Image description

ভারতের গুজরাটে টেক অফের পরই বিধ্বস্ত হয় এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী বিমান। ২৪২ জন যাত্রী ও ক্রু-র মৃত্যুর আশঙ্কা। কার্যত ওড়ার পরই বিস্ফোরণ-ক্র্যাশ। এরই মধ্যে সামনে এসেছে ভয়ঙ্কর তথ্য। জানা গিয়েছে, বিমানটি মেঘানী নগরের বিজে মেডিকেল কলেজের ইউজি হোস্টেলের মেসে ভেঙে পড়ে। ফলে মেডিকেলের একাধিক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।

স্থানীয়দের দাবি, ওই হোস্টেলে প্রায় ৫০ জন ইন্টার্ন থাকতেন। দুর্ঘটনার সময়ে যারা সেখানে ছিলেন, সবারই মৃত্যুর আশঙ্কা।

গুজরাট পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে, আমরা জানতে পেরেছি যে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান মেডিকেল কলেজের হোস্টেলে বিধ্বস্ত হয়েছে। ২-৩ মিনিটের মধ্যে পুলিশ এবং অন্যান্য সংস্থা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। প্রায় ৭০-৮০ শতাংশ এলাকা পরিষ্কার করা হয়েছে। সব সংস্থা এখানে কাজ করছে।’

এদিকে স্থানীয় সূত্রের খবর, এই হোস্টেলের মেসের ওপর বিমানের কিছু অংশ ভেঙে পড়েছে। সেই সময়ই দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে বিল্ডিংয়ের একাংশ। সিভিল হোস্টেলে বসবাসকারী প্রায় ১৫ জন জুনিয়র ডাক্তার আহত হয়েছেন। মৃত্যুও হতে পারে একাধিকের, এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিমান দুর্ঘটনার কারণে মেঘানীনগরের অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এখনও পর্যন্ত খবর, বিমানে থাকা যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ নাগরিক, ১ জন নাগরিক, ৭ জন পর্তুগালের। এই এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে থাকায় ২৪২ জনেরই মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘আমদাবাদে মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় যে প্রাণহানি হয়েছে তা বেদনাদায়ক, ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনী দ্রুত দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্য গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শ্রী হর্ষ সাংঘভি ও আহমেদাবাদের পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি।’

ভেঙে পড়ার পরই বিমানে বিধ্বংসী আগুন লাগে। যার জেরে পুড়ে খাক বহুতল। আশপাশে অংশও ঝলসে যায় এই বিস্ফোরণে। বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭ বিমানে প্রচুর পরিমাণ জ্বালানি মজুত ছিল। কারণ আমদাবাদ থেকে লন্ডন যাওয়ার কথা ছিল।  ১২ বছরের পুরনো বিমান বোয়িং ড্রিমলাইনার ৭৮৭।