Image description

বাংলাদেশে এখন স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়েছে। সহজ কিছু ধাপ অনুসরণ করে ঘরে বসেই আপনি এই সেবা গ্রহণ করতে পরবেন।

 

স্টারলিংক ইন্টারনেট সংযোগ নেওয়ার ধাপসমূহ:

 

১. স্টারলিংক ওয়েবসাইটে (starlink.com) যান।

২. আপনার ঠিকানা দিন: আপনার সঠিক ঠিকানা বা বর্তমান অবস্থান প্রবেশ করিয়ে ‘‘Order Now’’ তে ক্লিক করুন।
 

 

No description available.


৩. প্যাকেজ নির্বাচন করুন: স্টারলিংকের ওয়েবসাইটে ‘রেসিডেনশিয়াল’ ও ‘রোম’ নামের দুটি অপশন রয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকার ‘রোম’, অর্থাৎ ভ্রাম্যমাণ সেবার অনুমোদন এখনো দেয়নি।

 
এক্ষেত্রে ‘Residential’ বা ‘Residential Lite’ প্যাকেজ থেকে একটি নির্বাচন করতে হবে।
 

 

No description available.


৪. আপনার নাম, যোগাযোগের ঠিকানা এবং স্থানীয় ব্যাংকের ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট সম্পন্ন করুন।

 

 

No description available.


৫. পরিচয়পত্রের একটি কপি (জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট) আপলোড করতে হতে পারে।


৬. সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করে ‘Place Order’ বাটনে ক্লিক করুন।

 


স্টারলিংক ইন্টারনেটের খরচ:

 

এককালীন সরঞ্জাম খরচ: কিট বাবদ ৪৭ হাজার টাকা। শিপিং চার্জ ২ হাজার ৮০০ টাকা। মোট ৪৯ হাজার ৮০০ টাকা।
মাসিক প্যাকেজ:
Residential: ৬ হাজার টাকা।
Residential Lite: ৪ হাজার ২০০ টাকা।

উভয় প্যাকেজেই আনলিমিটেড ডেটা এবং সর্বোচ্চ ৩০০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতি পাওয়া যাবে।

 


স্টারলিংক প্যাকেজে যেসব কিট অন্তর্ভুক্ত থাকবে:

 

১. স্যাটেলাইট ডিশ
২. Wi-Fi রাউটার
৩. মাউন্টিং ট্রাইপড
৪. প্রয়োজনীয় ক্যাবল

এই কিটগুলো ৩ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে আপনার ঠিকানায় পৌঁছে যাওয়ার কথা।
 

 
ইনস্টলেশন নির্দেশনা:

 

স্যাটেলাইট ডিশটি খোলা আকাশের নিচে স্থাপন করুন।
ডিশ ও রাউটারকে বিদ্যুৎ সংযোগ দিন।
ডিশটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্যাটেলাইটের সাথে সংযুক্ত হবে।
Wi-Fi রাউটারের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করুন।

এর বাইরে অতিরিক্ত সরঞ্জাম হিসেবে পাইপ মাউন্ট (২,৬০০ টাকা), ওয়াল মাউন্ট (৫,৯০০ টাকা), পিভট মাউন্ট (৬,৭০০ টাকা) ইত্যাদি আলাদাভাবে কেনা যাবে।

সার্ভিস কভারেজ:
 
বাংলাদেশের শহর ও গ্রামীণ সব এলাকায় স্টারলিংক সেবা মিলবে। কোনো সমস্যা হলে স্টারলিংক সাপোর্ট সেন্টারের সাথে যোগাযোগ করা যাবে।

 


স্টারলিংক কি ভাগাভাগি করে ব্যবহার করা যাবে?

 

মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি–বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একটা ‘ডিভাইস’ (যন্ত্র) থেকে ২০ থেকে ৫০ মিটার (৬৫-১৬৫ ফুট) পর্যন্ত ইন্টারনেট পাওয়া যাবে। গ্রামে এটা ৫০ থেকে ৬০ মিটার (সর্বোচ্চ প্রায় ২০০ ফুট) পর্যন্ত হবে।

বেশি দূর পর্যন্ত নেট পেতে চাইলে Repeater, Mesh, বা Outdoor Access Point ব্যবহার করা যেতে পারে।

এক ব্যক্তি কিনে বা একাধিক ব্যক্তি সমিতি আকারে কিনে সেটা ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে পারবেন।