Image description

ভারতের সীমান্ত ঘেঁষা ত্রিপুরার কৈলা শহরে তিন যুগেরও বেশি সময় পর পরিত্যক্ত একটি বিমানবন্দর সচল করার উদ্যোগ নিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। ভারতের দাবি, বাংলাদেশের লালমনিরহাটে বিমানঘাঁটি পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্তই তাদের এই পদক্ষেপের মূল কারণ। ভারতের মতে, লালমনিরহাটের এই ঘাঁটিতে চীনের সহায়তা রয়েছে এবং এটি ভারতের "চিকেনস নেক" অঞ্চলের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে।

সাম্প্রতিক সময়েই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী লালমনিরহাটের বিমানঘাঁটি সচলের বিষয়টি নিশ্চিত করে। সীমান্ত থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই ঘাঁটিটি নিয়ে ভারতীয় প্রশাসনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ভারতের অভিযোগ, চীনা প্রতিনিধিদের আনাগোনা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে ওই এলাকায় এবং এর মাধ্যমে চীন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় “সেভেন সিস্টারস” অঞ্চল এবং চিকেনস নেক এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর চেষ্টা করছে।

এই প্রেক্ষাপটে ভারত পুরনো কৈলা বিমানবন্দরটি বেসামরিক বিমান চলাচলের জন্য চালুর কথা বললেও এতে থাকবে যুদ্ধবিমান ওঠানামা ও অন্যান্য সামরিক সুবিধার পূর্ণ প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিনিধি দল ত্রিপুরার উনকটি জেলার বিমানবন্দরটি পরিদর্শন করেছে এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার সঙ্গে বৈঠক করেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সম্ভাবনা নিয়েও উদ্বেগে রয়েছে দিল্লি। প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক চীন সফরে “সেভেন সিস্টারস” নিয়ে কিছু মন্তব্য ভারতে রাজনীতিতে আলোড়ন তোলে। এসব কারণে ভারত এ অঞ্চলে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েনসহ একের পর এক সামরিক মহড়ার আয়োজন করছে। কৈলা বিমানবন্দর চালু হলে সেটিতেও সামরিক কাঠামো বসানো হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

সব মিলিয়ে, সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ভারতের এই কার্যক্রম বাংলাদেশের প্রতি একটি কৌশলগত বার্তাই দিচ্ছে—সীমান্ত নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক ভারসাম্য রক্ষায় তারা আর কোনও ঝুঁকি নিতে চায় না।