Image description

বাংলাদেশে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে একাধিক মামলা ও তদন্তের মুখে পড়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি, ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক শেষ পর্যন্ত লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেখা পাননি। এতে ‘হতাশা’ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টারের টিউলিপ।
গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে টিউলিপ বলেছেন, লন্ডন সফরকালে প্রফেসর ইউনূস দেখা করতে অস্বীকৃতি জানানোতে আমি হতাশ। অথচ ড. ইউনূসের কাছে লেখা চিঠিতে তিনি একবারও ইউনূসকে অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে সম্মোধন করেন নি। নেটিজেনরা টিউলিপের এই ঔদ্ধ্যত্তের নিন্দা জানিয়েছেন।

টিউলিপ ও তার মা শেখ রেহেনার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থার দাবি, টিউলিপ বা তার মা ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাত হাজার ২০০ স্কয়ার ফুটের প্লট বা জমি নিয়েছেন। তবে, এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন টিউলিপ। তার আইনজীবীরা বলছেন, এ অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশপ্রণোদিত এবং এর কোনো ভিত্তি নেই।

পরবর্তীতে টিউলিপ দাবি করেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ অভিযোগের বিষয়ে তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি। গত বছর ইকনোমিক সেক্রেটারি ও সিটি মিনিস্টার পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন টিউলিপ।

যুক্তরাজ্যে প্রধান উপদেষ্টার চার দিনের অবস্থানের সময় তার সাক্ষাৎ চেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক গত ৪ জুন চিঠি পাঠিয়েছিলেন। বাংলাদেশে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত নিয়ে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ দূর করার আশায় তিনি তার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন।
চিঠিতে টিউলিপ লেখেন, তিনি আশা করেন, সম্ভাব্য বৈঠক ঢাকার দুর্নীতি দমন কমিটির দ্বারা সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে সাহায্য করবে। এছাড়া আমার মায়ের বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার সম্পর্কের বিষয়টি তুলতে চাই। তবে সেই সাক্ষাৎ হচ্ছে না। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূসকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তিনি এই সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে চার দিনের সফরের সময় সিদ্দিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কিনা। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘না, করব না, কারণ এটা আইনি প্রক্রিয়া। আমি আইনি প্রক্রিয়ায় বাধা দিতে চাই না। প্রক্রিয়াটি চলতে থাকুক।