Image description
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমাতে এসআই, এএসআই ও কনস্টেবলরা সামনে থেকে প্রতিরোধ গড়েন * অভিযুক্তদের দাবি, ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশ পালন করেছেন, গুলি না ছুড়েও মামলার আসামি হয়েছেন অনেকে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করে পুলিশ বাহিনী। পতন ঘটা হাসিনা সরকারের আজ্ঞাবহ ‘পুলিশ লীগ’র কতিপয় কর্মকর্তার নির্দেশ পেয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠে মাঠের পুলিশ।

নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে নির্মম ভাবে প্রকাশ্যে গুলি করে যার অন্যতম দৃষ্টান্ত রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের মেধাবী ছাত্র আবু সাঈদ। ফলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও ভুক্তভোগীর স্বজনদের মামলার আসামি হয়েছেন পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যরা। অনেকের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলাও হয়েছে।

ইতোমধ্যে ৯৫২ পুলিশ সদস্য হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি হয়েছেন। এসব আসামির ৫৬ ভাগই পুলিশের নিচের স্তরের সদস্য অর্থাৎ এসআই, এএসআই ও কনস্টেবল পদমর্যাদার। একক সংখ্যার দিক থেকে সবচেয়ে বেশি আসামি হয়েছেন এসআই যার সংখ্যা ২৭৬ জন।

এছাড়া আসামির তালিকায় আছেন-৯১ এএসআই, ১৫৭ কনস্টেবল ও নামোল্লেখ নেই ৮ পুলিশ সদস্যের। পুলিশ সদর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র বলছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে পুলিশের এসআই, এএসআই ও কনস্টেবলরা সামনে থেকে প্রতিরোধ গড়ে তালেন। ছাত্র-জনতার ওপর গুলি ছোড়ার মূল দায়িত্ব পালন করেন তারা। ৫ আগস্ট আন্দোলন চলাকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনবাড়ীতে প্রকাশ্যে পুলিশের গুলিতে কলেজছাত্র মো. হৃদয় (২০) নিহত হওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় শিল্প পুলিশের কনস্টেবল আকরাম হোসেনকে গ্রেফতার করেছে কোনাবাড়ী থানা পুলিশ।

ইতোমধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঘিরে হওয়া হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় পুলিশের ২৮ সদস্য গ্রেফতার হয়েছেন। অন্যরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। তবে আসামি হওয়া পুলিশের নিচের স্তরের সদস্যদের দাবি, তারা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ পালন করেছেন মাত্র। গুলি না ছুড়েও মামলার আসামি হয়েছেন অনেকে।

জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর যুগান্তরকে বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা এবং হত্যার ঘটনায় মামলাগুলো জনসাধারণ করেছে। যেসব মামলা হয়েছে সেগুলো পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছে। যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্যপ্রমাণ রয়েছে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, এটি চলমান প্রক্রিয়া।’

আন্দোলনে পুলিশের নিচের স্তরের সদস্যরা সিনিয়রদের নির্দেশে গুলি ছুড়েছেন, এ বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটির তদন্ত চলছে। তদন্তের মাঝখানে তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে কোনো কিছু বলতে পারব না।

পুলিশের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় আসামির তালিকায় আরও আছেন ৪৭ জন সাবেক আইজিপি ও সাবেক অতিরিক্ত আইজপি। ২৩ সাবেক ও বর্তমান ডিআইজি, ৪৫ সাবেক ও বর্তমান অতিরিক্ত ডিআইজি, ৬৩ পুলিশ সুপার, ৫৭ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ৩২ সহকারী পুলিশ সুপার ও ১৫৩ ইন্সপেক্টর।

সর্বোচ্চ ১৭১টি মামলার আসামি হয়েছেন সাবেক ডিবি প্রধান ডিআইজি হারুন অর রশিদ। মামলার সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ১৫৫টি মামলা হয়েছে। এছাড়া সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ১১৭টি, অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব কুমার সরকারের বিরুদ্ধে ১২৫টি, সাবেক এসবি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৪৬টি মামলা হয়েছে।

এসব রাঘববোয়ালদের মধ্যে শুধু তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন গ্রেফতার হয়েছেন। অন্যরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন।

