Image description

রাজধানীর ধানমন্ডির ঝিগাতলায় শত্রুতার জের ধরে ড. মালেকা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থী আলভী হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার ধানমন্ডি ও হাজারীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. রায়হান, হাবিবুর রহমান মুন্না, সমতি পাল ও কাউসার।

পুলিশ বলছে, গত ১৫ মে সন্ধ্যায় ধানমন্ডি লেকের বাগান বাড়ি এলাকায় একটি রেস্তোরাঁয় চেয়ারে বসা নিয়ে বাকবিতান্ডা হয়। নিহত আলভী ও তার বন্ধুদের সঙ্গে আসামি হাসানসহ কয়েকজনের হাতাহাতি হয়। এরপর ১৬ মে তারা পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটায়।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “নিহত সামিউর রহমান খান আলভী হাজারীবাগ থানার মনেশ্বর রোডে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করতেন। তিনি ড. মালেকা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। গত ১৬ মে আলভী ও তার তিন বন্ধু আশরাফুল ইসলাম, জাকারিয়া এবং ইসমাঈল হোসেনের সঙ্গে ধানমন্ডি লেক পাড়ের একটি রেস্টুরেন্টে অবস্থান করছিলেন। এ সময় গ্রেপ্তারকৃতরাসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন তাদেরকে কৌশলে হাজারীবাগ থানার জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা আলভী ও তার বন্ধুদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরি ও চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলভীকে মৃত ঘোষণা করেন।

আলভীর তিন বন্ধু বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় আলভীর বাবা মশিউর রহমান খানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাজারীবাগ থানায় একটি মামলা হয়। আলভীকে শত্রুতার জের ধরে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন গ্রেপ্তারকৃতরা। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত পলাতক অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।