Image description

উত্তাল জুলাই বিপ্লবে শুরু থেকেই সক্রিয় ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার রাকিবুল হো‌সেন। হে‌লিকপ্টার থেকে ছোড়া গুলিতে শহীদ হন গত বছরের ১৯ জুলাই। তবে লা‌শের কোনো ময়নাতদন্ত হয়‌নি। ওই ঘটনায় মামলা হলেও বিচার হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে পরিবারের।

অশ্রুসজল নয়‌নে কথাগু‌লো বল‌ছি‌লেন বৈষম্যবি‌রোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ঝিনাইদ‌হের রা‌কিবুলের বৃদ্ধ বাবা বিমান বা‌হিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুবকর সি‌দ্দিক।

জানা গেছে, রাকিবুল মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে পড়াশোনা করেছেন। আন্দোলনের শুরু থেকেই সক্রিয় ছিলেন। আন্দোলনের ব্যস্ততায় ক্যানসার আক্রান্ত মা হাফিজা বেগমের সঙ্গে ঠিকমতো কথা বলতেন না মোবাইলে। ১৯ জুলাই যেদিন তিনি শহীদ হন, সেদিনও সকাল থেকে ছিলেন আন্দোলনে।

মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্ব‌রে রাত সা‌ড়ে ৯টার দিকে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে অন্য একজনের সঙ্গে কথা বল‌ছি‌লেন তি‌নি। এ সময় হঠাৎ হেলিকপ্টার থে‌কে ছোড়া একটি গুলি এসে তার গলায় লাগে। গুলি লাগার পর তিনি রাস্তায় লুটি‌য়ে পড়েন। প‌রে পথচারীরা তা‌কে মিরপুর আজমল হাতপাতা‌লে নি‌য়ে গে‌লে কর্তব্যরত চি‌কিৎসক মৃত ঘোষণা ক‌রেন।

আবুবকর সি‌দ্দিক জানান, স্বৈরাচার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে হে‌লিকপ্টার থে‌কে গু‌লি চা‌লি‌য়ে‌ছে ছাত্র‌দের বু‌কে। হে‌লিকপ্টার থেকে ছোড়া গু‌লি‌তে আমার ছেলে মারা গেলেও তার ময়নাতদন্ত হয়নি। ২০ জুলাই ভো‌রে লাশ গ্রা‌মের বা‌ড়ি পৌঁছা‌নোর পর ত‌ড়িঘ‌ড়ি ক‌রে দাফন করা হয়। রা‌কিবু‌লের হত্যার ঘটনায় ৯৮ জন‌কে আসামি ক‌রে মামলা করা হ‌য়ে‌ছে। কিন্তু বিচার হ‌বে কি না, তা নি‌য়ে আমরা উদ্বিগ্ন।

রা‌কিবু‌লের মা হা‌ফিজা বেগম বলেন, জুলাই শহীদ‌দের হত্যার বিচার কর‌তে হ‌লে রাজ‌নৈ‌তিক দলসহ বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সদিচ্ছা থাক‌তে হ‌বে।