আসামি হওয়া ২৭৬ সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) : খাজা এনাম এলাহী, মো. নুর উদ্দিন, সজিব, বোরহান উদ্দিন, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন, মনিরুল আলম খোরশেদ, এসএম জামাল উদ্দীন চৌধুরী, মৃণাল কান্তি মজুমদার, মমিনুল হক, আসাদুল রহমান, সাইফুল, আনোয়ার হোসেন, মো. আনোয়ার হোসেন ওরফে আক্তার, আনন্দ চন্দ্র, শাহাবুদ্দিন হাওলাদার, অমিতাভ দর্জি, মো. শাহাদাত আলী, কাওসার আহম্মদ খান, মো. মামুন মাতব্বর, নূরে আলম মিয়া, মাসুম বিল্লাহ, সঞ্জিব কুমার সরকার, মো. আসাদুজ্জামান, মো. জহিরুল ইসলাম, মো. মাজহারুল ইসলাম, মো. রশিদ, মো. আমিনুল হক, রফিক, হোসেন, আশরাফ, সায়েম, কামরুল, তামিম, মানিক, নাজমুল, সাইদুল ইসলাম, রাজিব চন্দ্র সরকার, আশ্রাফুল শিকদার, দীপক কুমার দাস, শেহাব উদ্দিন, বাহাউদ্দিন ফারুকী, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. বিল্লাল হোসাইন, নজরুল প্রামাণিক, সাকলাইন হোসেন, মতিউর রহমান, মো. জহিরুল আলম, বদরুল আলামিন, বাবুল, আবু জাহিদ তুহিন, আশরাফুল ইসলাম, মো. জামাল হোসেন, মেনিষ ঘোষ, ওবায়দুর রহমান, আব্দুর রহমান, আরসেল তালুকদার, সেহান রহমান শোভন, শামীম হোসেন, শিহাব হোসেন, মো. তারেক নাজির, মো. মোজাম্মেল হোসেন, সোহেল রানা, সুদীপ কুমার বিশ্বাস, শিমুল কুমার মহন্ত, আলা উদ্দিন, প্রাণতোষ, মফিজুর রহমান, শফিকুল ইসলাম, আরিফুর রহমান, মিজানুর রহমান, আমজাদ হোসেন, আশিকুর রহমান, মুকিব হাসান, মো. কবির হোসেন, জসিম উদ্দিন দেওয়ান, মামুন, গণেশ, মজনু, বিভূতি ভূষণ রায়, আকামল হোসেন, নিতাই রায়, কাজী রিপন সরকার, পলাশ চন্দ্র দাস, সাইদুর রহমান, কল্লোল গোস্বামী, আসাদুজ্জামান, রিয়াজ আহম্মদ, মাহবুবুর আলম মন্ডল, মো. বাহার উদ্দিন, রেজওয়ান আহম্মদ, নিহারেন্দু তালুকদার, শামীম উদ্দিন, নজরুল ইসলাম, মাহবুব হাসান, আব্দুল হান্নান, হান্নান শরীফ, আবুজর গিফারী, আবুল কাশেম, হুমায়ুন কবীর, বিধান কুমার বিশ্বাস, ইয়াসিন আলী, লিটন বিশ্বাস, আমিনুল এহসান, আব্দুল মালেক, আব্দুল কালাম, মো. হজরত আলী, আব্দুল মোমিন, শেখ সুমন হাসান, আশরাফুজ্জামান, পাইক দেলোয়ার হোসেন, আসাদুজ্জামান, কবির হোসেন মোল্লা, স্বপন কুমার দাশ, জিয়াউল হক, শেখ আলী আকবর, মো. ইউনুস আলী গাজী, আমিনুর রহমান, বোরহানুল ইসলাম, উজ্জ্বল মৈত্র, প্রবীর মৈত্র, মঞ্জুরুল ইসলাম, টোটন মজুমদার, সাফায়েত আহমেদ, তানভীর, মিজান, শহিদ, ওমর শরীফ, সুমন কুমার দে, আবু আনছার, নূর আলম, সাখাওয়াত হোসেন, অজিত কুমার, আমিনুল ইসলাম, অরুণ কুমার দাশ, আবুল হাসান, রাজীব কুমার রায়, একলাছ, হাফিজুর রহমান, আসিফ ইকবাল, বিকাশ সরকার, মো. আবুল কালাম, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, হেকমত আলী, শরীফ মিয়াজি, জাবেদ, মিল্টন রায় চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, মো. ইব্রাহিম, মো. নাজমুল হক, শরজিৎ কুমার ঘোষ, গাজী ইকবাল, মো. সাহেব আলী, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সুদীপ, হারুন অর রশিদ, সাব্বির, রনি কুমার পাল, হারান, মকলেছ, তারেক, কাশেম, সুধীর রঞ্জন বড়ুয়া, আবুল কালাম আজাদ, শিশির কুমার বিশ্বাস, ইসমাইল হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, রোকনুজ্জামান, মেহেদী হাসান, শাহজাহান, প্রীয়তোষ চন্দ্র দত্ত, মো. মোক্তার হোসেন, আব্দুল কাদের, মো. এনামুল হক, নাজমুল ইসলাম, মাইন উদ্দিন, এজাজ শরীফ, সমীর চন্দ্র সূত্রধর, এজাজ, আলমগীর কবীর, সুজন কুমার তালুকদার, জাহাঙ্গীর, জাহিদুল ইসলাম, শামীম হোসেন, ফরহাদ মাতুব্বর, কামরুল হাসান, আশরাফুল আলম, টিটু সর্দার, আনিসুর রহমান, রামকানাই সরকার, জাহিদুল আলম, মাসুম, ইউনুস, আনোয়ার, মোজাম্মেল, আলমগীর, শফিকুল ইসলাম, মুহাম্মদ আরিফুল আলম অপু, আজাদ, আসাদ, সাইফুল ইসলাম, মো. মনোয়ার হোসেন, তারিকুল ইসলাম, মো. কামরুজ্জামান, রমজান আলী, শ্রী প্রতাপ চন্দ্র দাস শান্ত, মো. কামরুল হাসান, রাশেদুর রহমান, অনুপ বিশ্বাস, তাপস কুমার পাল, মো. আক্তার হোসেন, বছির উদ্দীন, আবদুস সালাম, মো. মেহেদী হাসান, গৌতম তেওয়ারী, মো. মিজানুর রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, জামাল, মো. নাসিরুল হক খান, গোলাম মোস্তাফা, মনির, মো. গোলাম রসুল, মো. জহিরুল, রাশেদুল ইসলাম, শিশির কুমার চক্রবর্তী, মোতাহার আলী, মশিউর রহমান, সাজ্জাদ হোসেন, শুভাশিস গাঙ্গুলী, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. আসাদুজ্জামান, মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, তপন কুমার সিংহ, সুধাংশু কুমার মন্ডল, নিখিল চন্দ্র অধিকারী, মো. এনামুল হক, কামাল হোসেন, বাবুল আক্তার, শ্যামাপদ পাল, বিধান চন্দ্র রায়, এইচএম শহিদুল ইসলাম, মো. আমির হোসেন, মিজানুর রহমান, সৈয়দ আলী, মো. নিরব হোসেন, মো. আশরাফুল আলম, মো. নাসির হোসেন, মো. ইমরান হোসেন, মো. গাফফার হোসেন, মো. হাসানুর রহমান, মো. শিহাবুর রহমান, ফারুক আহমেদ, পরিমল চন্দ্র দাস, আক্রাম হোসেন, মো. সাইফুল ইসলাম, গাজী মোয়াজ্জেম হোসেন, মো. শাহ আলম, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সেলিম, মো. মোজাম্মেল হক, মো. আসগর আলী, মো. বিসারত আলী, আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ, মো. আওলাদ হোসেন, দেবাশীষ নন্দী, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. আব্দুল কাদের, মো. সোহেল রানা, মো. আল ইমরান, রানা তোষ, মাহবুব মোর্শেদ, হিমেল রায়, রেজাউল হোসাইন, জমির উদ্দিন, মোর্শেদ আলম, মো. সোহেল রানা ও মো. রফিকুল ইসলাম।

