Image description
 

‘বিয়ারিং ফেইলিওর বা কাজ না করার’ কারণে কক্সবাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটির চাকা খুলে পড়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে চাকা খুলে পড়ার এ কারণ তুলে ধরা হয়েছে। সোমবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিমান।

তবে কী কারণে ‘বিয়ারিং ফেইলিওর’ হয়েছিল, সেটি তদন্তের পর জানা যাবে বলে কর্তৃপক্ষের ভাষ্য। চাকা খুলে পড়ার এ ঘটনায় নিরাপত্তা ও তদন্তে বিমান কর্তৃপক্ষ দুইটি কমিটি গঠন করেছে।

ঘটনা পর্যালোচনা করে বিমান কর্তৃক্ষ বলছে, কানাডার ডি-হেভিল্যান্ড এয়ারক্রাফট কোম্পানির তৈরি ড্যাশ-৮ ৪০০ মডেলের বিমানটির চাকার বিয়ারিং ত্রুটি দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট চাকা অথবা টায়ার ‘বিচ্যুত হতে পারে’, যা সেদিন ঘটেছে।

এছাড়া ইতোমধ্যেই প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে কারিগরি টিম পাঠানোর অনুরোধ করে বাংলাদেশ বিমান। তাতে সাড়া দিয়ে কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তাদের বিশেষায়িত দলটি ঢাকায় আসছে এ দিন।

 

গত ১৬ মে কক্সবাজার থেকে দুপুর দেড়টার দিকে উড়তে শুরু করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ‘বিজি-৪৩৬’ ফ্লাইটটি। ওড়া শুরুর পরেই দেখা দেয় বিপত্তি; খুলে পড়ে বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ারের পাশের একটি চাকা। ওই ফ্লাইটে ৭১ জন যাত্রী এবং দুইজন ক্রু ছিলেন।

ফ্লাইট পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন জামিল বিল্লাহ, যার প্রায় আট হাজার ঘণ্টা ওড়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তার সঙ্গে ছিলেন ফার্স্ট অফিসার জায়েদ। পাইলট ঘটনার গুরুত্ব বুঝে তাৎক্ষণিক বিষয়টি জানান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সেন্টারে।

এরপর ফ্লাইটটি ইমার্জেন্সি ঘোষণা করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, ইমার্জেন্সি প্রটোকলসহ সব ব্যবস্থা নেওয়া হয় রানওয়েতে। এর মধ্যে দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে ফ্লাইটটি নিরাপদে অবতরণ করে। উড়োজাহাজটি নির্দিষ্ট পার্কিং বে-তে পৌঁছানোর পর প্রকৌশলীরা বাম দিকের ল্যান্ডিং গিয়ারের একটি চাকা (দুই নম্বর) না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

পরে খুলে পড়া চাকাটি পাওয়া যায় কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়ায়। উড়োজাহাজটি ছিল কানাডার ডি-হেভিল্যান্ড এয়ারক্রাফট কোম্পানির তৈরি ড্যাশ-৮৪০০ মডেলের।