
ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান চট্টগ্রামে র্যাব কার্যালয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পলাশ সাহার মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছেন। পলাশ সাহার আত্মহত্যার খবরে শোক জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন এ অভিনেতা।
পোস্টে জায়েদ খান লিখেছেন—ছেলেটা (পলাশ) আজকে পারিবারিক কলহের কারণে পৃথিবী ছেড়ে চলে গেল। মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবনের স্মৃতিকথা জানিয়ে অভিনেতা লিখেছেন, ‘ছোট ভাই পলাশ। একই বিশ্ববিদ্যালয়ের হওয়াতে দেখা হলে ভালো লাগত। খুব ভালো ছেলে ছিল। দেখা হলেই হাসি দিয়ে বলত, ভাইয়া চা খাবেন।
গতকাল বুধবার (৭ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানাধীন সিপিসি-৩, র্যাব-৭ ক্যাম্পের নিজ অফিসকক্ষ থেকে এএসপি পলাশ সাহার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার কক্ষ থেকে একটি চিরকুট পাওয়া যায়।
যে চিরকুটে লেখা আছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য মা এবং বউ—কেউ দায়ী না। আমিই দায়ী। কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না। বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের ওপর। তারা যেন মাকে ভালো রাখে। স্বর্ণ বাদে যা আছে তা মায়ের জন্য। দিদি যেন কোঅরডিনেট করে।
চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার ওসি আফতাব উদ্দিন বলেন, র্যাব চান্দগাঁও কার্যালয়ের নিজ কক্ষ থেকে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার পলাশ সাহার গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান তার সহকর্মীরা। এ সময় একটি চিরকুট পাওয়া গেছে বলে তারা জানান। পরে সেখানে পলাশ সাহার মরদেহের সুরতহাল করা হয়।
উল্লেখ্য, পলাশ সাহা ৩৭তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি আগে পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) ছিলেন। সর্বশেষ র্যাব ৭-এ এএসপি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার তারাশি গ্রামে।