Image description

দাবি না মানা পর্যন্ত পিছিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই, এমনটি বলেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দিন। শুক্রবার (১৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টার পর কাকরাইল মোড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

 
 
 
 

 

রইছ উদ্দিন বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অবহেলিত, বঞ্চিত, নিষ্পেষিত এটি ঐতিহাসিকভাবে সত্য। এই বৈষম্য নিরসনের জন্য শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই এক।

 
 

সুতরাং আমাদের দাবি পূর্নাঙ্গরূপে মানতে হবে। আমরা এমন একটি পর্যায়ে উপস্থিত হয়েছি, এখান থেকে পেছনে যাওয়ার সুযোগ নাই।

 
 

তাই সবার সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ চাই।  

 

তিনি বলেন, আমরা এখান থেকে এক চুল সরব না।

 
 

আমাদের রক্তের ওপরে প্রতিষ্ঠিত সরকার যদি চোখ রাঙিয়ে কথা বলে, হুমকি-হুমকি-ধমকি দেয়, যদি স্টিম রোলার চালানোর চেষ্টা চালায়, তাহলে আমরা তা রুখে দেব। এ আন্দোলন তখন কাকরাইল পয়েন্টে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এটা কোথায় যাবে, জানি না, এর দায়-দায়িত্ব আমরা নেব না।  

 

এই অধ্যাপক বলেন, এ দেশের প্রত্যেক নাগরিক তাদের অধিকার প্রত্যাশা করে। তিন দিন ধরে আমার শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে বসে দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছে। কিন্তু এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সমাধান আসেনি। অথচ চাইলে প্রথম দিনই সমাধান করা যেত।

জুমার নামাজের পরে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গণ-অনশন কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানান তিনি।

তিন দফা দাবিতে কদিন ধরে আন্দোলন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলো হলো, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করা।