
এবারের ঈদুল আজহায় প্রায় এক কোটি ২৪ লাখ ৩৭ হাজার পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে ৯১ লাখের বেশি পশু কোরবানি করা হয়েছে। এবার পশু অবিক্রীত ছিল ৩৩ লাখ ১০ হাজার ৬০৩টি। এ ছাড়া করোনাকালের সমান পশু কোরবানি হয়েছে।
এই অধিদপ্তরের হিসাব মতে, ২০২৫ সালে দেশে ৯১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৪টি পশু কোরবানি হয়েছে, যার মধ্যে গরু ও মহিষ ৪৭ লাখ পাঁচ হাজার ১০৬টি এবং ছাগল ও ভেড়া ৪৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৬৮টি, অন্যান্য পশু ৯৬০টি।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের কারণে ২০১৬ সালেই কোরবানি পশুর সংখ্যা প্রথমবারের মতো এক কোটি ছাড়িয়ে যায়। ২০১৭ সালে এক কোটি পাঁচ লাখ, ২০১৮ সালে এক কোটি পাঁচ লাখ ৭০ হাজার, ২০১৯ সালে এক কোটি ছয় লাখ ২০ হাজার, ২০২০ সালে ৯৪ লাখ ৫০ হাজার, ২০২১ সালে ৯১ লাখের কিছু বেশি পশু কোরবানি করা হয়। করোনার কারণে ওই বছর পশু কোরবানি কম করা হয়। তবে পরের বছর পশু কোরবানি বেড়ে দাঁড়ায় ৯৯ লাখ ৫০ হাজার, ২০২৩ সালে এক কোটি ৪২ হাজার এবং ২০২৪ সালে এক কোটি চার লাখ ৯ হাজারে উন্নীত হয়। তবে চলতি ২০২৫ সালে ৯১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৩৪টি পশু কোরবানি হয়েছে। ফলে গত বছরের তুলনায় পশু কোরবানি কমেছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এবার সবচেয়ে কম পশু কোরবানি হয়েছে সিলেট বিভাগে। এই সংখ্যা তিন লাখ ১৯ হাজার ৮২৩। এরপর কম পশু কোরবানি হয়েছে ময়মনসিংহ বিভাগে। এই সংখ্যা তিন লাখ ৮৩ গাজার ১৬২। সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছে রাজশাহী বিভাগে, ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৯৭১টি। এরপর বেশি কোরবানি হয়েছে ঢাকা বিভাগে, ২১ লাখ ৮৫ হাজার ৪০টি। চট্টগ্রাম বিভাগে কোরবানি হয়েছে ১৭ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩২টি, খুলনা বিভাগে আট লাখ চার হাজার ২২৪টি। বরিশাল বিভাগে কোরবানি করা হয়েছে চার লাখ ৭৮৩টি গবাদি পশু। রংপুর বিভাগে কোরবানি করা হয়েছে ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৯৯৯টি গবাদি পশু।