
কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, 'চাহিদার চেয়ে পশু বেশি'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, একসময় কোরবানির সময় বাংলাদেশে ভারত ও মিয়ানমার থেকে বছরে প্রায় ২২ থেকে ২৫ লাখ গরু আমদানি করতে হতো।
কিন্তু ২০১৪ সালে ভারত গরু রপ্তানি বন্ধ করলে দেশ চ্যালেঞ্জে পড়ে। এরপর দেশীয় খামারিরা নিজ উদ্যোগে গরু উৎপাদনে মনোযোগ দেন এবং কয়েক বছরের মধ্যে আমদানির প্রয়োজন প্রায় শূন্যে নেমে আসে।
২০২৫ সালের কোরবানির জন্য এবার দেশে এক কোটি ২৪ লাখের বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে, যা চাহিদার চেয়ে প্রায় ২০ লাখ বেশি। রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগ মিলিয়ে ৭০ শতাংশ গরু জোগান দেবে।
গরু পালনের মাধ্যমে স্থানীয় অনেক তরুণ ও নারী স্বাবলম্বী হয়েছেন। কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে গরুর উৎপাদন বেড়েছে।
এবার কোরবানির পশুর বাজারমূল্য দাঁড়াবে প্রায় এক লাখ কোটি টাকা, যার মধ্যে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি অনলাইনে বিক্রি হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পশুখাদ্যের দাম কমানো, মানসম্পন্ন বীজ সরবরাহ এবং খামারিদের সহায়তা বাড়ালে দেশ আরও স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।
কৃত্রিম প্রজননের কার্যক্রমে উন্নয়ন ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রয়োগ জরুরি। সব মিলিয়ে স্থানীয় খামারিরাই এখন দেশের কোরবানির পশুর চাহিদা মেটাতে সক্ষম।

প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, 'বাজেটে সংস্কারের সুপারিশের প্রতিফলন কমই থাকছে'।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে অর্থনৈতিক সংস্কার নিয়ে যেসব সুপারিশ দেওয়া হয়েছিল, তার খুব অল্প অংশই প্রতিফলিত হয়েছে।
সিপিডি, বিআইডিএস এবং বিভিন্ন টাস্কফোর্স কয়েকশো পৃষ্ঠার সুপারিশমালা জমা দিলেও সেগুলোর বড় অংশই উপেক্ষিত।
নতুন কোনো অর্থনৈতিক রূপরেখা বা সংস্কারের দিকনির্দেশনা নেই বললেই চলে। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বাজেট বেশ পরিচিত ধাঁচেই তৈরি হচ্ছে।
তিনি কেবল এবারের বাজেট বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করবেন বলে জানিয়েছেন।
শ্বেতপত্র কমিটি ও টাস্কফোর্স বিভিন্ন খাতে যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রপ্তানি, বিমান খাত, কর-ব্যবস্থা ইত্যাদিতে পরিবর্তনের সুপারিশ করেছিল। কিন্তু বাজেটে এর বড় অংশই নেই।
বিশেষ করে ধনীদের ওপর কর বাড়ানো, বাংলাদেশ বিমানকে দুই ভাগ করা বা বড় রপ্তানিকারকদের সহায়তা করার মতো প্রস্তাবগুলো উপেক্ষিত। এনবিআর সংস্কারেও ধীরগতি রয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলছেন, সব সুপারিশ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, বাস্তবতা ও সীমাবদ্ধতা আছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংস্কারের সদিচ্ছার অভাব বড় কারণ।
এতে ভবিষ্যতে অর্থনীতির গতি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। পুঁজিবাজারেও আস্থা ফেরেনি, আর এই খাতেও টাস্কফোর্সের সুপারিশ বাস্তবায়নে দেরি হচ্ছে।

দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রধান শিরোনাম 'Tax exemptions for key industries to go, sweeping tax hikes planned' অর্থাৎ, 'গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের জন্য কর ছাড় বাতিল, ব্যাপক কর বৃদ্ধির পরিকল্পনা'।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের আসন্ন বাজেটে বড় ধরনের কর সংস্কার আসছে। বহু গুরুত্বপূর্ণ শিল্প খাতের কর ছাড় বাতিল করা হচ্ছে এবং বিভিন্ন খাতে কর ও ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে।
মোবাইল ফোন, ইলেকট্রনিক পণ্য, লিফট, ফ্রিজ, এসি, এলপিজি সিলিন্ডার, নির্মাণ উপকরণসহ অনেক শিল্পে কর বাড়বে। নির্মাণ খাতে ভ্যাট সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশ করা হচ্ছে।
ই-কমার্সে পণ্যের বিক্রিতে কমিশন ভ্যাট তিন গুণ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে।
বিদেশ থেকে কাঁচামাল আমদানিতে ছাড় কমানো হচ্ছে, ১৪টি খাতে আমদানির সময় আগাম আয়কর (এআইটি) দুই শতাংশ ধার্য হচ্ছে।
করপোরেট টার্নওভার ট্যাক্সও বাড়বে। তবে পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদন ও ইলেকট্রিক বাইক খাতে কিছু কর ছাড় থাকছে।
এই বাড়তি করের বোঝা শেষমেশ ভোক্তাদের ওপর পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষত টেক্সটাইল খাতে শুল্ক ও কর বাড়ায় কাপড়ের দাম বাড়তে পারে।
কিছু খাতে সামান্য স্বস্তিও আছে, যেমন ব্যাঙ্কে আমানতের কর ছাড়সীমা এক লাখ থেকে বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করা হতে পারে।
সরকার আগামী বাজেট থেকে ৪০ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য নিয়েছে। বাজেট ঘোষণা হবে দোসরা জুন।

সমকালের প্রধান শিরোনাম, 'ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় বিএনপিসহ ১০ নিবন্ধিত দল'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আগামী নির্বাচন নিয়ে নানা দিক থেকে মতভেদ থাকলেও বিএনপিসহ অন্তত ১০টি নিবন্ধিত দল চায় যে, নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই হোক।
এছাড়া আরও অনেক অনিবন্ধিত দলও একই দাবি করছে। বিএনপি সরকারের কাছে নির্বাচন কমিশনের রোডম্যাপ দাবি করলেও স্পষ্ট আশ্বাস না পেয়ে অসন্তোষ জানিয়েছে।
বিএনপির অভিযোগ, সরকারের ভেতরে কেউ কেউ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চান। ড. ইউনূস বলেছেন, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই নির্বাচন হবে।
তবে বিএনপি বলছে, শুধু একটি দল নয়, সবাই নির্বাচন চায়। বামপন্থি দলগুলো, এলডিপি, গণফোরাম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদসহ আরও অনেক দল এই বছর শেষ হওয়ার আগেই নির্বাচন চায়।
জামায়াত ও এনসিপি নির্বাচন চায় ঠিকই, তবে তার আগে সংস্কার ও বিচার নিশ্চিত করতে বলে আসছে। জামায়াত ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলের মধ্যে ভোট চায়।
ধর্মভিত্তিক কিছু দল যেমন খেলাফত মজলিস, ইসলামী ঐক্যজোটও আগে সংস্কার চায়। কিছু দল নির্দিষ্ট সময়সূচি দাবি করছে, আবার কেউ কেউ সময় নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছে।
তবে আওয়ামী লীগঘনিষ্ঠ দলগুলোর বেশিরভাগই নীরব রয়েছে। জাতীয় পার্টি ছাড়া কেউই তেমন সক্রিয় নয়।
আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম, '৬ মাসের টানাটানিতে ভোট'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে ছয় মাসের সময় নিয়ে সরকার ও বিএনপির মধ্যে তীব্র মতবিরোধ চলছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জুনের মধ্যেই ভোট হবে, জুলাইতে নয়। তবে বিএনপি বলছে, নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই হতে হবে, নইলে ভবিষ্যতে আর নির্বাচন হবে না বলেও তারা হুঁশিয়ারি দিচ্ছে।
দুই পক্ষের এই অনড় অবস্থানের কারণে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সন্দেহ বাড়ছে। বিএনপি মনে করে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কার ও বিচার কাজের অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করে ভিন্ন উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে চাইছে।
প্রধান উপদেষ্টা জাপানে এক অনুষ্ঠানে বলেন, শুধু একটি দল ডিসেম্বরে ভোট চায়—এই মন্তব্য বিএনপির ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে তোলে।
মির্জা আব্বাস ও তারেক রহমানসহ দলটির শীর্ষ নেতারা পরিষ্কারভাবে বলেন, ভোট ডিসেম্বরের মধ্যেই না হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সংকট নিরসনে দলগুলোর আলোচনায় বসা জরুরি। তারা বলেন, সময়মতো নির্বাচন না হলে জাতি বিভক্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অনিশ্চয়তা ও আস্থাহীনতা দূর করতে সরকারকে সুনির্দিষ্ট তারিখে নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অনেকেই।

