Image description
 

"আমাদের দেশে কেবল শেখ হাসিনার পতন হয়নি। শুধু আওয়ামীলীগের পতন হয়নি। একটি আদিপত্তবাদী শক্তির পতন ঘটিয়েছি আমরা। আমরা বলেছি বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত অন্য কোন দেশ থেকে হতে পারে না। বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জনগনের মধ্য থেকে হতে হবে। বাংলাদেশের মাটিতে হতে হবে। বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত জুলাই-আগষ্টের অন্দোলনে ভূমিকা পালন কারি সকল দল এবং মতের সঙ্গে আলোচনা করে হতে হবে। কোন একাটা দল বা কোন একজন ব্যাক্তিকে খুসি করে অন্তবর্তিকালিন সরকার বা নির্বাচন কমিশন কাজ করলে তারা কেবল তাদের নিরপেক্ষতাই হারাবেন তা শুধু না, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন। আমরা চাই আমরা সবাই মিলে এ দেশটাকে গড়ে তুলব।নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে আগে স্থানীয় নির্বাচন চাই।

আজ শনিবার (২১ জুন) বিকাল ৬টার দিকে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চান্দপাড়া ঢালী আছিয়া খাতুন আলিম মাদ্রাসার পুরাতন ভবন সংস্কার ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য ঢাকা মহানগরী দক্ষিনের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মাসুদ এ কথা বলেন। "

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ আরও বলেন, "একটা ফ্যাসিস্ট গেছে, ফ্যাসিস্টদের দোসরা রয়ে গেছে। মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য ফ্যাসিস্টদের দোসর মুক্ত একটা বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের অবশ্ব্যই বিচার সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে। আমাদের এমপি দরকার আছে, মন্ত্রী দরকার আছে। আমাদের স্থানীয় প্রশাসন দরকার আছে। ইউনিয়ন পরিষদগুলোর অধিকাংশ বন্ধ হয়ে আছে। রাস্তাঘাটসহ অবকাঠামোগত সংস্কারের অভাবে আমাদের নাগরিকরা সুবিধা বঞ্চিত হয়ে আছে। আমাদের আমাদের নাগরিকরা এমপি মন্ত্রীর সঙ্গে যতটা না সম্পৃক্ত তার চেয়ে বেশি সম্পৃক্ত স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় নির্বাচনের সঙ্গে। দলের সুবিধার জন্য নয়। আমাদের নাগরিক সুবিধা দেখার জন্য জামায়াতে ইসলামী আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দাবী করেছে। আমাদের এই দাবির সঙ্গে অধিকাংশ দল ইতিমধ্যে একত্মতা প্রকাশ করেছে। "

 

জামায়াত নেতা আরও বলেন, "আমরা বিচার চাই, আমরা সংস্কার চাই, আমরা স্থানীয় নির্বাচন চাই। জাতীয় নির্বাচন অবশ্ব্যই হবে। তিনশ’ আসনে অবাধ, সুষ্ঠু, সন্ত্রসমুক্ত, কালোটাকা মুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে ধাপে ধাপে স্থানীয় নির্বাচন হয়ে গেলে আমাদের সরকারের সক্ষমতা বোঝার সুযোগ হতো। "   

 

জামায়াত নেতা ড.মাসুদ বলেন, "ইতিপূর্বে আপনারা অনেককে আপনাদের পবিত্র আমানত ভোট দিয়েছেন এবং কি পেয়েছেন কি পাননি আমি সে হিসেবে আমি যেতে চাই না। আমি আপনাদের সন্তান হিসেবে ৪৬টি বছর আপনাদের পাশে অবস্থান করেছি।"

সবার উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, "সামনের দিকে আপনাদের পাশে থাকার জন্য আমি কি একটা ভোট আপনাদের কাছে ভিক্ষা চাইতে পারি না?"

এ সময় উপস্থিত সকলের হ্যা সূচক জবাবে ড. মাসুদ বলেন, "তাহলে এই বাংলাদেশে এবার বাউফল থেকে আপনাদের এই মদনপুরার গ্রামের  ছেলেটাকেই কেবল বিজয় করা হবে না, এবার বিজয় করা হবে সততা, নৈতিকতা, দক্ষতা অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক সৈনিককে। আমি বলেছি, বাউফলে কোন ব্যাক্তি এবার এমপি হবে না। এবার এমপি হবে বাউফলের সাড়ে ৪ লক্ষ মানুষ। এমপি হবেন এই সাড়ে চার লক্ষ মানুষের একজন খাদেম। আমি আপনাদের পাশে থাকব। আপনারা পাশে থাকবেন কিনা তা আল্লাহর ওপর সোপর্দ করলাম।" 
 
ড. মাসুদ আরও বলেন, "মদনপুরা ইউপির ঢালী আছিয়া খাতুন আলীম মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময়  জামায়াতে ইসলামীর বাউফল উপজেলা আমীর মাওলানা মো. ইসহাক মিয়া, সাবেক উপজেলা আমির মাওলানা মু. রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক খালিদুর রহমান, মাওলানা আব্দুস সাত্তার, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হালিম, এডভোকেট মুনতাসির মুজাহিদ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের বাউফল উপজেলা শাখার সভাপতি মো. লিমন হোসাইন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।