
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী প্রতিবেদন ও কমিশন বাতিলের দাবিতে আগামীকাল শনিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ আহুত মহাসমাবেশ সফল করতে আজ বাদ জুমা ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাপক প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশ ও সংহতি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে আজ শুক্রবার রাতেই শত শত যানবাহন, লঞ্চসহ ট্রেন যোগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশে স্বতঃস্ফর্তবাবে সক্রিয় অংমগ্রহণ করার লক্ষ্যে সর্বস্তরের আলেম উলামাসহ ইসলামপ্রিয় জনতা যাত্রা করে ভোরেই ঢাকায় পৌঁছতে শুরু করেছেন। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সূত্রে এতথ্য জানা গেছে। আজ বাদ জুমা ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় প্রস্তুতিমূলক সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, নারী সংস্কার কমিশনের কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী প্রতিবেদন ও কমিশন অবিলম্বে বাতিল ঘোষণা করতে হবে। জুলাই আগষ্টের গণঅভুত্থানের শহীদদের রক্তের ওপর পা রেখেই ড. মুহাম্মদ ইউনুস প্রধান উপদেষ্টার পদে আশীন হয়েছেন।
নারী সংস্কার কমিশনের কোরআন সুন্নাহ বিরোধী প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হলে ড. মুহাম্মদ ইউনুসকেও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পরিণতি ভোগ করতে হবে। আগামীকালের মহাসমাবেশের আগেই নারী সংস্কার কমিশনের ইসলাম বিরোধী প্রস্তাবনা বাতিল করা না হলে সারা দেশে আগুন জ্বলবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশ থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। ফ্যাসিবাদের আমলে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও শাপলা, জুলাই আগস্টের গণহত্যাসহ সকল গণহত্যার বিচার করতে হবে। রাখাইনে সহায়তার জন্য মানবিক করিডোর দেয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ, ফিলিস্তিনে ও ভারতে মুসলিম গণহত্যা ও নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে। এসব দাবি পূরণের লক্ষ্যে আজ শনিবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উদ্যোগে আহুত মহাসমাবেশে সফল করার আহবান জানান নেতৃবৃন্দ।
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের কোরআনবিরোধী প্রতিবেদন ও কমিশন বাতিলের দাবিতে নির্ধারিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামীকালের মহাসমাবেশে যোগ দিতে দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব আল্লামা সাজেদুর রহমান। বিবৃতিতে তারা আলেম-ওলামার পরামর্শসহ ধর্মপ্রাণ বৃহত্তর নারীসমাজের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে নতুনভাবে নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করতে প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনুসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, জুলাইর গণঅভ্যুত্থানে মৃত্যুভয় উপক্ষা করে আমাদের অনেক মা-বোন তাদের সন্তান ও ভাইদের সাথে রাজপথে নেমে এসেছিলেন। রাষ্ট্র সংস্কারে তাদেরও হক রয়েছে। কিন্ত ঔপনিবেশিক মানসিকতা ও পশ্চিমা এজেন্ডা নিয়ে কুখ্যাত নারীবাদীরা কমিশন দখল করে ইসলামবিরোধী প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এরা এদেশের ধর্মপ্রাণ বৃহত্তর নারীসমাজের শত্রু। অধিকারের নামে নারীকে ইউরোপের মতো বাজারি পণ্য ও যৌনদাস বানানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নেমেছে।
তারা আরো বলেন, কথিত নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন যৌনকর্মীকে ‘শ্রমিক’-এর মর্যাদা দেয়ার প্রস্তাব করে মূলত নারীর মর্যাদাহানি করেছে। পতিতাবৃত্তি কোনো সম্মানজনক পেশা নয়। এটা বরং সমাজের গভীর ক্ষত; নাগরিকের মৌলিক অধিকার পূরণে রাষ্ট্রের ব্যর্থতার ফোঁড়। সম্মানজনক কর্মসংস্থানের অভাব, ক্ষুধার তাড়না ও নারী পাচারের ঘটনা ছাড়া কোনো নারী স্বেচ্ছায় এ পেশায় আসেন না। নারীর সম্ভ্রম ও আত্মমর্যাদার পরিবর্তে শরীর বিক্রিকে প্রাধান্য দিয়ে নারীসত্তার চরম অবমাননা করেছে ওই নারীবাদী কমিশন। আমরা আবারও তীব্র নিন্দা জানাই। নেতৃবৃন্দ বলেন, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন সরাসরি কোরআনবিরোধী। আলেমসমাজের মতামত ও পরামর্শ না নিয়ে একতরফা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের সুযোগ নেই। উত্তরাধিকার সম্পত্তি বণ্টনে কোরআনের নীতিমালা লঙ্ঘিত হয় এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়া যাবে না। বিয়ে ও তালাক বিষয়ে কোরআনের নির্দেশ উপেক্ষা করে অবাস্তব কোনো সংস্কার চাপিয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। বৈবাহিক সম্পর্কে ‘ধর্ষণ’ শব্দটি এনে আমাদের দেশের পরিবারকাঠামো ধ্বংস করার পশ্চিমা প্রজেক্ট আমরা বাস্তবায়ন হতে দিতে পারি না। এছাড়া, সব ধর্মের নারীদের জন্য অভিন্ন পারিবারিক আইন করার সুপারিশ মূলত বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীর ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের শামিল। নাগরিকগণ যার যার ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী পরিবার গঠন ও পরিচালনা করবে এতে রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ নিতান্তই অন্যায্য। এই কোরআনবিরোধী প্রতিবেদন ও কমিশন বাতিলের দাবিতে দলে দলে মহাসমাবেশে যোগ দিন। নেতারা বলেন, রাষ্ট্রসংস্কার কোনো পেইড এনজিওবাদী কর্মকা- নয়।
