Image description

চাকা খুলে যাওয়া সেই ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন, ফার্স্ট অফিসার ও কেবিন ক্রুদের বেশ ঘটা করে গত ১৯ মে সম্মাননা দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।কুর্মিটোলার বলাকা ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিমান ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন তাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. সাফিকুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।

কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা বিজি ৪৩৬ ফ্লাইটের পেছনের একটি চাকা খুলে যাওয়ার পরও ঢাকায় নিরাপদে অবতরণের স্বীকৃতিতে ক্যাপ্টেন জে এস এম বিল্লাহ, ফার্স্ট অফিসার জায়েদ তাজিম এবং কেবিন ক্রু মোহাম্মদ জামাল উদ্দিনকে সম্মাননা দেওয়া হয়।কিন্তু অদৃশ্য কারনে সেই আয়োজন থেকে বাদ দেওয়া হয় সেই ফ্লাইটে থাকা নবীন এফএসএস খাদিজা সুলতানা শিমুকে। অনুষ্ঠানে তাঁর নাম পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়নি। অনুষ্ঠানের দিন তাকে দাম্মাম ফ্লাইটে যুক্ত করা হয়।

কিন্তু কেন ? জানা যায়, বিমানের একটি মহল বরাবরই তরুণদের কাজের স্বীকৃতি দিতে অনীহা দেখায়।এরই ধারাবাহিকতায় এবার বৈষম্যের স্বীকার হলেন ক্রু শিমু। এ নিয়ে বিমান ক্রুদের হোয়াটসআপ গ্রূপে তুমুল সমালোচনার ঝড় বইছে। অনেকেই এই বৈষম্য থেকে বিমানকে মুক্ত করার কথা বলেন।

বিমান কর্তৃপক্ষ পাইলট আর কেবিন ক্রদের সম্মাননা আড়ালে ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনের ব্যর্থতাকে কি ধামাচাপা দিয়েছে? এ প্রশ্ন অনেকের। গাফিলতির দায় কোনভাবেই এড়াতে পারে না বিমান ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।এ ধরনের ঘটনার পর নিয়ম অনুযায়ী ফ্লাইটের সকলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক হলেও সে কাজটিও করেনি বিমান।