
Maskwaith Ahsan(মাস্কওয়াইথ আহসান)
হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনের সম্মতি তৈরিতে যে কালচারাল উইংটি অবিরত কাজ করেছিলো; তাদের একজন অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া; যিনি বলেছিলেন, প্রত্যেক নারীর মাঝে একজন শেখ হাসিনা আছে।
আওয়ামী লীগের এই ফ্যাসিস্ট এনাবলার কালচারাল উইং ও জুলাই ম্যাসাকারের উস্কানি দেয়া "আলো আসবেই" গ্রুপের সদস্যদের অনেকের বিরুদ্ধে কিছু হত্যা মামলা হয়েছে।
এই মামলাগুলো নিষ্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নুসরাত সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিদেশে যাবার সময় বিমানবন্দরে গ্রেফতার হয়েছেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফ্যাসিস্ট এনাবলার লেখক এজরা পাউন্ড নিজ হাতে মানুষ খুন না করলেও; ফ্যাসিস্টের দোসর হিসেবে তার বিচার হয়েছিলো।
ফলে যারা কোন তারকা শিল্পী বিশেষত নারীকে গ্রেফতার হতে দেখলেই প্রতিবাদ জানাচ্ছেন; আমি তাদের মানবিকতাকে শ্রদ্ধা জানাই।
কিন্তু ফ্যাসিস্ট এনাবলার শিল্পীরা কিছু সংশোধনমূলক প্রতীকী শাস্তির মাঝ দিয়ে না গেলে; ক্ষমতাসীনের মানবতা বিরোধী অপরাধকে চোখ বুঁজে সমর্থন করার অশৈল্পিক প্রবণতা রয়ে যাবে শিল্পী সমাজে।
শিল্পীরা যেহেতু সমাজের আইকন, অনেকে তাদের অনুসরণ করেন; তাই তাদের তেলাঞ্জলি শাসককে আরো কর্কশ হতে শক্তি দেয়।
ক্ষমতাসীনের প্রতি শিল্পীর সমর্থন পরিমিত হওয়া উচিত। ক্ষমতাসীন যখনই কোন মানবাধিকার লংঘনে প্রবৃত্ত, তখনই শিল্পী সমাজের প্রতিবাদ ক্ষমতা কাঠামোকে সচেতন করে।
শিল্পীর সাতখুন মাফ নয়; বরং শিল্পীর আচরণে সত্য সুন্দর কল্যাণের উদ্ভাস বেশি প্রত্যাশিত।
আইনানুগভাবে নুসরাত ফারিয়ার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ খণ্ডন করে তিনি আবার শিল্পীজীবনে ফিরে যাবেন, এই প্রত্যাশা রইলো।
