
রাজধানীতে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এতে রাজধানীর সিংহভাগ এলাকার সড়ক ও ফুটপাত তলিয়ে যায়। অবর্ণনীয় কষ্ট ভোগ করেন নগরবাসী। কিন্তু নির্বিকার কর্তৃপক্ষ। সমস্যার সমাধানে কার্যকর অর্থে তেমন কোনো উদ্যোগ নেই। অথচ বিগত ৫ অর্থবছরে এ খাতে খরচ করেছে প্রায় হাজার কোটি টাকা। খাল ও নর্দমার উন্নয়নকাজ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন না হওয়ায় সরকারের এ মোটা অঙ্কের অর্থ গচ্চা গেছে-এমনটি মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, বেদখল ও ভরাট হয়ে যাওয়া খাল পুনরুদ্ধার ছাড়া রাজধানীবাসীর জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তির কোনো উপায় নেই। পাশাপাশি নগরীর নর্দমাগুলোও সংস্কার করে পানি নিষ্কাশনের উপযোগী করতে হবে। আর নর্দমা ও খালগুলোর সঙ্গে ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর সংযোগ সৃষ্টি করা এ মুহূর্তে জরুরি হয়ে পড়েছে। অন্যথায় বর্ষাকালে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার পুনরাবৃত্তি ঘটবেই।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকার খাল, নর্দমা এবং জলাধারগুলো নানাভাবে দখল ও ভরাট হয়ে গেছে। কোনো কোনো স্থানে বক্সকালভার্ট (খাল ভরাট করে সড়ক ও এর নিচে নর্দমা নির্মাণ) হয়েছে। আবারও কোথাও গড়ে উঠেছে অট্টালিকা। শত শত পুকুরও হারিয়ে গেছে। বিগত সরকারগুলোর সময় তদারকিতে থাকা সংস্থাগুলো এসব রক্ষায় আন্তরিক ছিল না। এখনো যতটুকু জলাশয়, খাল, ডোবা ও নর্দমা রয়েছে, সেগুলো রক্ষায়ও তাদের কার্যত কোনো আন্তরিকতা নেই। যদিও বিভিন্ন প্রকল্প বা কাজের নামে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ অব্যাহত রয়েছে। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছর থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন জলাবদ্ধতা নিরসন এবং খাল পরিষ্কারের নামে খরচ করেছে প্রায় হাজার কোটি টাকা। কিন্তু এর সুফল কি মিলেছে, সামান্য বৃষ্টি হলেই তা বুঝতে পারেন নগরবাসী। তারা এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান।
সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, দুয়ারে কড়া নাড়ছে বর্ষা মৌসুম। ইতোমধ্যে কয়েক দফা বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতেই রাজধানীতে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তাতেই আতঙ্কিত নগরবাসী। সামনের দিনগুলোয় আরও ভোগান্তি হবে, তা সহজে বুঝে নেওয়া যায়। এ অবস্থায়ও ঢাকাবাসীকে কোনো সুখবর দিতে পারছে না দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো। বরং তারা আশঙ্কার কথাই বলছেন। কেননা গত বছরে ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারণের পর থেকে কার্যত স্থবিরতা বিরাজ করছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে। এ কারণে খাল পরিষ্কার, নর্দমা পরিষ্কার এবং খাল ও নর্দমা উন্নয়নে তেমন কোনো কাজ হয়নি। যে কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় আসন্ন বর্ষায় জলাবদ্ধতা বেশি হওয়ার শঙ্কা খোদ দায়িত্বপ্রাপ্তদেরই।
