদ্যুৎ-বিভ্রাট নিরসনের লক্ষ্যে কেন্দ্রগুলোয় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে অবহিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ (ত্রিশ) মিনিট আগে পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে এবং এ সময়ের পর কোনো পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থী এর পর প্রবেশ করলে রেজিস্টারে তাদের নাম, রোল, প্রবেশের সময় ও বিলম্বের কারণ উল্লেখ করে পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে অবহিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ ছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কোনো কক্ষে পরীক্ষা বিলম্বে শুরু হলে যত মিনিট পরে পরীক্ষা শুরু হবে, পরীক্ষার্থীদের ততটুকু সময় প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।