
বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে আজ শুক্রবার সকাল থেকে দুই শতাধিক অনার্স ভর্তি পরীক্ষার্থী ও তাঁদের অভিভাবকেরা হাতিয়ার নলচিরা ঘাটে এসে জড়ো হয়েছেন। তাঁরা বলছেন, নলচিরা ঘাট থেকে চেয়ারম্যানঘাট হয়ে তাঁদের জেলা সদরে যেতে হবে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় তাঁরা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। এ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারলে তাঁদের শিক্ষাজীবনের একটি বছর নষ্ট হয়ে যাবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁরা দাবি জানিয়েছেন, হয় পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হোক, না হয় যেকোনো উপায়ে তাঁদের নদী পারপারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক, যাতে তাঁরা নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেন।
নিম্নচাপের প্রভাবে সৃষ্ট বৈরী আবহাওয়ার কারণে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে সব ধরনের নৌযান চলাচল গত মঙ্গলবার সকাল থেকে বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। এরই মধ্যে অস্বাভাবিক জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে দ্বীপটির নিম্নাঞ্চল। বৈরী আবহাওয়া ও সাগর উত্তাল থাকায় আজও (দুপুর পর্যন্ত) হাতিয়ার সঙ্গে সারা দেশের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
এদিকে আগামীকাল শনিবার বেলা ১১টা থেকে সারা দেশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে হাতিয়ার নলচিরা-চেয়ারম্যানঘাট রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় অনিশ্চয়তায় পড়েছেন হাতিয়া থেকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ইচ্ছুক দুই শতাধিক পরীক্ষার্থী।
জানা গেছে, সারা দেশের মতো আগামীকাল বেলা ১১টা থেকে নোয়াখালীতে কয়েকটি কলেজে অনার্স (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। পরীক্ষায় জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে সড়কপথে পরীক্ষাকেন্দ্রে এসে পরীক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারলেও হাতিয়ার শিক্ষার্থীদের আসার একমাত্র মাধ্যম নৌপথ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘আজ দুপুরে যে জোয়ার এসেছিল, সেটি অনেকটা স্বাভাবিক ছিল। বৃষ্টি ও বাতাস অনেকটা কমে গেছে। যদি এভাবে থাকে, তাহলে আবহাওয়া অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে এবং সাগরের ঢেউ কমে যাবে। আমরা আশা করি, আজ সন্ধ্যা বা আগামীকাল ভোর থেকে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক করা যাবে। যেহেতু পরীক্ষা বেলা ১১টায় শুরু হবে, আশা করছি, তার আগে পরীক্ষার্থীরা তাদের স্ব-স্ব কেন্দ্রে পৌঁছে যেতে পারবে।’