দুই সিটির সংশ্লিষ্টরা জানান, চলতি মৌসুমে কয়েক দফা বৃষ্টি হয়েছে। এতেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার সড়ক, ফুটপাত এবং অলিগলি তলিয়ে যায়। হঠাৎ এমন বৃষ্টিতে মারাত্মক দুর্ভোগের শিকার হন নগরবাসী। সর্বশেষ বৃহস্পতি ও শুক্রবার সাগরের নিম্নচাপের কারণে সৃষ্ট বৃষ্টিপাতে কার্যত অচল হয়ে পড়ে রাজধানীর সিংহভাগ এলাকা। অথচ বর্ষা মৌসুম আসন্ন। তখন কী অবস্থা দাঁড়াবে, তা ভাবতেই গা শিউরে উঠছে বলে জানান তারা।
জলাবদ্ধতা হটস্পট বাড়ছে : রাজধানীর দুই সিটিতে শতাধিক জলাবদ্ধতার হটস্পট রয়েছে। এ খাতে বিপুল অর্থ খরচ করার কারণে স্পট কমার কথা থাকলেও তা বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দুই সিটিতেই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে হটস্পটগুলো। ঢাকা দক্ষিণ সিটির বড় হটস্পটের তালিকায় রয়েছে-ঢাকা কলেজ এলাকা, নায়েম সড়ক, নিউমার্কেট, ধানমন্ডি হকার্স মার্কেট, বকশীবাজার মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, জুরাইন আলমবাগ এবং ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের মিতালী স্কুল রোড। এছাড়া রাজারবাগ এলাকার চাঁদবাড়ি সড়ক, মুগদা প্রধান সড়ক, মুগদা হাসপাতালের আশপাশের এলাকাসহ অসংখ্য হটস্পট রয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার বড় হটস্পটের তালিকায় রয়েছে ডিএনসিসিভুক্ত হওয়া নতুন এলাকার মধ্যে বাড্ডা, ভাটারা, উত্তরখান, দক্ষিণখান, হরিরামপুরসহ পুরো এলাকা। তবে গত বছরের তুলনায় কিছুটা জলাবদ্ধতা কম হতে পারে; কেননা গত বছর সেখানে কোনো ড্রেনেজ লাইন ছিল না। এরপর সেখানে কিছু ড্রেনেজ লাইন তৈরি হয়েছে। আর বিমানবন্দর সড়ক হতে পারে বড় জলাবদ্ধতার স্পট। কেননা ওই সড়কে কোনো ড্রেনেজ লাইনই নেই। সড়কটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাধীন হওয়ায় সিটি করপোরেশন সেখানে ড্রেনেজ লাইন করতে পারছে না। দুই সংস্থার সভায় একবার সিটি করপোরেশন সড়ক ও জনপথ বিভাগকে ড্রেনেজ তৈরির সার্বিক পরিকল্পনা তৈরি করে দিলেও তারা ওই সড়কে ড্রেনেজ লাইন তৈরি করেনি। এজন্য এবারের ভারি বর্ষায় রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি পানির নিচে তলিয়ে থাকবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এছাড়া বনানী কবরস্থান সড়কের পাশে একটি জলাধার ছিল। ওই জলাধার ভরাট করায় ওই সড়কে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ কারণে প্রতিবছরের বর্ষায় সেখানে জলাবদ্ধতা হচ্ছে। রোকেয়া সরণির ড্রেনেজ সংস্কারকাজ কিছুটা এগোলেও ভারি বর্ষণে ওই সড়কে জলাবদ্ধতা হবে। কেননা যেটুকু ড্রেনেজ লাইন তৈরি করা হয়েছে, ভারি বর্ষণে তা পানি নিষ্কাশনের জন্য যথেষ্ট হবে না। এসব হটস্পটসহ নগরীর বড় অংশজুড়ে বৃহস্পতি ও শুক্রবারের বৃষ্টিতে সড়ক ও ফুটপাত তলিয়ে যায়।
খাল উদ্ধারের নামে চলছে শুধু শোডাউন : ঢাকা শহরে একসময় অর্ধশত খাল ছিল। পরিবেশ-প্রতিবেশ বিবেচনায় না নিয়ে যেনতেন উন্নয়নকাজের কারণে অনেক খাল ভরাট হয়েছে। আবার কিছু খাল নানামুখী দখলেও হারিয়ে গেছে। ঢাকার খাল হারিয়ে যাওয়ার জন্য এককভাবে কেউ দায়ী নন। এ কাজে নেতৃত্বে দিয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান; একই সঙ্গে বেসরকারি পর্যায়ে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো। বেদখল খাল উদ্ধারের নামে নানা কর্মসূচি পালন করে শোডাউন করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।
