Image description
 

জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের সঙ্গে হাসপাতালের কর্মচারীদের মারামারির ঘটনায় চারদিন ধরে বন্ধ রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। জরুরি বিভাগ থেকে শুরু করে অচল ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা।

 

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা রোগীদের ভোগান্তি এখন চরমে। তবে সহসেই দূর হচ্ছে না সংকট। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেই কেবল চিকিৎসা কার্যক্রম চালু হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রণালয়।

 

 

শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসকসহ অন্যান্য সেবাদানকারীগণ গত ২৯ মে হাসপাতাল অভ্যন্তরে আক্রান্ত হওয়ায় তাঁরা বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অন্তবর্তী সরকার দায়িত্বগ্রহণের পর থেকেই এই হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।

 

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সকল সেবাদানকারী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বিধায় ঘটনার দিন থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে সেবাদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে সারাদেশ থেকে চক্ষু চিকিৎসার জন্য আগত রোগীদের সেবাদান কার্যক্রম চরমভাবে ব্যহত হয়েছে এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অধিকাংশ রোগী হাসপাতাল ত্যাগ করে চলে গেছে। আমরা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সেবাবঞ্চিত সকল রোগীদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।

 

এতে আরও বলা হয়, সকল সেবা বন্ধ হলেও শুধুমাত্র জুলাই যোদ্ধারাই বর্তমানে হাসপাতালে অবস্থান করছেন। জুলাই অভ্যুত্থানের আহতদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের লক্ষ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় তাদের পথ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে।

 

এই অচলাবস্থা নিরসনে ইনস্টিটিউটে একটি প্রতিনিধিদল পাঠানো হয়েছে। প্রতিনিধিদল আহতদের সঙ্গে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ অন্যান্য সেবাদানকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রসঙ্গে আলোচনা করছেন। এই মুহূর্তে আমরা আলোচনার একটি ইতিবাচক ফলাফলের অপেক্ষায় আছি। চিকিৎসা সেবাদানের অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত হলেই সেবাদানকারীদের মাধ্যমে সকল ধরনের চিকিৎসা সেবা পুনরায় শুরু করার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এই সময়ের মধ্যে অন্তবর্তী বন্দোবস্ত হিসেবে চক্ষু চিকিৎসার রোগীদের নিকটস্থ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।