সহযোগীদের খবরঃ বাংলাদেশিদের ভিসা কমিয়ে ‘মেডিকেল টুরিজম’ থেকে বিপুল আয় হারাচ্ছে ভারত

বিবিসি বংলা
Image description

বাংলাদেশিদের ভিসা কমিয়ে ‘মেডিকেল টুরিজম’ থেকে বিপুল আয় হারাচ্ছে ভারত

শেখ হাসিনা সরকারের পতন হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি ঘটে। এই টানাপড়েনের মধ্যে বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া কমিয়ে দেয় ভারত। এর ফলে দেশটির হাসপাতালগুলোতে বিদেশি রোগীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। সম্প্রতি আল জাজিরা এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদেন প্রকাশ করেছে।

এতে ‘মেডিকেল টুরিজম’ খাত থেকে বিপুল পরিমাণের আয় হারাচ্ছে ভারত। এখন ধুকছে দেশটির চিকিৎসা খাত।

বাংলাদেশে ভারতীয় দূতাবাস আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কিছু দিন ভিসা স্থগিত রেখেছিল। কয়েক মাস ধরে সীমিত আকারে ভিসা দেওয়া হচ্ছে। এতে চিকিৎসার জন্য ভারতীয় হাসপাতালগুলোর শরণাপন্ন হওয়া বাংলাদেশি রোগীরা বিপাকে পড়েছেন। এই ভিসা প্রতিবন্ধকতার জন্য ধুঁকছে ভারতের চিকিৎসা খাতও।

আল জাজিরায় প্রতিবেদনে বলা হয়, সাধারণত ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ বিদেশি রোগী চিকিৎসা নেন, যার ৬০ শতাংশই বাংলাদেশি। গত ৫ আগস্টের পর বাংলাদেশি রোগীর সংখ্যা ৮০ শতাংশ কমে গেছে। অর্থাৎ, এসব হাসপাতালে বিদেশি রোগীর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।

চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়া বিদেশি রোগীরা দেশটির অর্থনীতিতেও বড় অবদান রাখেন।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে ভারত ‘মেডিকেল ট্যুরিজম’ খাত থেকে প্রায় ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার (৭৭ হাজার ১৮৯ কোটি রুপি) আয় করে।

বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার পতনের আগে বাংলাদেশে ভারতের পাঁচটি ভিসা কেন্দ্রে দৈনিক অনলাইন ভিসার স্লট ছিল সাত হাজার। এখন এই সংখ্যা পাঁচশোতে নেমেছে।

বাংলাদেশি রোগী যাওয়া কমে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কলকাতার হাসপাতালগুলো।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্টের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানায়, ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট কলকাতার মাল্টি-স্পেশালটি পিয়ারলেস হাসপাতালের বহির্বিভাগে আগে দিনে ১৫০ জন বাংলাদেশি রোগী চিকিৎসা নিতেন। এখন তা ৩০-এর নিচে নেমেছে।

ভারতের স্বাস্থ্যসেবা অ্যাসোসিয়েশনের আলেকজান্ডার থমাস আল জাজিরাকে জানান, বেঙ্গালুরুর নারায়ণ হেলথ, চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো এবং ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিকেল কলেজও (সিএমসি) এই ভিসা প্রতিবন্ধকতার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।ঢাকাটাইমস

 

'রাতের ভোটে'র ৩০ জেলা প্রশাসক এখনো গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল'

 নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম এটি।

এতে বলা হচ্ছে, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন 'রাতের ভোট' হিসেবে পরিচিত। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার প্রায় পাঁচ মাস হলেও এখন পর্যন্ত রাতের ভোটের সেই কারিগরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি।

ওই নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী ৩০ জেলা প্রশাসক এখনও প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল রয়েছেন।

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ এককভাবেই ২৫৮টি আসনে জয়ী বলে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করে।

এ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি দেখানো হয় ৮০.২০ শতাংশ। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ পায় মোট ভোটের ৭৪.৪৪ শতাংশ।

তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার তার নির্বাচননামা বইয়ে লিখেছেন, জনগণের কাছে এ নির্বাচন 'রাতের নির্বাচন' হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়িত থাকলেও রাতের ভোটের নেপথ্যের নায়ক ছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসকরা। তারাই এই নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন।

 

পাঠ্যবইয়ে বড় পরিবর্তন— সমকালের প্রধান শিরোনাম এটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে প্রথমবারের মতো নতুন পাঠ্যবই পেতে শুরু করেছে সারাদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা।

প্রকাশিত এসব বইয়ে বিষয়বস্তুর পাশাপাশি বড় পরিবর্তন এসেছে আধেয়তে (কনটেন্ট)।

পাঠ্যবই বিশ্লেষণে দেখা যায়, নতুন নতুন গল্প-কবিতা যুক্ত করায় বাদ পড়েছে অনেক কিছু। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার লেখাও বাদ দেয়া হয়েছে।