ঢাকা জেলা প্রশাসনের মালিকানাধীন কিছু খালের দেখভাল করত ঢাকা ওয়াসা, কিছু খাল সিটি করপোরেশন এবং কিছু খালের তদারকি করত পানি উন্নয়ন বোর্ড। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা ওয়াসার তত্ত্বাবধানে থাকা খালগুলো দুই সিটি করপোরেশনে হস্তান্তর করা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড, ডিসি অফিসের খালগুলোও দুই সিটি করপোরেশন নিজেদের তত্ত্বাবধানে নেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। খালগুলোর তদারকি ও উন্নয়নের দায়িত্ব সিটি করপোরেশন নিলেও কার্যত এগুলোর সংস্কার ও উন্নয়নে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি।
ঢাকার বিদ্যমান খালের সংখ্যা কত, তা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। এরপরও বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া খালগুলোর মধ্যে রয়েছে-বাইশটেকী খাল, কল্যাণপুর খ খাল, কল্যাণপুর প্রধান খাল, রূপনগর খাল (আরামবাগ), সাংবাদিক কলোনি খাল (প্যারিস খাল), দ্বিগুণ খাল, কল্যাণপুর খাল (আংশিক), গাবতলী খাল, দিয়াবাড়ী খাল, বাউনিয়া খাল, আব্দুল্লাহপুর খাল (আংশিক), রামচন্দ্রপুর খাল, কাঁটাসুর খাল, রাজাবাজার খাল, বেগুনবাড়ি খাল, মহাখালী খাল, মেরাদিয়া-গজারিয়া খাল, গুল্লার খাল, গুলশান খাল, ভাটারা খাল, সুতিভোলা খাল, ডুমনি খাল, তলনা খাল, বাওথার খাল, আমাইয়া খাল, নির্নিচক খাল, ভাটুরিয়া খাল, ছোট পলাশদিয়া খাল, চামুর খান খাল, পলাশিয়া খাল, উজানপুর খাল, গরিন্দপুর খাল, বোয়ালিয়া খাল, বসুন্ধরা আবাসিকের খাল, নতুন রাস্তাসংলগ্ন দেওয়ানপাড়া খাল, জোয়ারসাহারা-কাঁঠালদিয়া খাল, ইব্রাহীমপুর খাল, আব্দুল্লাহপুর খাল, কোটবাড়ী খাল, জুমাই খাল, মৌসাইদ খাল, ধোলাইখাল-১, ধোলাইখাল-২, পরিবাগ খাল, খিলগাঁও বাসাবো খাল, কামরাঙ্গীরচর খাল, কালুনগর খাল, রায়েরবাজার খাল, নন্দীপাড়া-ত্রিমোহনী (জিরানী) খাল, নয়াখোলা খাল।
ঢাকার দুই সিটি সূত্রে জানা যায়, খাল বুঝে পাওয়ার পর থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন খালের সীমানা চিহ্নিতকরণ কাজ করে চলেছে। এখনো খালের উন্নয়নে তেমন কোনো কাজ করেনি। পাশাপাশি খাল পরিষ্কারও রাখতে পারছে না তারা। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন খাল উন্নয়নে একটি প্রকল্প অনুমোদন করলেও এখনো তার কাজই শুরু হয়নি। খাল এবং নর্দমা সংস্কার ও পরিষ্কার কাজে চরম অবহেলা রয়েছে ঢাকার দুই সিটির।
নর্দমাগুলোও বেহাল : ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে প্রায় ২ হাজার ২০০ কিলোমিটার পানি নিষ্কাশন ড্রেনেজ ব্যবস্থা রয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় পড়েছে। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার। রাজধানীর বিদ্যমান বাস্তবতায় ঢাকার ড্রেনেজ লাইন খুব কম হলেও নিয়ম মেনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করায় ভারি বর্ষা মৌসুমে এ ড্রেনগুলো কার্যত পানি নিষ্কাশনে কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না।
বিশেষজ্ঞ অভিমত : এ প্রসঙ্গে নগর পরিকল্পনাবিদ এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ যুগান্তরকে বলেন, রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল, নর্দমা বড় উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে। তবে পাশাপাশি রুটিন কিছু কাজ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম-খাল-নর্দমাগুলো পরিষ্কার রাখা এবং পানি নিষ্কাশন নেটওয়ার্ক সচল রাখা। কোথাও কোনো সমস্যা দেখা দিলে এর সমাধান করা; এসব কোনো কাজ হচ্ছে না।