ডিএমপির হাতিরঝিল থানার তৎকালীন এক উপপরিদর্শক (এসআই) যুগান্তরকে বলেন, আসামি হওয়া ২৭৬ এসআইর মধ্যে ২০০ জনই নিরপরাধ। এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, গুলি খরচের ভিত্তিতে আসামি করা হচ্ছে। অথচ হাতিরঝিল থানার ডিউটির জন্য আমরা ফোর্স চাহিদা দেওয়ার প্রেক্ষিতে ৩০ জন ফোর্স পিওএম থেকে থানায় আসে। যেদিন রামপুরা টিভি ভবন আক্রমণ হয় সেদিন ওই ৩০ কনস্টেবল গুলি ছোড়েন।

রাত ৮টার পরে তারা দ্রুত চলে যান। তখন তাড়াহুড়া করে হিসাব না করে আমরা যে অফিসার ও কনস্টেবল ওই থানার স্থায়ী আছি তাদের মধ্যে খরচ হওয়া গুলি ভাগ করে খরচ দেখিয়ে দেয়। আমি গুলি করিনি এক রাউন্ডও কিন্তু আমার নামের পাশে ১৭ রাউন্ড লিখেছে। পরে পরিস্থিতি যে এমন হবে, পুলিশ আসামি হবে এটা কারও কল্পনায় ছিল না।

মামলার আসামি ৯১ এএসআই : মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, হাফিজুল হাফিজ, মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম, রবিউল হোসেন, নিজাম উদ্দিন, মফিজ, সেলিম হোসেন, কামাল, ওয়াদুদ তালুকদার, সমীরণ চন্দ্র দেব, মো. আমির হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, কাজী ইমরান, এফএম তারেক, মদন মোহন অধিকারী, ইমরান মোল্লা, বিশ্বজিৎ, আব্দুল হান্নান, কিশোর বড়ুয়া, মহসিন তালুকদার, মাজেদ, ইমামুল, হাসান, উক্যাসিং মারমা, আরিফ, আনিচুর রহমান, মাবজুর রহমান, জালাল হোসেন, কাজী রেজাউল করিম, আব্দুস সালাম, জাফর, আমিনুল ইসলাম, নাজির উদ্দিন, সঞ্চয় কুমার বিশ্বাস, সুমন মিয়া, জুবায়ের আলম, ওলিয়র রহমান, হেলাল, আমির আফজাল বিপ্লব, শাহিদুল ইসলাম, কেএম এনায়েত হোসেন, মাহবুবুর রহমান মহসিন, সাইফুল ইসলাম, রাসেল মিয়া, আল মামুন, রেজাউল করিম, ইলিয়াস খান, জাহিদুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, রুবেল মজুমদার, রণেশ বড়ুয়া, আব্দুল মজিদ, রুহুল কাদির, মো. আনাছ, মো. সহিদ, শাহাদাত, মো. সহিদ, মো. আনোয়ার, মো. নুরুল, মো. জিয়া, শামীম রেজা, দেবাশীষ মন্ডল, ফারুক হোসেন, বিকাশ চন্দ্র সরকার, মুরাদ আলী, সোহরাব, মো. হাসানুর রহমান, রাজন গাজী, মো. সেলিম মুন্সি, মো. বিপ্লব হোসেন, সেলিম আহমেদ, শিবু দত্ত, আব্দুল মজিদ-২, জিন্নাত হাসান মানিক, জাকির হোসেন, জিল্লুর রহমান, মো. আনোয়ারুল ইসলাম, এরফান হোসেন মৃদুল, শহিদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, রাসেল মিয়া, মোহাম্মদ মিলন বিশ্বাস, মো. মেহেদী হাসান মোল্লা, মো. বাবুল মিয়া, মো. জহিরুল ইসলাম, মো. শরীফ হাসান, মিজানুর রহমান, সিদ্দিকুর রহমান, মো. মতিউর, আনন্দ বড়ুয়া ও সজীব সরকার।

