Image description
 

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশ চালাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কার্যত তিন দিন সরকারশূন্য ছিল দেশ। গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূসসহ ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। পরে রাষ্ট্র সংস্কারসহ বিভিন্ন ইস্যু সামনে আসে এবং সেগুলো নিয়ে কাজও চলছে।

 

সম্প্রতি ড. ইউনূস সরকারের মেয়াদ ন্যূনতম পাঁচ বছর করার দাবি তোলেন এক ব্যক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে লেখালেখিও হয় বিস্তর। গত ১৮ এপ্রিল ড. ইউনূস সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর করা জন্য রাজু ভাস্কর্যের সামনে অনশন করেন একদল যুবক।

এর আগে গত ১২ এপ্রিল পাগলা মসজিদের দানবাক্সে টাকার সঙ্গে মনোবাসনা পূরণের আকাঙ্ক্ষার বেশ কিছু চিঠি-চিরকুট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি চিরকুট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। চিরকুটটিতে লেখা ছিল- ‘ড. ইউনূস স্যারকে আরও ৫ বছর চায় সাধারণ জনগণ। আল্লাহ তুমি সহজ করে দাও।’

আজ ঈদুল আজহার দিনেও ঘটল সেরকম আরও একটি ঘটনা। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজ শেষে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, ‘স্যার আপনাকে ৫ বছর চাই।’

এ সময় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদুল আজহার নামাজ শেষে দেশের মঙ্গলের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। 

শনিবার হাই কোর্ট সংলগ্ন ঈদগাহ ময়দানে সামনের কাতারে বসে নামাজ আদায় করেন তিনি। খুতবার পর অংশ নেন মোনাজাতেও।

মোনাজাত শেষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক এগিয়ে এসে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরে তিন উপদেষ্টার সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধান উপদেষ্টা।

এরপর প্রধান উপদেষ্টা সবাইকে ঈদ মোবারক জানান। সালাম দিয়ে তিনি বলেন, ‘সবাইকে আজকে একসঙ্গে ঈদের জামাতে পেলাম। সবাইকে ঈদ মোবারক জানালাম। সবাই এ পবিত্র দিনে দেশের মঙ্গলের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ হাফেজ।’

এরপর তিনি নিরাপত্তা বলয়ের মধ্য দিয়ে সবার উদ্দেশ্যে হাত নাড়তে নাড়তে ময়দান ছাড়েন। উপস্থিত জনতার পক্ষ থেকেও তখন শুভেচ্ছা জাননো হয়। এ সময় জনতার মধ্য থেকে বলতে শোনা যায়, ‘স্যার আপনাকে ৫ বছর চাই।’

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত হয়েছে সকাল সাড়ে ৭টায়। বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক নামাজের পর খুতবা ও মোনাজাত পরিচালনা করেন।

প্রধান জামাতে অংশ নেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াসহ কূটনীতিক, বিচারপতি, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।