
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় স্মার্টফোন কিনে না দেয়ায় ইয়ামিন (১৫) নামের এক কিশোর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বুধবার (৭ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের গুয়াবাড়ি গুচ্ছগ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোর ইয়ামিন ওই এলাকার আব্দুল হাকিম ও সকিনা বেগম দম্পতির ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ইয়ামিন মায়ের কাছে স্মার্টফোন কিনে দিতে কয়েকদিন ধরেই বায়না ধরে আসছিল। মা সকিনা বেগম পাথর শ্রমিক হওয়ার কারণে টাকার অভাবে ছেলেকে ফোন কিনে দিতে পারছিলেন না। বুধবারও ফোন কিনে দেয়ার জন্য বায়না ধরে।
এর মাঝে সন্ধ্যায় বাড়িতে ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় জানালা দিয়ে ইয়ামিনের মরদেহ ঝুলতে দেখে পরিবারের সদস্যরা। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। পরিবারের ধারণা, মোবাইল কিনে দিতে না পারায় ইয়ামিন আত্মহত্যা করেছে।
ইয়ামিনের মা সকিনা বেগম জানান, ‘ছেলে কিছুদিন ধরেই আমার কাছে টাচ ফোন কিনে দিতে বায়না করছিল। কিন্তু এই ফোন কিনতে তো অনেক টাকা লাগে। এতো টাকা কই পাবো। পাথরের কাজ করি। ঠিকমতো খেতে পারি না। ঘটনার সময় আমি বাইরে ছিলাম। পরে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে ধাক্কা দেই, দেখি বন্ধ। জানালা দিয়ে দেখি ছেলের মরদেহ ঝুলছে।’
তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুসা মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। একই সঙ্গে থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাতেই পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।