
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান ঘিরে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতালের কোয়ার্টারে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে উচ্চ শব্দে বাজানো হয় বাদ্যযন্ত্র, করা হয় রঙিন আলোকসজ্জা—যা মারাত্মক ভোগান্তিতে ফেলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও স্বজনদের।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) রাতে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয় হাসপাতালের সীমানার ভেতরে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালের একটি কোয়ার্টারে বসবাসরত নার্স সীমলা চক্রবর্তীর এক স্বজনের বিয়েকে কেন্দ্র করে এই আয়োজন করা হয়।
রোগীদের জন্য নিরিবিলি পরিবেশ নিশ্চিত করার পরিবর্তে সরকারি স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্রের ভেতরে এমন হৈচৈপূর্ণ অনুষ্ঠান জনমনে বিস্ময় ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, কীভাবে একটি সরকারি চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠানে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।
হাসপাতালে আসা এক রোগীর স্বজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “রোগী নিয়ে হাসপাতালে এসেছি, অথচ মনে হচ্ছে যেন বিয়ে বাড়িতে আছি। এত শব্দে ছোট বাচ্চা আর বৃদ্ধ রোগীরা বিরক্ত ও কষ্ট পাচ্ছে।”
এ ঘটনার পেছনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলাকেই দায়ী করছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা। তাদের অভিযোগ, পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু তৈয়বের নজরদারির অভাবেই হাসপাতাল চত্বরে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত আয়োজন সম্ভব হয়েছে। তাদের ভাষায়, বিষয়টি হাসপাতালের প্রশাসনিক শৃঙ্খলার ঘাটতির প্রতিচ্ছবি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই বলছেন, হাসপাতালের মতো সংবেদনশীল জায়গায় এমন আয়োজন স্বাস্থ্যসেবার পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং তা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আবু তৈয়ব বলেন, “কিছুদিন আগে বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছিল। আমি পরিবেশ বজায় রাখার শর্তে অনুমতি দিয়েছি। তবে বাদ্যযন্ত্র বাজানোর বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”