Image description
 

ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলমের বাসায় যৌথ অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।তিন হাজার কোটি টাকার খোঁজে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশের সুগন্ধা আবাসিক এলাকায় ওই অভিযান চালানো হয়।প্রায় তিন ঘণ্টা অভিযান শেষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বাসাটিতে ওই রকম কিছুই পাওয়া যায়নি।সিএমপির পাঁচলাইশ থানা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বৈদেশিক মুদ্রা এবং টাকা মজুত থাকার গোয়েন্দা তথ্য তাদের কাছেও ছিল। তবে বিষয়টি সন্দেহজনক, পর্যাপ্ত ফোর্স না থাকা এবং অভিযান নিয়ে পরে বিতর্ক হতে পারে- এ আশঙ্কায় তারা অভিযান পরিচালনা করেননি।

 

জানা গেছে, অভিযান চালানো ওই বাসায় মাহবুব আলমের মেয়ে এবং তার স্বামীসহ কয়েকজন নিকটাত্মীয় থাকেন।চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জভিত্তিক ব্যবসায়ী মাহবুব আলম আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অবৈধ উপায়ে দেশে ও বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার আগে মাহবুবুল আলম দেশ ছাড়েন। এরপর তিনি আর বাংলাদেশে আসেননি।পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, মাহবুবুল সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম ২০২৩ সালের ১৫ আগস্ট দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতির দায়িত্ব নেন। এর পেছনে বড় ভূমিকা রাখেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা বর্তমানে কারাবন্দী সালমান এফ রহমান।

ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে গত সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে সিঙ্গাপুর থেকে তিনি ই–মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতির পদ ছাড়েন।এর আগে ২০২৩ সালের ৮ আগস্ট প্রভাব খাটিয়ে নিজের এক মেয়ে রাইসা মাহবুবকে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্সের সহ-সভাপতি বানিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন মাহবুবুল আলম। তার আরেক মেয়ে মুনাল মাহবুব গত ৪ ডিসেম্বর চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। এতেও মাহবুব নানাভাবে বিদেশে থেকেও প্রভাব খাটিয়েছেন বলে জানা গেছে।তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের ওপর হামলার জন্য বিপুল পরিমাণ টাকা ব্যয় করেছেন।