
‘ভারত থেকে পুশ ইন ঠেকানো সম্ভব না’— এমনটা উল্লেখ করে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘পুশ ইন হচ্ছে, ফিজিক্যালি এটি ঠেকানো সম্ভব নয়। এটা নিয়ে ভারতের সঙ্গে আমাদের চিঠি আদান-প্রদান হচ্ছে। আমরা আজকে বা আগামীকাল আরেকটা চিঠি দেব এ বিষয়ে। এ সমস্যা সমাধানে কনস্যুলার পদ্ধতির (কনস্যুলার ডায়ালগ) আওতায় ভারতের সঙ্গে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ।
বিভিন্ন সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ভারত সরকার গত প্রায় এক মাসে অন্তত দুই হাজার মানুষকে স্থল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের ভেতরে ঠেলে দিয়েছে। যাদের ঠেলে দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে মিয়ানমারের পাশাপাশি ভারতেরও অনেক নাগরিক রয়েছে। বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তারা এভাবে সীমান্ত পথে ঠেলে দেওয়ার বিষয়টি ‘পুশ ইন’ হিসেবে অভিহিত করছেন। স্থানীয় পর্যায়ে সীমান্ত রক্ষায় নিযুক্ত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ছাড়াও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কূটনৈতিক চ্যানেলে এ বিষয়ে কয়েকটি চিঠি দিয়ে সরকারের আপত্তির কথা জানানো হয়েছে।
দুই দেশের মধ্যে নাগরিকদের চলাচল বিষয়টি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বছরে একবার কনস্যুলার সংলাপের মাধ্যমে আলাপ–আলোচনার সুযোগ আছে। পুশ ইনের বিষয়ে এমন সংলাপের আলোচনায় আসতে পারে, এমনটা জানান উপদেষ্টা।
ভারতের আশ্রয়ে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত পেতে প্রয়োজনে দেশটির সরকারকে আবার চিঠি দেওয়ার কথাও জানান উপদেষ্টা।
ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) গত জুলাই–আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এ বিষয়ে এর আগেও কূটনৈতিক চ্যানেলে ভারত সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে জানতে চান কি না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকেই জানতে চান। তখন তাঁদের কাছে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরা হয়।