
দেশের ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণের পরিমাণ এখন ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে। মূলধন, প্রভিশনসহ ব্যাংকগুলোর আর্থিক সব সূচকও তলানিতে। এক কথায়, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে ব্যাংক খাত। এমন পরিস্থিতিতে দুর্বল ব্যাংকগুলো নিয়ে চিন্তিত বাংলাদেশ ব্যাংক। দুর্বল ব্যাংকগুলো সবল ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হবে, নাকি অবসায়ন ঘটানো হবে, তা নিয়েই মূল চিন্তা। একীভূত করা হলে কী প্রক্রিয়ায়, কোন ধরনের ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হবে, তা যেমন খতিয়ে দেখা হচ্ছে, তেমনি অবসায়ন করা হলে ব্যাংক আমানতকারীদের স্বার্থ কীভাবে সুরক্ষা করা হবে, সে বিষয়টিও আছে ভাবনায়। এ লক্ষ্যে আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে আমানত বীমার সীমায়। পাশাপাশি ব্যাংক অবসায়ন সহজ করতে হচ্ছে নতুন আইন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্র বলছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে দুর্বল ছয় ব্যাংকের বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্তে যাবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব ব্যাংকের মধ্যে এস আলম, সিকদার ও মহিউদ্দিন খান আলমগীরের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকও রয়েছে। এই ছয় ব্যাংকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে আগামী মাসের শেষ দিকে। এ ছাড়া দুর্বল অন্য ব্যাংকগুলোকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সময় বেঁধে দেওয়া হতে পারে। যদি ব্যাংকগুলো বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তাদের আর্থিক সূচকে উন্নতি করতে পারে তাহলে নীতিগত সহায়তা দিয়ে তাদের বাঁচিয়ে রাখা হবে। আর না পারলে তাহলে তাদের বিষয়েও আসবে কড়া সিদ্ধান্ত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কালবেলাকে বলেন, সরকার প্রথমে অতিদুর্বল ছয় ব্যাংকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের কাছ থেকেও বিভিন্ন ফরমেটে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। বিশেষ করে ব্যাংকিং নীতি-সংক্রান্ত বিভাগগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন গভর্নর। সব মিলিয়ে সরকার এসব ব্যাংকের বিষয়ে কঠিন সিদ্ধান্তই নেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ব্যাংকগুলোকে একীভূত করা হবে কি না জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে একীভূত করে সমাধান হবে বলে মনে হচ্ছে না। কারণ দুর্বল যে ছয় ব্যাংকের বিষয়ে আলোচনা করা হচ্ছে সেগুলোর সঙ্গে ভালো ব্যাংক একীভূত করা হলে ওই ব্যাংকও খারাপ হয়ে যেতে পারে। আবার খারাপ সব একীভূত করা হলে তো এখনকার মতোই অবস্থা হবে।
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘ধরেন এক ব্যাংকের ৭ হাজার কোটি টাকার মূলধন ঘাটতি তার সঙ্গে আরও অন্য পাঁচটি ব্যাংক একীভূত করা হলো যেগুলোর মূলধন ঘাটতি আরও ৫ হাজার কোটি টাকা। তাহলে তো সব মিলিয়ে ১২ হাজার কোটি টাকার মূলধন ঘাটতি দাঁড়াবে একটা ব্যাংকের। এই ব্যাংকের তো ভবিষ্যতে ঘুরে দাঁড়ানোর কোনো সুযোগই থাকবে না। এজন্য আমরা গভর্নর স্যারকে বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আসা বা ব্যাংকগুলো অবসায়নের বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছি।’
সূত্র বলছে, যে ছয়টি ব্যাংকের বিষয়ে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে সেগুলোর বিষয়ে অ্যানালাইসিস করছে বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক বিভাগ। এসব ব্যাংকের আমানতকারীদের বিষয়ে পর্যালোচনায় দেখা যায়, আমানত বীমার সীমা নতুন করে ২ লাখ টাকা করার পর এসব ব্যাংকের ৪৫-৬০ শতাংশ আমানতকারী সুরক্ষিত হবে। তবে সার্বিকভাবে ছয় ব্যাংকের এমন আমানতকারীর গড় সংখ্যা ৫০ শতাংশের কম। অর্থাৎ এসব ব্যাংক বন্ধ হলে অর্ধেক আমানতকারী তাদের পূর্ণাঙ্গ আমানত নিয়ে ঝুঁকিতে পড়বেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান কালবেলাকে বলেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোর বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা নিয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। দফায় দফায় আলোচনা হচ্ছে। তবে যাই হোক না কেন, আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষার বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিবেচনাধীন রয়েছে।
তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এসব ব্যাংক যদি অবসায়ন করা হয় তাহলে শতভাগ আমানতকারীর স্বার্থ সুরক্ষা করা কঠিন হবে। যদি করতে হয় তাহলে সরকারকে টাকা ছাপিয়ে দিতে হবে। এটা করতে গেলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণহীন হওয়ার পাশাপাশি সরকারকে আরও অনেক চ্যালেঞ্জে পড়তে হতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো ব্যাংক অবসায়ন করা হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে বলেও জানান তিনি।
দুর্বল ব্যাংকগুলোর বিষয়ে কেমন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত—এমন প্রশ্নে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘সরকার যে সিদ্ধান্তেই যাক না কেন, আমানতকারীদের বিষয়ে অবশ্যই গুরুত্ব দেবে। তবে কোনো ব্যাংক অবসায়ন করা হবে বলে মনে হয় না। কয়েকটি ব্যাংক একীভূত করা হবে বলে আলোচনা শুনেছি। সম্ভবত ঈদের পরই সরকার চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে যাবে।’
এদিকে, শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোকে একীভূত করে দুটি ব্যাংকে নিয়ে আসার চিন্তা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর একাধিক প্রোগ্রামে ইঙ্গিতও দিয়েছেন। যদিও বিষয়টি আত্মঘাতী ও ব্যাংক খাতের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন ব্যাংকার ও বিশ্লেষকরা।
জানতে চাইলে শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মোসলেহ উদ্দীন আহমেদ কালবেলাকে বলেন, ভালো ব্যাংকের সঙ্গে খারাপ ব্যাংক একীভূত করা ঠিক হবে বলে মনে হয় না। আর গভর্নর সম্ভবত এভাবে বোঝাতে চাননি। তিনি বলেছেন, শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে একটি বড় ব্যাংক। অন্যগুলো ছোট। এজন্য এখানে ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা হচ্ছে না। তাই ছোট ব্যাংকগুলোকে একীভূত করে হয়তো বড় ব্যাংক করা হতে পারে।
গবেষণা সংস্থা চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের রিসার্চ ফেলো ও অর্থনীতিবিদ এম হেলাল আহমেদ জনি কালবেলাকে বলেন, শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে শাহাজালাল ইসলামী ব্যাংক এখন পুরো ব্যাংক খাতেই সুনাম কুড়াচ্ছে। এই ব্যাংকটিতে হাত দেওয়া ঠিক হবে না। আরও কয়েকটি ব্যাংককে নীতি সহায়তা ও ভালো ম্যানেজমেন্ট দেওয়া গেলে ভালো অবস্থানে নেওয়া সম্ভব। তাই যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়, তা যেন ভেবেচিন্তে নেওয়া হয়। এমন যেন না হয় এই খাত থেকেই মানুষের আস্থা উঠে যায়। তাহলে দেশের পুরো অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়বে।
ব্যাংক অবসায়নে নতুন আইন হচ্ছে: দুর্বল ব্যাংকের পরিচালনা বা অবসায়নের পথ সহজ করতে নতুন আইন করছে অন্তর্বর্তী সরকার। সংসদ না থাকায় এটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে। সরকারের লক্ষ্য আগামী জুলাই মাসের মধ্যে অধ্যাদেশটি জারি করা। গত ২ মার্চ অধ্যাদেশের খসড়া ওয়েবসাইটে দিয়ে মতামত চেয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। বর্তমানে দুর্বল কোনো ব্যাংকের পরিচালনা বা অবসায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার মতো যথেষ্ট ক্ষমতা নেই। এ ক্ষমতা অর্জনের জন্যই প্রণয়ন করা হচ্ছে নতুন ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশ, ২০২৫। অধ্যাদেশটি পাস হলে এর অধীনে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক একটি আলাদা বিভাগ গঠন করবে।
অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংকের সুবিধাভোগী মালিক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ব্যাংকের সম্পদ বা তহবিল নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করলে এবং প্রতারণামূলকভাবে অন্যের স্বার্থে ব্যবহার করলেও বাংলাদেশ ব্যাংক রেজুলেশন করার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। কোনো ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংক অস্থায়ী প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারবে, বিদ্যমান শেয়ার ধারক বা নতুন শেয়ার ধারকদের মাধ্যমে মূলধন বাড়াতে পারবে এবং ব্যাংকের শেয়ার, সম্পদ ও দায় তৃতীয় পক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে পারবে। ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম ও কার্যকর পরিচালনা অব্যাহত রাখতে এক বা একাধিক ব্রিজ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা এবং পরে সেগুলোকে তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রিও করতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ ছাড়া ব্যাংক খাত সংকট ব্যবস্থাপনা কাউন্সিল নামে একটি আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক সংস্থা গঠনের কথাও বলা হয়েছে অধ্যাদেশের খসড়ায়। এ কাউন্সিল সংকট ব্যবস্থাপনা কৌশল এবং আপৎকালীন বিকল্প পরিকল্পনা তৈরি করবে। কাউন্সিলের প্রধান হবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।
খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করা হলে বাংলাদেশ ব্যাংক সে ব্যাংকের অবসায়নের জন্য আদালতে আবেদন করবে। আদালত বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোনীত কাউকে অবসায়ক নিয়োগ দেবে। অবসায়ন আদেশ কার্যকর হওয়ার পর কোনো ব্যাংকের দায়ের ওপর সুদ বা অন্য কোনো মাশুল কার্যকর হবে না। ব্যাংক স্বেচ্ছায় অবসায়নের প্রক্রিয়ায় যেতে পারবে বলেও খসড়ায় বলা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া কার্যক্রম বন্ধ করতে পারবে না। লাইসেন্স প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার সাত কর্মদিবসের মধ্যে আমানত এবং দুই মাসের মধ্যে অন্যান্য দায় শোধ করতে হবে।
আমানত বীমার সীমা বাড়ছে: বাংলাদেশ ব্যাংক একটি নতুন আমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি করেছে। খসড়ায় কোনো ব্যাংক অবসায়নের মাধ্যমে গেলে প্রতি আমানতকারীকে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পরিশোধের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই সীমা প্রতি তিন বছর পর পর পর্যালোচনা করা হবে। জনমত গ্রহণের জন্য উন্মুক্ত এই খসড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অধীনে একটি আমানত সুরক্ষা কর্তৃপক্ষ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রিমিয়ামের মাধ্যমে পরিচালিত একটি পৃথক তহবিল তদারকি করবে। এ ছাড়া সুরক্ষা সীমা অতিক্রম করা আমানতকারীদের অতিরিক্ত অর্থের দাবি লিকুইডেটরের মাধ্যমে করতে হবে।
অধ্যাদেশে নিরাপদ আমানতের জন্য সাত দিনের মধ্যে পরিশোধের সময়সীমা এবং তহবিলের আয়কর ছাড়ের বিষয়টিও স্পষ্ট করা হয়েছে। প্রিমিয়াম সময়মতো পরিশোধ না করলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর আমানতকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে অধ্যাদেশ আনার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। অধ্যাদেশটি ব্যাংক আমানত বীমা আইন-২০০০-এর স্থলাভিষিক্ত হবে, যেখানে আমানত বীমার সীমা ছিল ১ লাখ টাকা।
আমানত সুরক্ষা তহবিল: অধ্যাদেশের আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক একটি আমানত সুরক্ষা তহবিল প্রতিষ্ঠা করবে, যা একটি পৃথক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। তহবিলটি গঠিত হবে ব্যাংকগুলোর থেকে প্রাপ্ত প্রাথমিক, বার্ষিক ঝুঁকিভিত্তিক এবং বিশেষ প্রিমিয়াম, সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সংগৃহীত জরিমানা, বিনিয়োগ থেকে অর্জিত মুনাফা, অবসায়িত ব্যাংক থেকে সমন্বিত তহবিল এবং অন্য যে কোনো শর্তহীন তহবিল থেকে। প্রাথমিকভাবে তহবিলটি ব্যাংক বিলুপ্তির ক্ষেত্রে সুরক্ষিত আমানত পরিশোধে ব্যবহৃত হবে, তবে এটি ব্যাংক সংকট সমাধানে আর্থিক সহায়তাও প্রদান করতে পারে।
তহবিলের ঘাটতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে বিশেষ প্রিমিয়াম সংগ্রহ, সরকার বা অন্যান্য উৎস থেকে নিঃশর্ত আর্থিক সহায়তা চাওয়া, অথবা সরকারি ঋণ নিশ্চিত করার ক্ষমতা পাবে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানতকারীদের জন্য একটি পৃথক তহবিল গঠন করবে।