Image description
 

কুষ্টিয়া জেলার খোকসায় মাত্র ১২ মিনিটের ম‌ধ্যে একটি জুয়েলারি দোকানের কোটি টাকার স্বর্ণ, রুপা ও নগদ টাকাসহ লোহার সিন্দুক নি‌য়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে‌ছে। এ ঘটনার পর দুই নৈশপ্রহরীকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে খোকসা পৌর বাজারের বাংলাদেশ জুয়েলার্স নামের একটি দোকানে এই ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরে ব্যবসায়ী মাসুম বিল্লা শো-রুম খুলতে এসে দোকানের একটি শাটারের সবকটি তালা খোলা অবস্থায় দেখতে পান। এরপর দোকান খুলে তিনি দেখেন, দুর্বৃত্তরা স্বর্ণ ও রুপা রাখার লোহার সিন্দুকটি তুলে নিয়ে গেছে। এসব দেখে তিনি থানা পুলিশ ও জুয়েলার্স মালিক সমিতিকে বিষয়টি জানান।

ঘটনার পরপরই পুলিশসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীর সঙ্গে দেখা করেন। প‌রে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ ও জনচাপের মুখে শুক্রবার সন্ধ্যায় বাজারের দুই নৈশ প্রহরীকে থানায় পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়।

দোকানের মালিক মাসুম বিল্লা জানান, তিনি প্রতি শুক্রবার দুপুরের পর দোকান খোলেন। এদিন দোকানে গিয়ে দেখতে পান, তার দোকানের একটি শাটারের সব তালা খোলা এবং প্রায় চার মণ ওজনের লোহার প্রধান সিন্দুকটি উধাও। 

তার দাবি, চুরি যাওয়া লোহার সিন্দুকটিতে খরিদ্দারের ৪৫ থে‌কে ৫০ ভরি স্বর্ণ, ৩০০ গ্রাম রূপা ও নগদ ৩০ হাজার টাকা ছিল। এ ঘটনায় তার ক্ষতির পরিমাণ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।

বাজারের ব্যবসায়ীদের সিসি টিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার ‌ভোর ৪টা ৩০ মিনিটে সিলভার রঙের একটি প্রাইভেটকার বাংলাদেশ জুয়েলার্সের সামনে এসে থামে। তখন মসজিদে ফজরের আজান হচ্ছিল ও লোকজন রাস্তায় চলাফেরা শুরু করেছিল। ঠিক ১২ মিনিট পর প্রাইভেটকারটি যেদিক থেকে এসেছিল সেই দিকে ফিরে যায়। ফুটেজ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, এই গাড়িতেই চুরির মালামাল নিয়ে পালায় দুর্বৃত্তরা।

স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিরোদ কুমার রায় বলেন, ‘‘থানা থেকে সামান্য দূরে স্বর্ণের দোকান থেকে দুর্বৃত্তরা সিন্দুক লুটে নিয়ে যাওয়ার পর সাধারণ ব্যবসায়ীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তারা অপরাধীদের আটক ও লুটে নেওয়া মালামাল ফেরতের দাবি করে‌ছেন।”

শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত খোকসা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) দিবাকর জানান, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশে প্রহরীদের ‌হেফাজ‌তে নেওয়া হয়েছে।

খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) শেখ মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘‘চুরির ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। তদন্তের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’