Image description

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত গণপ্রতিরোধ ও আত্মত্যাগের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখতে রাজধানীতে নির্মাণ করা হচ্ছে ‘গণমিনার’। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গণমাধ্যমকর্মী, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্টজনসহ নানা শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে ‘গণমিনার বাস্তবায়ন কমিটি’।

এ উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে কমিটির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। রাজধানীর ঠিক কোথায় এ মিনার নির্মাণ করা হবে এবং এর বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে সংবাদ সম্মেলনে।

আজ বুধবার (১৮ জুন) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে গণমিনার বাস্তবায়ন কমিটি। 

কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গণমিনার বাস্তবায়ন কমিটিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যুক্ত হচ্ছেন। অন্তর্ভুক্তিমূলক এই নাগরিক উদ্যোগটির লক্ষ্য, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান এবং শহিদদের স্মৃতিকে স্মারক রূপে সংরক্ষণ করা; যাতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মানুষের আত্মত্যাগ ও প্রতিরোধের চেতনা সঞ্চারিত হয়। জুলাই ২০২৪ ছিল একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যেখানে আপামর জনগণ স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। হাজার হাজার মানুষ নির্যাতিত হয়েছে, আহত হয়েছে, প্রাণ হারিয়েছে। জুলাই গণপ্রতিরোধে জাতির প্রতিবাদী সত্তার স্ফুরণ ঘটে। সেই সত্যকে স্মরণে রাখতে ‘গণমিনার বাস্তবায়ন কমিটি’ একটি স্থায়ী স্মারক নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। 

কমিটি আরও জানায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এরইমধ্যে গণমিনার নির্মাণের জন্য জমি বরাদ্দ, অর্থ ও প্রকৌশল সহযোগিতার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানে জাতিসংঘ স্বীকৃত ১ হাজার ৪০০ শহিদের নাম ও পরিচিতি গণমিনারে খোদাই করে সংরক্ষণ করা হবে। এছাড়া এই ভূখণ্ডে গত ২৫০ বছরের প্রতিরোধ ও লড়াইয়ের ইতিহাসের চিত্রও গণমিনারে তুলে ধরার পরিকল্পনা রয়েছে। গণমিনার বাস্তবায়নে গণমানুষের সম্পৃক্ততার লক্ষ্যে গণচাঁদা সংগ্রহেরও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।