বিভিন্ন সরকারি চাকরির পরীক্ষায় দারুণ সফলতা পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আবদুল বাছিত মোল্লা। ৪৩তম বিসিএসে সরকারি কর্ম কমিশনের চূড়ান্ত ফলে প্রশাসন ক্যাডারে পঞ্চম হন তিনি। সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় মেধাতালিকায় ৯ম স্থান অর্জন করেন এবং বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক (সাধারণ) পদে চাকরির পরীক্ষায় ১৬তম হন। তবে ৪৩তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপন থেকে বাদ পড়েছেন তিনি। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমার প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করতে হবে না, আমি শুধু কারণ জানতে চাই’।
সম্প্রতি ৪৩তম বিসিএসে নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বিভিন্ন ক্যাডারে বাদ পড়েন ১৬৮ জন চাকরিপ্রার্থী। এর মধ্যে আবদুল বাছিত মোল্লা একজন।
আবদুল বাছিত মোল্লা বলেন, ‘১৫ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় যে প্রজ্ঞাপন দিয়েছিল, সেখানে আমার নাম ছিল। তবে দ্বিতীয় গেজেটে আমার নাম না দেখে বিশ্বাসই হচ্ছিল না। আমি সহকারী জজ হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর ৪৩তম বিসিএসের ভাইভা দিয়েছি। এই বিসিএসের কার্যক্রম যখন চলে, তখন আমি সহকারী জজ। সরকারি চাকরিরত অবস্থায় আমি জেনেবুঝে এমন কিছু করি নাই যে আমি ভেরিফিকেশন থেকে বাদ পড়ব। আমি নিশ্চিত ছিলাম যে ভেরিফিকেশনে নাম আসবে। তাই গেজেটে নিজের নাম না দেখে বিশ্বাস হচ্ছিল না। একটা বিসিএসে সফলতা পেতে একজন প্রার্থীকে যে কতটা পরিশ্রম করতে হয়, যারা বিসিএস দেন, তারাই শুধু জানেন।’
আবদুল বাছিত মোল্লা বলেন, ‘আমি ২০২০ সালের মার্চে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ছাড়ি। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত। দুই বছর ধরে বিচারক। আমার অপরাধটা কী? একবার গেজেটে নাম আসার পরও আমাকে কেন বাদ দেওয়া হলো? আমার প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করতে হবে না, আমি শুধু কারণ জানতে চাই।’
আবদুল বাছিত মোল্লার বাড়ি বরগুনায়। পটুয়াখালীর গলাচিপা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১২ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ–৫.০০ পেয়ে এসএসসি পাস করেন। এইচএসসি পাস করেন বরগুনার আমতলী সরকারি কলেজ থেকে ২০১৪ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে। এরপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে। পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী বাছিত রাজনীতির সঙ্গে কোনোভাবেই যুক্ত নন। যার ফলে গেজেটে তার নাম না থাকায় বিস্মিত হন অনেকেই।