
সেনাসদস্য পরিচয়ে বরিশালের এক তরুণীকে বিয়ে করতে এসেছিলেন ময়মনসিংহের যুবক শান্ত (২০)। কিন্তু তাঁকে দেখে পাত্রী পক্ষের সন্দেহ হয়। আটকে রেখে থানায় খবর দিলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে তাঁর আসল পরিচয়।
শান্ত জানান, তিনি মুরগির খাবারের দোকানের একজন কর্মচারী। বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া এলাকায়। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টিকটকে ভিডিও তৈরি করতেন। সেখানে শান্ত নিজেকে সেনাসদস্য পরিচয় দিতেন।
ভুয়া পরিচয়ে অন্যকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলতে গিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নিজেই পুলিশের জালে আটকে পড়েন এই যুবক। বরিশালের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘ভুয়া সেনাসদস্য শান্তকে দেখে মেয়ে পক্ষের লোকজনের সন্দেহ হলে তাঁকে আটকে রেখে থানায় খবর দেওয়া হয়। এরপর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তাঁকে লেবুখালী সেনা ক্যাম্পে নেওয়া হয়। এ সময় শান্ত কোনো সেনাসদস্য নয় জানিয়ে তাঁকে পুলিশে সোপর্দ করে সেনা ক্যাম্প। এ সময় তাঁর কাছ থেকে সেনাবাহিনীর নকল গেঞ্জি জব্দ করা হয়।’
ওসি আরও বলেন, ‘শান্ত সেনাবাহিনীর নকল লোগো খচিত গেঞ্জি ও মাস্ক কিনে তা পরে ভিডিও ও ছবি টিকটকে প্রচার করে তরুণীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলতেন। তা বিশ্বাসযোগ্য করতে সেনাসদস্যের নেমপ্লেট ছাড়া ভিডিওতে নিজের ছবি বসিয়ে তা মেয়েদের কাছে পাঠাতেন। বিশ্বাস অর্জন করতে সেনাসদস্য ভুয়া পরিচয়পত্র তৈরি করে তরুণীদের কাছে পাঠাতেন শান্ত। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে বিয়ের প্রস্তাব দিতেন।’
মিজানুর রহমান বলেন, ‘শান্ত বরিশালে বিয়ে করতে আসার আগে গত সোমবার বাগেরহাটের এক মেয়েকে বিয়ে করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’