কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তে টহলরত অবস্থায় বজ্রপাতে এক বিজিবির সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। গতকাল বুধবার মধ্যরাতে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ছাটকড়াইবাড়ী-ধর্মপুর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বিজিবি সদস্য রিয়াদ হোসেন (৩২) জামালপুর বিজিবি-৩৫ ব্যাটালিয়নের দাঁতভাঙ্গা ক্যাম্পের সিপাহি ছিলেন। তিনি নেত্রকোনার আটাপাড়া উপজেলার দিয়ারা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।
আহতরা হলেন- বিজিবি সদস্য হাবিলদার মো. জসিম (৫২), সিপাহি নাদিম (২৮), সিপাহি শাহীন (২৮) ও আনসার সদস্য ফেরদৌস হোসেন (৩৬)।
দাঁতভাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আব্দুল হালিম ‘আমাদের সময়’কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার রাত ১২টার দিকে রৌমারী সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমানা মেইন পিলার-১০৫৬ এলাকার ছাটকড়াইবাড়ী-ধর্মপুর সীমান্তে টহল দিচ্ছিল একদল বিজিবি সদস্য। এ সময় দমকা বাতাস, বৃষ্টি ও বজ্রপাত শুরু হয়। বজ্রপাতে বিজিবির ৫ জন সদস্য ও একজন আনসার সদস্য গুরুতর আহত হন।
পরে আহত অবস্থায় তাদের রৌমারী হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিয়াদ হোসেন নামে এক বিজিবি সদস্যের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহতদের মধ্যে দুই জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকি দুই জনকে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. নবিউল ইসলাম আমাদের সময়’কে জানান, বজ্রপাতে আহত অবস্থায় ৬ জনকে এখানে আনা হয়। তবে তাদের মধ্যে এক বিজিবি সদস্যের আগেই মৃত্যু হয়। পরে গুরুতর আরও দুই বিজিবি সদস্যের অবস্থার অবনতি হলে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের রৌমারী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান জানান, সীমান্তে টহল দিচ্ছিল তারা। এ সময় বজ্রপাতে আহত হয়ে এক বিজিবির সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। আরও কয়েকজন আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
