Image description
 

রপ্তানি আয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে চলতি অর্থবছরের দশম মাসে। এপ্রিল মাসে রপ্তানি আয় নেমে দাঁড়িয়েছে ৩০১ কোটি ডলারে। এটি চলতি অর্থবছরের সর্বনিম্ন আয়। রপ্তানি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এপ্রিলে টানা ১১ দিনের ঈদের ছুটিতে উৎপাদন বন্ধ থাকায় রপ্তানি আয় কমেছে। তবে, ১১ দিনের বন্ধের পরও রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি দশমিক ৮৬ শতাংশ। পোশাকের রপ্তানি প্রবৃদ্ধিও ১০ শতাংশ। মে মাস থেকে রপ্তানি আয় স্বাভাবিক থাকবে বলে মনে করছেন রপ্তানিকারকরা।

 

সোমবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এপ্রিল মাসের হালনাগাদ রপ্তানি আয়ের তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে সদ্য শেষ হওয়া মাসে রপ্তানি আয় কমে দাঁড়িয়েছে ৩০১ কোটি ডলারে। আগের মাসের একই সময়ে রপ্তানি আয় ছিল ২৯৯ কোটি ডলার। সে হিসেবে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি দশমিক ৮৬ শতাংশ।

টানা ১০ মাসে রপ্তানি আয় ছাড়িয়েছে ৪০ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের একই সময়ে রপ্তানি আয় ছিল ৩৬ বিলিয়ন ডলারের কিছু বেশি। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

ইপিবির এপ্রিল মাসের তথ্য বলছে, বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান চালিকাশক্তি তৈরি পোশাক রপ্তানি এপ্রিলে ২৩৯ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। আগের বছরের এপ্রিলের তুলনায় এ খাতের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক ৪৪ শতাংশ। এ সময় নিট পোশাকের রপ্তানি ৫ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পর ১৩১ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। তবে নিট পোশাকে রপ্তানি আয় বাড়লেও নেতিবাচক ধারায় রয়েছে ওভেন পোশাকে। ওভেনে এ মাসে প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ কমে ১০৮ কোটি ডলার হয়েছে।

তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল আমার দেশকে বলেন, এপ্রিলে পোশাক কারখানাগুলোতে টানা ১০ দিনের বেশি ঈদের ছুটিতে উৎপাদন বন্ধ থাকায় আয় কিছুটা কমেছে। তবে প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক ধারায় আছে। আগের বছরও একই মাসে ঈদের ছুটি ছিল। মে মাস থেকে রপ্তানি আয় আবার বেড়ে যাবে।

ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, সদ্য সমাপ্ত এপ্রিলে তৈরি পোশাক, চামড়াবিহীন জুতা, হিমায়িত খাদ্য ও প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি বাড়লেও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, প্লাস্টিক পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানি কমেছে। তবে পোশাক রপ্তানিতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হওয়ার ফলে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি কাছাকাছি রয়েছে। এ মাসে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের রপ্তানি ঋণাত্মক ধারায় গেছে।