তবে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এসেছে ইতিহাস বর্ণনায়। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের জীবনী ও কর্মকাণ্ড নিয়ে আধেয় থেকে ঝেড়ে ফেলা হয়েছে অতিরঞ্জিত ইতিহাস। ব্যক্তি-বন্দনা কমিয়ে রাজনীতিকদের সম্মান দেয়া হয়েছে।

পাঠ্যপুস্তকের পেছনে এবার নেই ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ও তার উদ্ধৃতি। সেখানে স্থান পেয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি ও নানা স্লোগান।

বইয়ে পাতায় স্থান করে নিয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিষয় ও নতুন কিছু গল্প-কবিতা।

পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বইয়ের শহীদ আবু সাঈদ ও মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর ছবি যুক্ত করা হয়েছে।

সমকাল পত্রিকা

আ. লীগের পতনের আগে করা ৩৫ মামলা সাজানো— আজ প্রথম আলোর প্রধান খবর এটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজধানীতে অন্তত ৩৫টি মামলা করেছিল পুলিশ। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সাজানো এসব মামলায় বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের ওপর হত্যার দায় চাপানো হয়েছিল।

এখন পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, হত্যার ঘটনার সঙ্গে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা জড়িত নন।

অবশ্য ৩৫ মামলায় উঠে আসা ৬২ জন হত্যায় কারা জড়িত, তা পুলিশ বের করতে পারেনি। খুনিদের শনাক্ত করতে না পেরে সম্প্রতি সেই সব মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়া হয়েছে।

এই ৩৫ মামলার মধ্যে ৯টির চূড়ান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও দলের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা জড়িত বলে প্রতীয়মান হয়। সেই নেতাকর্মী কারা, তা–ও তদন্ত কর্মকর্তা বের করতে পারেননি।

প্রথম আলো

ব্যাংকের মুনাফার প্রধান উৎস এখন সরকারি কোষাগার— আজ বণিক বার্তার প্রধান খবর এটি।

এতে বলা হচ্ছে, এক বছর ধরে সরকারের ট্রেজারি বিল-বন্ডের সুদহার ১১-১৩ শতাংশ, যা নিকট অতীতে দেখা যায়নি। এত উচ্চ সুদের কারণে ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগৃহীত আমানতের বড় অংশই সরকারকে ঋণ দেয়ার কাজে ব্যবহার করছে।

এতে ব্যাংকের মুনাফা বাড়লেও সরকারের সুদ খাতের ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে সরকারের পরিচালন খাতে ব্যয় হয়েছে ৮২ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে কেবল সুদ পরিশোধেই ৪২ হাজার ৩৮৮ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।

বিল-বন্ডের পাশাপাশি ব্যাংক ঋণের সুদহার উসকে ওঠার পেছনে বাংলাদেশ ব্যাংকের দেয়া সংকোচনমুখী মুদ্রানীতির প্রভাবই সবচেয়ে বেশি।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলে ব্যাংক ঋণের সুদহার সর্বোচ্চ ৯ থেকে বাড়িয়ে প্রায় ১৬ শতাংশে উন্নীত করা হয়। নীতি সুদহারও ৫ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

যদিও সংকোচনমুখী মুদ্রানীতির প্রভাবে দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

বণিক বার্তা

আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম— আ. লীগের সুবিধাপ্রাপ্তরাই এগিয়ে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ আমলে সুবিধা পেয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানই নতুন ১০ সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে কাজ পেতে এগিয়ে, তা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।

গত ডিসেম্বরে ১০টি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্রর জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। তাতে শর্তের কারণে বিগত সময়ে বিদ্যুৎ খাতে সুবিধাপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোই এবারও এগিয়ে।

বিগত সরকার ৫৯টি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র অনুমতি দেয়ার শেষ পর্যায়ে ছিল। এসব কেন্দ্র নিতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠান ওই সময় জমি কেনা বা সংগ্রহের কাজ শেষ করেছিল।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে ওই ৫৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাতিল করে। এগুলোর মধ্যে ১০টি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র আগে নির্ধারিত স্থানে নির্মাণের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়।

পিডিবির প্রকৌশলীরা বলছেন, দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী, কেন্দ্র করতে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের উপকেন্দ্র থেকে সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে ১০০ থেকে ১৫০ একর অকৃষি জমি থাকতে হবে এবং কেন্দ্র চালানোর দুই বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

কিন্তু হাতে তেমন একটা সময় না থাকায় নতুন কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নির্দিষ্ট এলাকায় এত জমি সংগ্রহ করা কঠিন।

আজকের পত্রিকা

নিত্যপণ্যে ভয় ধরাচ্ছে ডলার— কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম এটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোজার আগে নতুন করে ডলারের দর বৃদ্ধি আমদানিনির্ভর পণ্যের দাম বাড়ানোর ঝুঁকি তৈরি করছে। এখন আমদানিকারকদের বাড়তি দরেই এলসি বা ঋণপত্র খুলতে হচ্ছে।

