
বাংলাদেশের মোট মৎস্য উৎপাদনে ইলিশ মাছের অবদান প্রায় ১২%। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত কয়েক বছরে দেশে ইলিশের উৎপাদন যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে দেশে ইলিশের বার্ষিক উৎপাদন ৫ লাখ ৭১,০০০ মেট্রিক টন। তবে উৎপাদন বাড়লেও দাম বেশি থাকায় বেশিরভাগ মানুষের কাছেই “মাছের রাজা” যেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।
বর্তমানে রাজধানী ঢাকার বাজারে এক কেজি ওজনের একটি নদীর ইলিশের দাম চাওয়া হচ্ছে ২,২০০ থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত। যা মধ্যম আয়ের মানুষের কাছে কঠিনসাধ্য, নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে তো সেটি আরও ভয়াবহ ব্যাপার।
ছোট ইলিশের দামও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। ঢাকার বাজারে ৫০০ গ্রাম আকারের নদীর (চাঁদপুর ও বরিশাল) ইলিশের প্রতি কেজির দাম সর্বনিম্ন দেড় হাজার টাকা। আর মাঝারি আকারের (৮০০ গ্রাম) এক কেজি ইলিশ প্রায় দুই হাজার টাকা। তবে সাগরের ইলিশের দাম কিছুটা কম।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় গত ১৯ জুন এক কেজি ইলিশের দাম ছিল আকারভেদে ১ হাজার থেকে ২,৪০০ টাকা। এক বছর আগের তুলনায় যা ৫৫% বেশি।
মৎস্যখাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইলিশের মূল্যবৃদ্ধির বড় কারণ সরবরাহ কমে যাওয়া। এছাড়া, চাহিদা বেশি থাকায় বাড়তি দাম আদায় করেছে সিন্ডিকেট।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইলিশ উৎপাদনে কোনো খরচ নেই। খরচ যা হয়, তা ধরার পেছনে হয়। তাই, জুনের দ্বিতীয় ভাগে ইলিশের কেজিপ্রতি দর আড়াই হাজার টাকা হওয়াকে কৃত্রিম কারসাজি বলেই অভিমত অনেকের।
তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, যোগান বেশি না থাকলে মাছের দাম কমানোর সুযোগ থাকে না। কারণ, এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে জেলে ও ট্রলারের খরচ তথা ব্যবসার বিনিয়োগ ও অন্যান্য ব্যয়।