
চলতি মাসের শেষ নাগাদ নতুন রূপে বাজারে আসছে নতুন নোট। সেসব নোটে থাকবে জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি, দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নানা নিদর্শন। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নতুন এক হাজার টাকার নোটের অনুমোদন দিয়েছে গভর্নর। এছাড়া নয় শ্রেণীর নোট ছাপানো হলেও সবগুলো এখনই ছাড়া হবে না বাজারে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বাজারে বিকল্প হিসেবে মজুদ নোট ছাড়তে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাজারে নতুন নোটের সংকট। বেড়েছে ছেঁড়াফাটা নোটের সংখ্যা। ফলে অনেকেই পুরনো কিংবা ছেঁড়াফাটা নোট পরিবর্তন করছেন রাজধানীর গুলিস্থান ও মতিঝিল থেকে। বাড়তি টাকায় এসব নোট পাল্টাতে গিয়ে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে গ্রাহকদের। যদিও ব্যাংকগুলোর ভল্টে পুরনো নকশার নতুন টাকা মজুদ প্রায় ১৫ হাজার কোটি। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় সেগুলো বিতরণ বন্ধ রয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, "আমরা নতুন নয় প্রকারের নোট ডিজাইন করে মার্কেটে ছাড়ব। ৫ই আগস্টের যে বিপ্লব সে বিপ্লবের প্রতিফলন এই ছবিতে থাকবে। সেই সাথে আমাদের দেশের যে ঐতিহ্য সেগুলো তো থাকবেই।"
দুই থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত মোট নয় শ্রেণীর নোট ছাপাতে সময় লাগবে ১৮ মাস। তবে বাজার চাহিদার বিবেচনায় মে মাসের শেষেই নতুন টাকা ছাড়তে প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।