নয়া দিগন্তের প্রধান শিরোনাম, '১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে জাপান'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের জাতি গঠন ও সংস্কার প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাপান সফরে দুই দেশের মধ্যে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়। জাপান বাংলাদেশকে প্রায় এক দশমিক শূন্য ছয় বিলিয়ন ডলার ঋণ ও অনুদান দেবে।
যার মধ্যে অর্থনৈতিক সংস্কার, রেলপথ উন্নয়ন এবং বৃত্তির জন্য অর্থ বরাদ্দ থাকবে। এছাড়া, ডুয়েল-গেজ রেললাইন নির্মাণ ও মানবসম্পদ উন্নয়নেও সহায়তা করবে জাপান।
উভয় দেশ কৌশলগত অংশীদারিত্ব ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ বাড়াতে এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতা জোরদার করতে একাধিক সমঝোতা স্মারকও স্বাক্ষর হয়েছে।
জাপান বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে টহল নৌকা দেবে এবং প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি স্থানান্তরে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে।
সোকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতায় ড. ইউনূস তরুণদের "থ্রি জিরো ক্লাব" গড়ে তোলার আহ্বান জানান, যার লক্ষ্য শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য কার্বন নিঃসরণ।
তিনি বলেন, বর্তমান সভ্যতা ধ্বংসের পথে, তাই তরুণদের সৃজনশীল হয়ে একটি নতুন পৃথিবী গড়তে হবে।
এই অবদানের জন্য তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হয়।

নিউ এজের প্রধান শিরোনাম 'Gas crisis keeps worsening as supply falling' অর্থাৎ, 'সরবরাহ কমে যাওয়ায় গ্যাস সংকট আরও তীব্র হচ্ছে'।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশে গ্যাস সংকট প্রতিদিনই আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। দেশের জ্বালানির অর্ধেকেরও বেশি চাহিদা গ্যাস দিয়ে মেটানো হয়, কিন্তু এখন সরবরাহ ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
সাম্প্রতিক ঝোড়ো আবহাওয়ার কারণে এলএনজি আমদানি বন্ধ থাকায় ২৯ মে গ্যাস সরবরাহ আরও কমে গেছে।
গত এক দশকে দেশীয় গ্যাস উৎপাদন কমেছে, আর আমদানি করা এলএনজির ওপর নির্ভরশীলতা বাড়লেও গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ বাড়েনি।
বিদ্যুৎ, শিল্প এবং ঘরোয়া কাজে ব্যবহৃত গ্যাসের চাহিদা পূরণে বর্তমান সরবরাহ যথেষ্ট নয়। অনেক শিল্প-কারখানা অর্ধেক ক্ষমতায় চলছে, আর ঘরোয়া গ্রাহকরাও গ্যাস পাচ্ছেন না।
ঢাকার আশেপাশে টঙ্গী, গাজীপুর, মাওনার মতো জায়গায় গ্যাস একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে।
বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে বহু কারখানায় দিনে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা কাজ বন্ধ থাকে। বাসাবাড়িতে রাতে রান্না করতে হয়, কারণ দিনভর গ্যাস থাকে না।
এলএনজি আমদানি দ্বিগুণ হলেও তা চাহিদা মেটাতে পারছে না। গ্যাসের দাম বাড়লেও সরবরাহ কমে যাওয়ায় মানুষ ক্ষুব্ধ।
পেট্রোবাংলা বলছে, জুন থেকে এলএনজি সরবরাহ বাড়লে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হবে। তবে এখনই সমাধান আসছে না, ধৈর্য ধরতে বলছে কর্তৃপক্ষ।

যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, 'খাল পুনরুদ্ধারের বিকল্প নেই'
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকায় বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। সাম্প্রতিক ২৪ ঘণ্টায় ১৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টিতে শহরের বেশিরভাগ সড়ক ও ফুটপাত পানির নিচে চলে যায়।
গত পাঁচ বছরে হাজার কোটি টাকা ব্যয় হলেও পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। খাল-নর্দমা উন্নয়নের কাজ ঠিকভাবে না হওয়ায় এসব অর্থ অপচয় হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলছেন, জলাবদ্ধতা রোধে ভরাট ও দখল হয়ে যাওয়া খাল উদ্ধার এবং নর্দমা সংস্কার ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
ঢাকায় শতাধিক জলাবদ্ধতার 'হটস্পট' আছে, যার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন খাল ও ড্রেনের দায়িত্ব নিলেও যথাযথ কাজ হয়নি।
কিছু এলাকায় ড্রেনেজ লাইন তৈরি হলেও অধিকাংশ স্থানে নেই বা কার্যকর না। এর ফলে বর্ষাকালে ভয়াবহ পরিস্থিতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিক পরিকল্পনা, দক্ষ জনবল, নিয়মিত পরিষ্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়া জলাবদ্ধতা কমানো সম্ভব নয়।
প্রশাসন আশ্বাস দিলেও বাস্তবে কার্যকর অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। বর্ষাকাল সামনে, কিন্তু সিটি করপোরেশনের প্রস্তুতি ও কাজ প্রশ্নবিদ্ধ।
ফলে নাগরিক দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে, আর এ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে প্রয়োজন পরিকল্পিত, দৃঢ় ও সৎ পদক্ষেপ।

বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম 'পতিত সরকারের প্রকল্প এগিয়ে নিচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগ'।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সবসময়ই ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালীদের হাতে ছিল এবং নানা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে দুর্নীতির অভিযোগ পুরোনো।
আওয়ামী লীগের টানা ১৬ বছরের শাসনামলে এ মন্ত্রণালয় পরিচালনা করেন দলের ঘনিষ্ঠ নেতারা এবং বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও সেই পুরনো প্রকল্পগুলোই চালিয়ে যাচ্ছে, যদিও জনগণ আশা করেছিল তারা লুটপাটের প্রকল্প বাতিল করবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন সরকার পুরনো উন্নয়ন কর্মসূচি সংশোধন না করে কার্যত আগের সরকারের পথেই হাঁটছে।
বরাদ্দ কমালেও প্রকল্পের সংখ্যা বেড়েছে এবং মূলত রাজনৈতিক বিবেচনায় নেয়া প্রকল্পগুলোই টিকে আছে।
এডিপি ও আরএডিপির তুলনায় দেখা যায়, বেশ কিছু প্রকল্পে বরাদ্দ বেড়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পল্লী অবকাঠামো ও সেতু নির্মাণ সংক্রান্ত প্রকল্প।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব প্রকল্পে যথেষ্ট অপচয় হয় এবং প্রকৃত উপকারভোগীদের কাছে সুফল পৌঁছে না।
বর্তমান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব দুর্নীতি স্বীকার করে বলেন, জিওবি অর্থায়নে নেয়া রাজনৈতিক প্রকল্পগুলো সংশোধন চলছে।
তবে বৈদেশিক সহায়তার প্রকল্পে পরিবর্তন আনা কঠিন। যদিও তিনি বাজেট নয় হাজার কোটি টাকা কমানোর দাবি করেন, বাস্তবে তা কমেছে মাত্র এক হাজার ৭৭ কোটি টাকা।