
আজ শনিবার (৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে সারা দেশে পশু কোরবানি করছেন সামর্থ্যবানরা। আর মহল্লা ঘুরে ঘুরে সেই পশুর চামড়া সংগ্রহ করছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। বর্গফুট নয়, এবারও পিস হিসেবে চামড়া কিনছেন তারা। তবে পাইকারদের প্রতিনিধিদের কাছে বিক্রি করতে এসে হতাশ হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। মিলছে না প্রত্যাশিত দাম।
বাজারে নৈরাজ্য প্রতিরোধে সরকারের হুঁশিয়ারি যেন কোনো কাজেই লাগছে না। রাজধানীতে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৬৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। প্রতি পিস গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ১৩শ’ টাকা। আর ঢাকার বাইরের দাম সাড়ে ১১শ’ টাকা নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
তবে আড়তদারদের প্রতিনিধিরা বলছেন, সরকারের বেঁধে দেয়া দামে চামড়া কেনা কঠিন। দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করা হয়নি।
অপরদিকে, ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। এ সময়, ব্যাপারীরা সরকারের নির্দেশনা না মেনে, কেনা দামের অর্ধেক দিতে চাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করছেন অনেকেই। সেইসাথে, এবারও খাসির চামড়ার দর নেই বললেই চলে জানান অনেক মুসল্লি।
তবে পাইকারদের প্রতিনিধিরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের মতে সরকার লবণযুক্ত চামড়ার দর নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু মৌসুমি ব্যবসায়ীরা রক্তযুক্ত চামড়ার জন্যে সেই দর চাচ্ছে।