
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সব আহত যোদ্ধা ও শহিদের তথ্য চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে আগামী ২ জুনের মধ্যে তথ্য চূড়ান্ত করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে পাঠাতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। যেসব আহত যোদ্ধা ও শহীদের নতুন আবেদন জমা আছে কিন্তু সফটওয়্যারে এন্ট্রিকৃত নয়, তাদের তথ্য যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করে জেলা কমিটির প্রত্যয়নসহ স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব বরাবর পাঠাতে বলা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপরোক্ত বিষয়ের আলোকে জানানো যাচ্ছে যে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সব আহত যোদ্ধা ও শহিদের তথ্য চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব (সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা) সভাপতিত্বে একটি ভার্চুয়াল সভা ২৮ মে বেলা সাড়ে তিনটায় অনুষ্ঠিত হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদের তালিকা ২ জুন তারিখের মধ্যে চূড়ান্ত করে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে প্রেরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এতে বলা হয়, যেসব আহত যোদ্ধা ও শহীদের নতুন আবেদন জমা আছে (সফটওয়্যারে এন্ট্রিকৃত নয়), সেসব তথ্যের প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই সম্পন্ন করে, জেলা কমিটির প্রত্যয়নসহ পূর্ণাঙ্গ তথ্যাদি ২ জুনের মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব বরাবর পাঠানো নিশ্চিত করতে হবে। পাঠানো তথ্যের কপি অবশ্যই নিজ দপ্তরে সংরক্ষিত থাকতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইতোপূর্বে ১২০৪৩ জন আহত যোদ্ধা ও ৮৩৪ জন শহীদদের তথ্য গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। নতুনভাবে গেজেটে প্রকাশের জন্য ১ হাজার ৭৬৯ জন আহত যোদ্ধার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে (কপি সংযুক্ত)। কোনো আহত বা শহীদদের তথ্য ভেরিফায়েড না হয়ে থাকলে জেলা কমিটির মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে (ভেরিফায়েড হবে কি হবে না) কমিটির সুপারিশসহ এবং ভেরিফায়েড কিন্তু তথ্যের ঘাটতি বা অসংগতির কারণে প্রস্তাবিত গেজেট তালিকা থেকে বাদ পড়ে থাকলে সেই ঘাটতি তথ্য পূরণপূর্বক ২ জুনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ তথ্যসহ সচিব, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ বরাবর প্রেরণ করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নতুন আবেদনের তথ্য প্রেরণ ও সফটওয়্যারে বিদ্যমান তথ্যের সংশোধনী প্রেরণের সময় অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ছক মোতাবেক তথ্যসমূহ আছে কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে। সংযুক্তিতে মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত তথ্যছক সংযুক্ত করা আছে। বিষয়টি অতীব জরুরি বিধায় সার্বিক প্রয়োজনে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এবং এমআইএস, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগাযোগের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।