Image description

আবারও উত্তপ্ত ভারতের অরুণাচল প্রদেশের মিয়ানমার সীমান্ত। শুক্রবার থেকে দফায় দফায় গুলির লড়াইয়ে দুই নাগা বিদ্রোহীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতেরা নাগা সংগঠন এনএসসিএন (খাপলাং-ইউংআং) গোষ্ঠীর বলে দাবি ভারতীয় সেনাদের।

অরুণাচলের লংডিং জেলার ওই দুর্গম অঞ্চলে টহলে গিয়ে শুক্রবার সেনা এবং আসাম রাইফেল্‌সের যৌথবাহিনী প্রথম হামলার মুখে পড়েছিল বলে দাবি করা হয়েছে দেশটির গণমাধ্যমে। এর পরেই বাড়তি বাহিনী পাঠানো হয় ওই এলাকায়। আরও দাবি করা হয়, ভারতীয় সেনাবাহিনীর পাল্টা আক্রমণে নিহত দুই সঙ্গীর দেহ ফেলে পালায় নাগা বিদ্রোহীরা। ঘটনাস্থল থেকে একে-৪৭ এবং এম-৪ স্বয়ংক্রিয় রাইফেলের পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে একটি গ্রেনেড লঞ্চার।

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তিন রাজ্যের সঙ্গে মিয়ানমারের প্রায় ১৬৪৩ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। এর মধ্যে অরুণাচল-মায়ানমার সীমান্ত প্রায় ৫০০ কিলোমিটার। মায়ানমারে সাম্প্রতিক গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতিতে সীমান্তে বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠনগুলির তৎপরতা বেড়েছে ফলে নজরদারি বাড়িয়েছে ভারতের সেনারা।

প্রসঙ্গত, নাগাল্যান্ড এবং মণিপুরে সক্রিয় এনএসসিএন (আইএম) গোষ্ঠীর সঙ্গে গত এক দশক ধরে কেন্দ্রের সংঘর্ষবিরতি চুক্তি বহাল রয়েছে। অন্য দিকে, মিয়ানমার সীমান্তে সক্রিয় এনএসসিএন (খাপলাং) বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে গত কয়েক বছরে একাধিকবার সেনা এবং অসম রাইফেল্‌সের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৭ সালে মায়ানমারে ওই গোষ্ঠীর প্রধান এসএস খাপলাংয়ের মৃত্যু হয়েছিল। তার পর সংগঠনটি আবার কয়েকটি গোষ্ঠীতে ভেঙে যায়। অরুণাচল-মায়ানমার সীমান্তের পাশাপাশি এনএসসিএন (খাপলাং-ইউংআং) গোষ্ঠীর সক্রিয়তা রয়েছে আসামেও।

বিডি প্রতিদিন