
ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমান থাকা সত্ত্বেও তিনজনকে বাংলাদেশে পুশ ব্যাক-এর অভিযোগ উঠলো বিএসএফের বিরুদ্ধে। ওই তিনজন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। তারা মুম্বাইয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতো। তাদের সবার ঠাঁই হয়েছে বাংলাদেশের জিরো পয়েন্টের মাঠে।
গত শনিবার (১৪ জুন) ভোরে ওই তিন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশি দলের সঙ্গে কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানা এলাকার চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত এলাকায় গিয়ে পুশ ব্যাক করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ওই তিন ভারতীয় নাগরিক হলেন মুর্শিদাবাদ জেলার হরিহরপাড়া থানার তরতিপুরের বাসিন্দা নাজিমুদ্দিন মন্ডল, বেলডাঙা থানার কাজিশাহের বাসিন্দা মিনারুল শেখ এবং ভগবানগোলার থানার রাধিকান্তপুরের বাসিন্দা মেহবুব শেখ। এই ঘটনায় তাদের পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের ফিরিয়ে আনতে আত্মীয়-স্বজনরা জেলা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ভারতের মুম্বাইয়ের কানকিয়া থানার পুলিশ বেআইনি অনুপ্রবেশের অভিযোগে বাংলাদেশি সন্দেহে মুর্শিদাবাদের তিনজনকে আটক করে। তাদের অভিযোগ ভারতের বৈধ পরিচয় পত্র দেখানোর পরেও পুলিশ সেগুলোকে ভুয়া বলে তাদের আটক করেছে।
গত শুক্রবার (১৩ জুন) বাংলাদেশি নাগরিকদের সঙ্গে ওই তিন পরিযায়ী শ্রমিককে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের শিলিগুড়ি হেড কোয়ার্টারের হাতে তুলে দেয় মুম্বাইয়ের কানকিয়া থানার পুলিশ। গত শনিবার (১৪ জুন) সকালে চ্যাংরাবান্দা বর্ডার দিয়ে সবাইকে বাংলাদেশে পুশ ব্যাক করা হয়। সবার ঠাঁই হয় পাঠগ্ৰাম থানা এলাকার মাঠে।
এই ঘটনার পরই ওই তিনজন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা একটি ভিডিও বার্তায় সব ঘটনার বিবরণ দেয়। যদিও সেই ভিডিও বার্তার সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার মজিদ ইকবাল বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এরপরেই কোচবিহার জেলার মেখলীগঞ্জ থানার পুলিশ যোগাযোগ করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে। তারা যোগাযোগ করে বাংলাদেশে বিজিবির সঙ্গে। পরে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সহযোগিতায় সেই তিনজন ভারতীয় নাগরিককে মেখলীগঞ্জ থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়।