সংস্কারের নামে পশ্চিমা মূল্যবোধ এদেশে ফেরি করার যেকোনো অপতৎপরতা রুখে দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ। নারীর সামাজিক উন্নয়নে পশ্চিমা মূল্যবোধ নয়, বরং আমাদের নিজস্ব সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের আলোকেই বাস্তবমুখী সংস্কারের দিকে যেতে হবে। এক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও সমাজের যৌথ সমন্বয়ে ইসলাম-প্রদত্ত নারীর হক ও নিরাপত্তা রক্ষায় দেশের আলেম-ওলামা ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত। বিতর্কিত প্রতিবেদন বাতিল করে আলেম-ওলামার পরামর্শসহ ধর্মপ্রাণ বৃহত্তর নারীসমাজের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে নতুনভাবে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করতে আমরা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি জোর আহ্বান জানাচ্ছি।
হেফাজতে ইসলাম পল্টন থানা জোন ঃ নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব আগাগোড়া ইসলাম বিরোধী। যদি আগামীকালের মধ্যে নারী বিষয়ক সংস্কার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান না করা হয়, তাহলে সারা দেশে আগুন জ্বলবে। আজ বাদ জুমা রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ উত্তর গেটে হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর পল্টন জোনের উদ্যোগে সংহতি সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব এসব কথা বলেন। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ পল্টন জোনের সভাপতি মুফতি সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজীর পরিচালনায় সংহতি সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবহানী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা ড.শুয়াইব আহমদ, মাওলানা মীর ইদ্রিস নদভী, মাওলানা নূর হোসাইন নূরানী, মুফতি জাবের কাসেমী, মুফতি ফখরুল ইসলাম, মাওলানা জয়নুল আবেদিন, মুফতি আজারুল ইসলাম, মুফতি শরিফুল্লাহ, মাওলানা রাকিবুল ইসলাম ফারুকী, মাওলানা আব্দুল্লাহ মাসুদ খান, মাওলানা হোসাইন আকন্দ, মাওলানা আসাদুল্লাহ জাকির ও হাকিম আজহারুল ইসলাম নোমানী। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে শুরু হয়ে পল্টন, বিজয়নগর এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
হেফাজতে ইসলাম পল্লবী থানা ঃ বাদ জুমা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে মিরপুর ১০ নংম্বর গোলচত্বর থেকে হেফাজতে ইসলাম পল্লবী থানা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। হেফজতে ইসলামের যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পল্লবী থানার সভাপতি মাওলানা আব্দুস সালামের সভঅপতিত্বে ও মুফতি আব্দুল মালেক ও মুফতি সাঈদ আহমাদের সঞ্চালনায় এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, প্রিন্সিপাল মাওলানা আবুল কালাম মাওলানা শহিদুল্লাহ কাসেমী মাওলানা মাসুদুর রহমান।
সাভারে মোটর শোভাযাত্রা ঃ নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাতিল ও শাপলার গনহত্যার বিচারসহ বিভিন্ন দাবিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঘোষিত আজকের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশ সফলের আহবানে আজ শুক্রবার বাদ জুমা মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা করেছে হেফাজত ঢাকা জেলা উত্তর। সাভারের হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে নবীনগর জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন হেফাজত ঢাকা জেলা উত্তরের সভাপতি ও যাদুরচর মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা আলী আকবর কাসেমী। উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলী আজম, যমযমনূর গ্রুপের এমডি হাফেজ মাওলানা নূর মোহাম্মদ, মুফতি আলী আশরাফ তৈয়ব, মাওলানা শাহেদ জহিরী, মুফতি রফিকুল ইসলাম সর্দার, মুফতি আমিনুল ইসলাম কাসেমী, মুফতি মাহবুবুর রহমান নবাবগঞ্জী, মুফতি নাজমুল হাসান বিন নূরী, মুফতি মাহফুজ হায়দার কাসেমী, মুফতি সুলতান মাহমুদ, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা আবু সাঈদ, মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী, মুফতি গাজী সিদ্দীকুর রহমান, মুফতি জহিরুল ইসলাম, মুফতি আরিফুর রহমান, মাওলানা জাকির হোসাইন, মুফতি মাহমুদ হাসান হাবিবী, হাফেজ কারী সিরাজুল ইসলাম। ঢাকা জেলা উত্তরের বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে হেফাজত নেতাকর্মীরা মোটর সাইকেল, পিকআপ ও হাইয়েস কার সহকারে বর্ণাঢ্য এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। শোভাযাত্রা শেষে দোয়া পূর্ব সমাবেশে হাফেজ মাওলানা আলী আকবর কাসেমী আগামীকালের মহাসমাবেশ সফলে সবার প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়ে বলেন, নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাতিল করতে হবে।
