
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ এবং আহতদের পরিবারের সদস্যরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শুধুমাত্র ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তির ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাবে বলে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা-সমালোচনা চলছে। অনেকে অভিযোগ করেছেন, জুলাই শহীদ ও আহতদের পরিবারের সদস্যদের জন্য কোটা সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, অভিযোগটি ঠিক নয়। জুলাই শহীদ ও আহতদের জন্য কোটা নয়, আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে। এর আগে সোমবার (২৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছিল।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, গণঅভ্যুত্থানে গেজেটভুক্ত শহীদ এবং তালিকাভুক্ত আহতদের পরিবারের সদস্যদের কেউ যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবারের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে থাকে, শুধু তার ক্ষেত্রে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে। এ সুবিধা মাত্র এক বছরের জন্য।
তিনি আরও বলেন, এটি কোনো নীতিমালা নয়। শুধু এই বছরের জন্য। আর্থিক সুবিধা হওয়ার সম্ভাবনা এ ক্ষেত্রে বেশি। তাদের ভর্তির ক্ষেত্রে এই সুবিধাটা দেওয়া হতে পারে। সেটি নির্ধারণ করবে ডিনস কমিটি এবং সিন্ডিকেট।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গেজেটভুক্ত শহীদ এবং তালিকাভুক্ত আহত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হবে।
এতে আরও বলা হয়, পরিবারের সদস্য হিসেবে স্ত্রী-ছেলে-মেয়ে বিশেষ সুবিধা পাবেন। স্ত্রী-ছেলে-মেয়ে না থাকলে শহীদ ও আহতদের ভাই-বোনরা এই সুবিধা পাবেন। সম্প্রতি ডিনস কমিটির এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, বর্তমানে জুলাই শহীদের সংখ্যা ৮২০ জনের বেশি। আর আহতের সংখ্যা ১১ হাজার ৮৫০ জন। অন্যদিকে, গত ১৫ জানুয়ারি শহিদদের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ গেজেট অনুযায়ী, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদের সংখ্যা ৮৩৪ জন।