অন্তর্বর্তী সরকারের তিনটি প্রধান কাজ হচ্ছে- গণহত্যার বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন। আর আইন উপদেষ্টা হিসেবে আমার প্রধান কাজ গণহত্যার বিচার করা। এমন মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ ‘গুম-খুন থেকে জুলাই গণহত্যা: বিচারের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সংলাপে এমন বক্তব্য করেন তিনি।
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমি যখন সরকারে ছিলাম না, তখন আমিও বলতাম, এটা হচ্ছে না কেন, ওটা হচ্ছে না কেন? এই প্রশ্নগুলো থাকা উচিত। থাকলে আমরা উত্তরটা পাই। আমি নিশ্চিত করে বলতে চাই, আইন উপদেষ্টা হিসেবে আমার প্রধানতম দায়িত্ব হচ্ছে এই গণহত্যার বিচার করা। কিন্তু বিচারটা করার সময় আমাকে গ্রহণযোগ্য মাত্রায় করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘সবার মনে হতে পারে বিচারটা এত দেরি হচ্ছে কেন? আমি আমার চিফ প্রসিকিউটরকে বললাম, বিচার দেরি হচ্ছে কেন? তাজুল (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম) আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে বলছে, কোথায় দেরি হচ্ছে? আমি বললাম, শুনানির জন্য যে এক মাস সময় দিল? এখানে তো তিন মাস সময় দেওয়ার কথা, এর আগে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের যে বিচার হচ্ছিল, সেখানে তো তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছিল। সেখানে এক মাস দিয়েছি।’
এসময় তিনি জানান, ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ শুরু করতে হয়েছে শূন্য হতে। তবে সকল সমস্যা কাটিয়ে বিচারকাজ দ্রুতই করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, গণহত্যার বিচার নিয়ে যাতে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে, সে লক্ষ্যে যৌক্তিকতা বজায় রেখেই বিচার সম্পন্ন করা হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, আইন উপদেষ্টা হিসেবে তার প্রধান দায়িত্ব জুলাই গণহত্যার বিচার সম্পন্ন করা।
এসময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি হাসান মাহমুদ, ওবায়দুল কাদের মতো লোকগুলো কিভাবে পালিয়ে গেলো তার উত্তর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে জানতে চান।
একইসাথে তিনি বলেন, তাদের গ্রেপ্তার করতে না পারা আমাদের সরকারের ব্যর্থতা।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘অনেকে দেখি বলে, যাদের হাজির করা হচ্ছে তাদের হাতে হাতকড়া নেই, হাসিখুশি মুখে হাজির হচ্ছে। তখন তাজুল আমাকে বলে, জামায়াতে ইসলামীর নেতাদেরও কারও হাতকড়া পরানো হয়নি। সে-ই তো জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের আইনজীবী ছিল। অনেক জিনিস আমাদের স্মরণে থাকে না, আমরা ইম্পেশেন্ট (অধৈর্য) হয়ে যাই। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার।’
(ঢাকাটাইমস