অবিলম্বে কমিশন বিলুপ্ত ঘোষণা করতে হবে। ফ্যাসিবাদী আমলে শাপলা চত্বরে গণহত্যা, মোদি বিরোধী আন্দোলনে হত্যাসহ বিভিন্ন সময় হত্যাকা-ের দ্রুত বিচার এবং হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মীদের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।
হেফাজতে ইসলাম মদীনা মুনাওয়ারা শাখার ঃ হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহকারী আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও হেফাজতে ইসলাম মদীনা মুনাওয়ারা শাখার সভাপতি মাওলানা সাইয়েদ রফিকুল ইসলাম মাদানী নারী সংস্কার কমিশনের কোরআন বিরোধী প্রস্তাবনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ইউনূসের কাছে জমাকৃত নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের কুরআন-সুন্নাহ পরিপন্থী প্রতিবেদনটি দেখে আমরা বিস্মিত ও শঙ্কিত। বিবৃতিতে তিনি বলেন, নারী কমিশনের কথিত প্রস্তাবে ইসলামি উত্তরাধিকার আইন ও পারিবারিক আইন নিয়ে যেসব পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়েছে, সেগুলো সম্পূর্ণভাবে কুরআন-সুন্নাহ’র সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক এবং ইসলামের মৌলিক শিক্ষার পরিপন্থী।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, “বর্তমানে দেশে নৈতিকতার চরম অবক্ষয় দেখা দিয়েছে, যার ফলে সমাজ ও পরিবারে নানা ধরনের সঙ্কট তৈরি হয়েছে। অথচ এই বাস্তবতায় ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধ জোরদারের লক্ষ্যে প্রস্তাবনা পেশ করার পরিবর্তে, কমিশন এমন কিছু গর্হিত ও বিতর্কিত বিষয় অন্তর্ভুক্ত করেছে, যা সমাজকে চরম অস্থিরতার দিকে ঠেলে দেবে। এসব সুপারিশ কেবল কুরআন-হাদীসের স্পষ্ট লঙ্ঘন নয়, বরং সকল ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতি চরম অবমাননা। বাংলাদেশে ধর্মপ্রাণ জনগণ কখনোই এসব প্রস্তাব মেনে নেবে না; বরং এক বাক্যে তা প্রত্যাখ্যান করবে। তিনি আজকের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের প্রতি একাত্মতা ও পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে বলেন, “আমরা মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করছি, যেন তিনি এই মহাসমাবেশকে সর্বাঙ্গীনভাবে সফল ও বরকতময় করেন।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে দ্বীনের পক্ষে অবিচল থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন। ঘোষিত মহাসমাবেশের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে তা’ সফল করার আহবান জানিয়েছেন ইসলামী ঐক্য জোটের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সভাপতি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব এবং বাতিল প্রতিরোধ পরিষদের সভাপতি হাজী জালাল উদ্দিন বকুল। নেতৃদ্বয় বলেন, নারী সংস্কার কমিশনের কোরআন বিরোধী প্রস্তাবনা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। অন্যথায় পরিণতি শুভ হবে না। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ঃ জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব শাইখুল হাদিস ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম আজ এক বিবৃতিতে কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী নারী সংস্কার কমিশন দ্রুত বাতিলের দাবিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যাগে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে বলেন, ইসলামের পারিবারিক আইন কোনো বৈষম্য নয়, বরং তা নারীর মর্যাদা, সম্মান ও নিরাপত্তার একমাত্র গ্যারান্টি! শরীয়াহ আইন আমাদের ঈমানের অংশ। এর মধ্যে কোন ধরনের সংস্কার বা পরিবর্তন আনা যাবে না। সুতরাং নারী উন্নয়ন বিষয়ক কমিশনের যে সতব কুরআন সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক অনতিবিলম্বে কুরআন বিরোধী নারী সংস্কার কমিশন বাতিল করতে কবে। তিনি বলেন, নাস্তিক মুরতাদদের নির্দেশে এদেশে কুরআন বিরোধী নারী সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের কোনো সুযোগ নেই।
হাটহাজারী ডাকবাংলো চত্বর ঃ আজ বাদ জুমা চট্টগ্রামের হাটহাজারী ডাকবাংলো চত্বরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ হাটহাজারী উপজেলা শাখার উদ্যোগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশের সমর্থনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে নেতৃবৃন্দ বলেন, নারী কমিশনের নামে ইসলামবিরোধী নীতি চাপিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা সফল হতে দেয়া হবে না। আলেম-ওলামা, তৌহিদী জনতা এবং ঈমানদার জনগণকে পাশ কাটিয়ে কোনো ইসলামবিরোধী সিদ্ধান্ত বায়স্তবায়নের চেষ্টা করলে সরকারকে চরম মূল্য দিতে হবে।