
মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের তহবিল সংকটের কারণে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার জন্য নিয়োজিত স্থানীয় জনগোষ্ঠীর এক হাজার ১৭৯ জন কর্মীর সঙ্গে ইউনিসেফের অংশীদারদের থাকা চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৩ জুন) ইউনিসেফ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, দুঃখজনকভাবে বর্তমানে বিশ্বে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের তহবিলের যে সংকট দেখা দিয়েছে, তাতে আমরা কিছু কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি। এর ফলে এই সময়ে রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষার জন্য কিন্ডারগার্টেন, গ্রেড-১ ও গ্রেড-২ এ নিয়োজিত স্থানীয় জনগোষ্ঠীর (হোস্ট কমিউনিটি) এক হাজার ১৭৯ ব্যক্তির সঙ্গে ইউনিসেফের অংশীদারদের থাকা চুক্তি বাতিল করা হচ্ছে।
এই শিক্ষকদের মধ্যে ইংরেজি, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান ও অংকনের (ড্রয়িং) শিক্ষকরাও রয়েছেন। ঈদ ও এর পরবর্তী ছুটি (২৯ জুন পর্যন্ত) শেষে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর বাকি কর্মীদের শিক্ষাকেন্দ্রে তাদের কার্যক্রমে ফিরে আসাটা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করবে নতুন অর্থায়ন নিশ্চিত হওয়ার ওপর।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমাদের চলমান কর্মসূচিগুলোর মূল কাজগুলো চালিয়ে নেওয়ার জন্য সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় থাকা শিশুদের জন্য জরুরি সহায়তা নিশ্চিত করতে এবং এই অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং সময়ে শিশুদের কল্যাণে আমাদের প্রতিশ্রুতি বজায় রাখার জন্য— এই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া অত্যাবশ্যক হয়ে উঠেছে। আমরা আশাবাদী যে, অতি দ্রুত বাড়তি তহবিল পেয়ে আমরা গুরুত্বপূর্ণ সেবাগুলো পুনরায় চালু করতে ও আরও বড় পরিসরে চালিয়ে নিতে পারবো, যেগুলোর ওপর অনেক শিশু নির্ভর করে আছে।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, অব্যাহত সহযোগিতার জন্য আমরা আন্তর্জাতিক কমিউনিটি ও আমাদের অংশীজনদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ইউনিসেফ প্রতিটি শিশুর কল্যাণে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং আমরা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুদের প্রাপ্য শিক্ষা ও তাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার সুযোগ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সম্পদ যোগাড় করার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো।
ইউনিসেফ জানায়, বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কাছে পৌঁছাতে বিশ্বের কঠিনতম জায়গাগুলোতে কাজ করে ইউনিসেফ। ১৯০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে সবার জন্য আরও ভালো একটি পৃথিবী গড়ে তুলতে সর্বত্র সব শিশুর জন্য আমরা কাজ করি।