Image description

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে ইসি যে সুপারিশ পাঠিয়েছে, তার কঠোর সমালোচনা করেছেন এনসিপি নেতারা। তারা বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন কোনো সংস্কার চায় না। লোক দেখানো ভোটের দিকেই হাঁটছে তারা। তাই নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছে এনসিপি। দলের নেতারা বলছেন, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ এই কমিশন দিয়ে সম্ভব নয়।

শ্রমিক দিবসের এক আলোচনা সভায় দলের নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আসন্ন নির্বাচনে প্রবাসী শ্রমিকদের ভোটের ব্যবস্থা রাখতে হবে। জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রধান কার্যালয়ে দলের শ্রমিক উইং-এর এই আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নেতারা। তারা বলেন, শ্রমিকদের আজীবন ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন দলের ক্ষমতায় আসার অস্ত্র হিসেবে। কিন্তু তাদের স্বার্থ কেউ দেখেনি। এমনকি নির্বাচন কমিশনও তাদের ব্যাপারে উদাসীন।

জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, মালিকদেরকে কিভাবে পুষিয়ে, ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে বড় করা যায়, দলীয় পথ পোস্ট দিয়ে, আর সেই মালিকদের অধীনে যারা কাজ করে তাদেরকে দলদাস হিসেবে ব্যবহার করে বাংলাদেশের যে অর্থনীতি দাঁড় করানো হয়েছে, তা অচিরেই ধসে পড়বে।

দলটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব বলেন, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শহরে অতি দরিদ্র যে জনগোষ্ঠী রয়েছে, তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুষ্ঠু ব্যবস্থা অবশ্যই করতে হবে। না হলে এই শ্রমিকদেরকে ভোটাধিকার থেকে দূরে রাখার ফলে তারা জাতীয় রাজনীতি থেকে অগুরুত্বপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। তেমনি করে তারা সামাজিক স্বীকৃতি থেকেও দূরে সরে যাচ্ছে।

আলোচনায় উঠে আসে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে এই কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানান নেতারা।

যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, নির্বাচন সংস্কার কমিশন থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে যে, যারা মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত, তারা আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। মৌলিক সংস্কার প্রস্তাবে নির্বাচন কমিশন রাজি হচ্ছে না, এবং তারা নির্বাচন কমিশনকে দায়বদ্ধ করা যাবে—এটারও বিরোধিতা করছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের সাথেই ইসির সমস্ত বক্তব্য মিলে যাচ্ছে। এই ইসির নিরপেক্ষতা ইতিমধ্যেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। সুতরাং, অবিলম্বে এই ইসির পুনর্গঠন করতে হবে।

মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, পৃথিবীর যে প্রান্তেই আমাদের রেমিটেন্স যোদ্ধারা রয়েছেন, তাদের প্রতি সম্মান জানাতে আমরা চাই, আগামী নির্বাচনেই তাদের ভোটাধিকারকে স্বীকৃতি দিতে হবে। সেটির জন্য নির্বাচন কমিশন যেন খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে—আমরা সেই প্রত্যাশাই করছি।

শ্রমিকদের উপর হামলা, নির্যাতন ও হত্যার সব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চান জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা। তারা বলেন, শিগগিরই শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় দেশের শিল্পাঞ্চলগুলোতে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।