তিনি জানান, ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে দুই সিটি করপোরেশন খাল ও নর্দমার দায়িত্ব বুঝে নিলেও নিজেদের স্বতন্ত্র বিভাগ বা সার্কেল গড়ে তুলতে পারেনি। প্রস্তাবিত সার্কেল করে কাজ করলেও সেখানে ড্রেনেজ বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কোনো লোক নেই। দুই নগর সংস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ড্রেনেজ বিষয়ে দক্ষ জনবল গড়ে তুলে তাদের দিয়ে সেসব কাজ পরিচালনা করতে হবে। এসবের পাশাপাশি খাল-নর্দমার টেকসই উন্নয়নে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি আরও জানান, রাজধানীতে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলেই সড়ক, ফুটপাত তলিয়ে যায়। কেননা এর চেয়ে বেশি ধারণক্ষমতা নেই ঢাকার। সেটুকু সচল রাখতে পারছে না দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো। আগে সিটি করপোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলররা ছিলেন। এখন কেউ নেই। এ অবস্থায় এবারের বর্ষায় কী অবস্থা দাঁড়াবে, তা সহজেই অনুমান করা যায়। এসব ভোগান্তি থেকে বাঁচতে হলে নাগরিকদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে। পাশাপাশি কার্যকর পরিকল্পনা নিয়ে এর সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করতে হবে।
কর্তৃপক্ষের বক্তব্য : এ প্রসঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফারুক হাসান মো. আল মাসুদ যুগান্তরকে বলেন, খাল-নর্দমা পরিষ্কারকাজ চলছে। বর্তমান প্রশাসক দায়িত্ব গ্রহণের পর এ কাজে বেশ গতি পেয়েছে। আমরা প্রশাসকের নির্দেশনা মোতাবেক জোর তৎপরতা অব্যাহত রেখেছি। তিনি জানান, ভারি বর্ষণ হলে কিছু স্পটে জলাবদ্ধতা হচ্ছে। সেসব স্পটের জলাবদ্ধতা নিরসনেও কাজ চলমান রয়েছে। আর বর্ষার মৌসুমজুড়েও বিশেষ তদারকি করা হবে। বৃহস্পতি ও শুক্রবারের বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাদ্ধতা নিরসনেও কার্যকর তৎপরতা চালানো হয়েছে। এতে নগরবাসীর দুর্ভোগ কম হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ সফি উল্লাহ সিদ্দিক ভূঁইয়া যুগান্তরকে বলেন, বর্ষার জলাবদ্ধতা নিরসন খুবই চ্যালেঞ্জিং কাজ। তবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন অন্যবারের মতো এবারও সর্বশক্তি দিয়ে কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে পুরো বর্ষা মৌসুমে বিশেষ তদারকি অব্যাহত রাখা হবে। তিনি জানান, সরকার ইতোমধ্যে একটি খাল উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এর বাস্তবায়ন কাজ প্রক্রিয়াধীন। আর জলাবদ্ধতার হটস্পটের সমস্যায় খাল-নর্দমা পরিষ্কার এবং অন্যান্য উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। নগরীর জলাবদ্ধতা সহনীয় মাত্রায় রাখতে সংস্থার প্রকৌশলী ও কর্মকর্তারা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। বৃহস্পতি ও শুক্রবারের বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে নগরবাসীর অনেক দুর্ভোগ হয়েছে। এ দুর্ভোগ নিরসনে সিটি করপোরেশন ও স্থানীয় সরকার বিভাগ একযোগে কাজ করেছে।