Image description
 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, “তারেক সাহেবের দেশে ফেরার বিষয়ে আমি অন্তত দুশ্চিন্তাগ্রস্ত নই। নিশ্চয়ই আল্লাহর মেহেরবানিতে যখন সম্ভব ও উচিত হবে, তিনি অবশ্যই দেশে ফিরবেন।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশে কোনো শক্তি কিংবা ষড়যন্ত্র করে তাকে ঠেকাতে পারবে— আমি বিশ্বাস করি না। আপনারা কি মনে করেন পারবে? না। কিন্তু তিনি একজন আইন মান্যকারী নাগরিক। তিনি চান না এমন পরিস্থিতি তৈরি হোক যেখানে সরকার নিজেই আইন কার্যকর করতে না পারে। এ কারণেই কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।”

তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে নানা অভিযোগ আনা হলেও সেগুলোর কোনোটিই প্রমাণিত হয়নি বলে দাবি করেন নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, “দেশের কিছু গণমাধ্যম তাকে এক ধরনের দানব রূপে উপস্থাপন করেছে— যেন তিনি বিদেশে বিপুল সম্পদের মালিক, দুর্নীতির মাধ্যমে অঢেল অর্থবিত্ত অর্জন করেছেন। অথচ দুই বছর সেনা-সমর্থিত সরকার এবং এরপর ১৫ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থেকেও এসব অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি।”

তিনি আরও জানান, “তার বিরুদ্ধে একটি মাত্র মামলায় সাজা হয়েছে, যেখানে বিচারিক আদালত তাকে খালাস দিয়েছিল। পরে উচ্চ আদালতে এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বিচারক হিসেবে দণ্ড দিয়েছেন। এর বাইরে আর কোনো দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ হয়নি।”

তারেক রহমানের রাজনৈতিক ভূমিকা প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, “বর্তমান গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে তারেক রহমানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শেষ পর্যায়ে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। এমনকি যারা ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে, তারাও তার অবদান স্বীকার করেছে।”

তিনি বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাহসিকতা ও রাজনৈতিক দৃঢ়তার প্রশংসা যেমন হয়েছে, তেমনি তারেক রহমানের নেতৃত্বও দেশের জনগণের মধ্যে প্রত্যাশার জন্ম দিয়েছে। আমরা আশা করি, সেই প্রত্যাশা পূরণে আল্লাহ আমাদের সহায় হবেন।”