
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রকৃত পরিবর্তন আনতে এখনই গঠনমূলক কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন, যার প্রভাব আগামী ১০ থেকে ২০ বছর ধরে টিকে থাকবে। তিনি বলেন, “এটা এক বছরের ইফেক্ট নয়—এটা হতে হবে দীর্ঘমেয়াদি ইমপ্যাক্ট।”
বুধবার এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, “বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ হলেও তার চেয়েও বড় ইস্যু হচ্ছে কর্মসংস্থান সৃষ্টি। এই লক্ষ্য অর্জনে বেসরকারি খাতের বিকল্প নেই। সরকার থেকে আমরা এটি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমান সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি খুবই পরিষ্কার—সরকার ব্যবসা করার জন্য নয়, বরং ব্যবসা পরিচালনার পরিবেশ তৈরি করার জন্য। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে চেষ্টা করছি যাতে সরকার ব্যবসা থেকে সরে আসে এবং প্রকৃত ব্যবসায়ীরা ব্যবসা পরিচালনা করে।”
বক্তব্যের এক পর্যায়ে আশিক চৌধুরী জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আমরা যদিও এনবিআরকে নিয়ে প্রায়ই সমালোচনা করে থাকি, কিন্তু এবছর ‘ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো’ এবং ‘অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটর’ দুটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়েছে। এগুলো দেশের বাণিজ্য পরিবেশে দীর্ঘমেয়াদে বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।”
তিনি আরও বলেন, “যদি ‘অথরাইজড ইকোনমিক অপারেটর’ প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠান ২০০-তে পৌঁছে যায় এবং ‘গ্রীন চ্যানেল’ পুরোপুরি চালু হয়, তাহলে আমদানিকারক ও রপ্তানিকারকদের জীবন অনেক সহজ হবে।”
সভায় তিনি ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণ থেকে জানান, ভবিষ্যতে এমন কাঠামোগত সংস্কার দরকার যা বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য বাস্তবিক অর্থে কার্যকর হবে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।