Image description

দেশের চার লাখ মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের সমাজের কল্যাণমূলক কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক শায়খ আহমাদুল্লাহ।

বুধবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ‘এ দেশের শহর-গ্রামে, পাহাড়-সমতলে মানবদেহের শিরা-উপশিরার মতো প্রায় চার লাখ মসজিদের বিশাল বড় নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে আছে। সব রাজনৈতিক দল কিংবা সরকারি অফিসের সংখ্যাও হয়তো এত বড় নয়। চার লাখ মসজিদে অন্তত আট লাখ ইমাম-মুয়াজ্জিন রয়েছেন।

এই বিশাল বড় নেটওয়ার্ক এবং জনশক্তির সঠিক ও ইতিবাচক ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্র বহুবিধ বেনিফিট অর্জন করতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার এই জনবল ব্যবহার করে দুর্যোগ মোকাবেলা, পরিবেশ সুরক্ষা, নাগরিক সেবা, স্থানীয় সরকার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, বিবাহ, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনসহ সমাজকল্যাণমূলক অনেক কাজ করতে পারে। ধর্মীয় আবেগ ও অনুভূতি এই মাটির বাস্তবতা। মসজিদ এবং আলেমদের প্রতি মানুষের যে আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে, তা কাজে লাগাতে পারলে সমাজ ও রাষ্ট্র নিঃসন্দেহে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।

এর জন্য সবার আগে প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণসহ যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করলেই এটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। চার লাখ মসজিদের এই বিশাল অবকাঠামো, নেটওয়ার্ক এবং সম্ভাবনাময় জনশক্তিকে অবজ্ঞা করে একটা দেশের এগিয়ে যাওয়া খুবই কঠিন।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই দেশের মানুষ শুক্রবারের ছুটির সকালে নির্ভার হয়ে বিশ্রাম নেয়।

পুরো সপ্তাহের শরীরের ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলে। সাবান-শ্যাম্পু সমেত গোসল সেরে ইস্ত্রি করা কড় কড়া পাঞ্জাবি পরে মসজিদে যায়। সপ্তাহের সবচেয়ে ফ্রেশ সময়ে উৎসুক শ্রোতা হয়ে হাজির হয় জুমার নামাজে। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রত্যেক মসজিদে যদি গড়ে দেড় শ মুসুল্লি উপস্থিত হন, তবে দেশের চার লাখ মসজিদে একত্রিত হন প্রায় ছয় কোটি মানুষ! আর তাদের পেছনে থাকে তাদের পরিবার। জুমার মিম্বারের মতো এত বড় মিডিয়া ব্যবহার করে কত কী না করা সম্ভব!’