বিশেষ করে বাজারে ভোজ্য তেলের সংকট ও ছোলার সরবরাহ জটিলতাই ভোক্তার মনে ভয় ধরাচ্ছে বেশি। ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানি স্বাভাবিক থাকা ও শুল্কছাড়ের কারণে দাম খুব একটা না বাড়ার ব্যাপারে আশার বাণী শোনালেও আশ্বস্ত হতে পারছে না ভোক্তারা।

রমজানে চাহিদার জোগান দিতে তিন থেকে চার মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি নেন ব্যবসায়ীরা। তবে এবার পণ্য আমদানির এলসি কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গত নভেম্বর পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে ভোগ্য পণ্য আমদানি কমেছে।

জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ২৫৭ কোটি ডলারের ভোগ্য পণ্য আমদানির এলসি খোলা হয়, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩ শতাংশ কম। ভোগ্য পণ্য আমদানি নিষ্পত্তিও কমেছে ১৩ শতাংশের বেশি।

এমন পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দর বাড়িয়েছে। এখন রমজানের পণ্যের এলসি খোলার চূড়ান্ত সময়।

কালের কণ্ঠ

তীব্র গ্যাস সংকট, দিনের রান্না রাতে— মানবজিমনের প্রধান খবর এটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী ঢাকার বাসিন্দারা তীব্র গ্যাস সংকটে ভুগছেন।

অনেক এলাকায় দিনভর গ্যাস থাকছে না। কিছু কিছু জায়গায় গ্যাস থাকলেও সেটা প্রয়োজনের তুলনায় চাপ কম। তাই বাধ্য হয়ে বাসিন্দারা দিনের খাবার রাতে রান্না করে রাখছেন।

সেসব জায়গায় বিকেলে বা সন্ধ্যায় চুলা জ্বলে। সবচেয়ে বেশি গ্যাস সংকট শনির আখড়া, কোনাপাড়া ও রায়েরবাগে।

লাইনের গ্যাসে রান্না করতে না পেরে কেউ এলপিজি সিলিন্ডার কিনে এনেছেন। এতে তাদের খরচ বেড়ে যাচ্ছে।

এমনকি কোথাও কোথাও মাটির চুলায় রান্না করতেও দেখা গেছে। লাইনের গ্যাস না থাকায় হোটেলগুলোতে ভিড় বেড়েছে।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সূত্রে জানা যায়, এলএনজি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গ্যাস সরবরাহ কমে গেছে।

লাইনের কাজও চলমান অনেক এলাকায়। যার কারণে গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করছে। ৫ই জানুয়ারি পর্যন্ত এই ভোগান্তি থাকার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

মানবজমিন পত্রিকা

আদালত ঢেকে যায় নথিতে— দেশ রূপান্তরের প্রধান শিরোনাম এটি। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কেবল আলমারি বা বড় র‍্যাকে নয়; বিচারকের আসনের সামনে, ডানে, বামে ও পেছনেও বিচারাধীন মামলার নথির স্তূপ।

ঢাকা জেলা ও দায়রা আদালত ভবনের (পুরনো) দোতলায় পরিবেশ আদালতে সম্প্রতি দেখা মিললো এ চিত্র।

একই অবস্থা ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতে। ভবনের দোতলার পশ্চিম পাশের বাঁদিকের শৌচাগারকেই বানাতে হয়েছে রেকর্ডরুম।

আদালতসংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা বলছেন, এমন অবস্থা অনেক আদালতে। অনেক সময় দৃষ্টিকটু দেখাবে বলে নথিগুলো কোনও মতে আড়াল করা হয়।

সুপ্রিম কোর্ট থেকে পাওয়া সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, উচ্চ ও অধস্তন আদালতে বিচারাধীন বা অনিষ্পন্ন মামলা এখন ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫১০। একে তো লাখ লাখ মামলার চাপ। অন্যদিকে আদালতজুড়ে থাকা হাজার হাজার নথি সংরক্ষণে নেই সুরক্ষিত জায়গা।

দেশ রূপান্তর

No progress in extradition of PK Halder from India, অর্থাৎ ভারত থেকে পি কে হালদারের প্রত্যর্পণে অগ্রগতি নেই— ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের প্রধান শিরোনাম এটি।

খবরে বলা হচ্ছে, অর্থপাচারের অভিযোগে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) ভারত থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেনি সরকার।

এছাড়া দেশের চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে করা ৫১টি মামলার বিচার ও তদন্তে খুব একটা অগ্রগতি নেই।

অর্থপাচারের অভিযোগে ২০২২ সালের ১৪ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে পিকে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

গ্রেপ্তারের আড়াই বছর পর ২০২৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর কলকাতার বিশেষ আদালত তাকে জামিন দিলে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।

যদিও সরকার ও দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সে সময় পি কে হালদারকে দ্রুত ফিরিয়ে আনার কথা বলেছিলেন। ২০১৩ সালের অক্টোবরে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্দি বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় এবং এই চুক্তির আওতায় দুই দেশের মধ্যে বন্দি বিনিময়ের সুযোগ রয়েছে।

নিউ এজ


author

Ari budin

#

Programmer, Father, Husband, I design and develop Bootstrap template, founder