মামলার আসামি ১৫৭ কনস্টেবল : মো. মাহবুব আলম, মো. আব্দুর রশীদ, সাজ্জাদ হোসেন নীরব, রমজান মোল্লা, মো. সোলাইমান, আবু সায়েদ, সুজন চন্দ্র রায়, সেলিম মিয়া, আজহার, উজ্জ্বল, ফিরোজ, রনি চন্দ্র রায়, সুজিত সিংহ, অপূর্ব সিংহ, প্রসেনজিৎ, সুমন, জাহাঙ্গীর আলম, বেলায়েত হোসেন, জিল্লুর রহমান, বাবুল হোসেন, ফারুখ হোসেন, নুরুল হক, আরজান আলম, জিয়াউর রহমান, রথিম চন্দ্র শারমা, মাহমুদ শারমা, শেখ আলম, হাবিবুর রহমান, রাসেল মাহমুদ, ওমর ফারুক, আব্দুর রহমান, আবিদুর রহমান, আসাদুজ্জামান, বদরুল আলম, দেবাশীষ অধিকারী, জাহাঙ্গীর, গৌতম সাহা, আনোয়ার, আব্দুল্লাহ, ইসমাইল, মাহফুজুল হক, আবু জাফর, শহীদুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, ইব্রাহিম, শাহজাহান, এনামুল, আবুল হাশেম, হাদিস উদ্দিন, আব্দুল মজিদ, দলিল উদ্দিন, নূর ইসলাম, শাহ নেওয়াজ, মঞ্জুরুল, মেহেদী, আজমল হোসেন, জাহাঙ্গীর, অহিদুজ্জামান, রেজাউল হোসেন, শহীদুজ্জামান, মুরাদ, মোর্শেদ, হাফিজ, সাঈদ, অভিজিৎ, হাসনাত, আবু বাক্কার, মজিবর রহমান, নজির আহম্মেদ, সাধন কুমার, নারদ কুমার, মো. জিল্লুর রহমান, গিয়াস উদ্দিন, সাইফুর রহমান, নাজমুল ইসলাম, জসীম উদ্দিন, আব্দুর ওহাব, মো. জাফর ইকবাল, মো. কামাল, পলাশ বড়ুয়া, আনোয়ার হোসেন, আবুল কালাম, উঘ্য মারমা, আরিফ চৌধুরী, ইয়াসিন মিয়া, রাসেল মিয়া, শামীম ভূঁইয়া, আশ্রাফ হোসেন, আবু হাসান, আয়ুব আলী, রাজু আহম্মেদ, রমজান, মো. তাহের, আবুল হোসেন, রফিকুল ইসলাম, দবিরুল, বাদল, মোহাম্মদ, মোহাম্মদ সরোয়ার, মোহাম্মদ ইউসুফ, মোহাম্মদ ফারুক,

আশরাফ, মো. নজরুল, মো. রফিকুল, আমান, মো. রফিকুল, মো. জাকির, মো. নুরুল, মো. কাইয়ুম, শফিকুল, শামীম আহমেদ, হাবিবুর রহমান, জাহাঙ্গীর, আ. জব্বার, গোবিন্দ, নারায়ণ, আশিষ, সুব্রত, মিলন, রাজীব, সাইফুল, মো. শাহজাহান, মো. কামাল, মো. ইলিয়াস, লুৎফর রহমান, মো. জিনাত আলী, মো. জিল্লুর রহমান, গোলাম মোস্তফা, আরিফুজ্জামান, মো. রমজান, হাবিবুর রহমান, শেখ নাইম, রাহুল ঘোষ, অলোক কুমার ঘোষ, মিজান শেখ, মাহামুদুর রহমান, রাজিবুল ইসলাম, টোকন হোসেন, মো. বুলবুল আহমেদ, সমির কুমার, মো. আনোয়ার হোসেন, কাউসার হাবিব, গোলজার, ছোহরাব আলী, সাইদুল, সেলিম, রাশেদুল, সানোয়ার, জহিরুল ইসলাম, খাদেমুল ইসলাম, মো. মেহেদী হাসান, শোয়াইবুর রহমান, মো. বায়েজিদ বোস্তামী, সুজন মিয়া, মো. মোতাহার, মো. ফাইজুল ইসলাম, সুকান্ত কুমার ভৌমিক। মামলার আসামি ৮ পুলিশ সদস্যের পদবি উল্লেখ নেই। তারা হলেন, মাশুক, আবুল কালাম বাবু, সাহীদুর রহমান, মো. সিরাজুল ইসলাম ইমন, শেখ ইমদাদ হোসেন, মাসুদ রানা, রাসেল মোল্লা ও আলী হোসেন।